Wednesday, November 26, 2014

সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগাতে যৌথ গবেষণা দরকার: শেখ হাসিনা:RTNN

সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগাতে যৌথ গবেষণা দরকার: শেখ হাসিনা মো. কামরুজ্জামান, সার্ক শীর্ষ সম্মেলন থেকে আরটিএনএন কাঠমান্ডু: দক্ষিণ এশিয়ার সমুদ্র সম্পদকে একটি বড় সম্পদ আখ্যায়িত করে এই সম্পদকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে সার্কভুক্ত দেশের যৌথ উদ্যোগে সমন্বিত গবেষণার করার তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বুধবার দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনের মূল পর্ব
ের দুদিনের অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে বক্তৃতাকালে এ তাগিদ দেন। সার্ককে কেন্দ্র করে দক্ষিণ এশিয়ার এই আট দেশের আশাবাদী হবার অনেক দিক রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলের উন্নয়নে আঞ্চলিক যোগাযোগ (Connectivity) এবং যৌথ উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি তার বক্তব্যে তথ্য-প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ যে অগ্রগতি সাধন করেছে তার একটি সংক্ষিপ্ত রূপরেখা তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বলেন, বিগত চার বছরেই বাংলাদেশের মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহারের মাত্রা বেড়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ এবং শুধুমাত্র গ্রামের মানুষকে তথ্য-প্রযুক্তি সেবা দিতেই ২০০ আইসিটি কেন্দ্র কাজ করছে। জলবায়ুর পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশই নয় দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের বেলায় এটা একইভাবে প্রযোজ্য। তাই জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলায় এবং এ ব্যাপারে গবেষণার জন্য বাংলাদেশের এই মুহূর্তে উন্নত যন্ত্রপাতির খুবই দরকার। শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে এই খাতের উন্নয়নে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আরো সমন্বিত উদ্যোগের ওপর জোর দেন। তিনি ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের কথা জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার এই লক্ষ্যে কাজ করছে এবং এই লক্ষ্য পূরণে তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন। বর্তমানে দেশে ৩০ লাখের ওপর সোলার হাউজ সিস্টেম কাজ করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে উন্নতি করছে। প্রধানমন্ত্রী নারীদের ক্ষমতায়নসহ নারীদের উন্নয়নে বাংলাদেশের উন্নতিকে একটি মাইলফলক অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করে নারীর ক্ষমতায় সরকার আরো জোরালভাবে কাজ করবে বলেও জানান। সার্কের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে এবং এই সংস্থাকে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের কল্যাণে আরো কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং সার্কভুক্ত আট দেশের মানুষের উন্নতি কামনা করে শেখ হাসিনা তার বক্তব্য শেষ করেন। নেপালের সময় বুধবার বেলা ১০টা ৪১ মিনিটে তিনি ভাষণ শুরু করেন। প্রায় ১৩ মিনিট তিনি ভাষণ দেন। কাঠমান্ডুর সুন্দর পরিবেশে এই সম্মেলন আয়োজন এবং তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোয় নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা ও দেশটির জনগণকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। এর আগে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে নয়টায় কাঠমান্ডুর এক্সিবিশন রোডের ‘রাষ্ট্রীয় সভাগৃহে’ নেপালের জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর সার্কের আট দেশের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে জোটের বিদায়ী চেয়ারম্যান মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম কাঠমান্ডু সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। রীতি অনুযায়ী এরপর তিনি এবারের স্বাগতিক দেশ নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পক্ষে মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা উদ্বোধনী ভাষণ দেন। দুই বছর স্থগিত থাকার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নেপালে এবারের সার্ক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনে অংশ নিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মঙ্গলবার নেপাল যান। মন্তব্য pay per click    

No comments:

Post a Comment