মোবারকের রায় আজ, ট্রাইব্যুনাল ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেনের মামলার রায় কিছুক্ষণ পরই ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রবিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ মামলাটি রায়ের জন্য দিন ধার্য্
য করে। সোমবার সকাল ১০টার পর রায় ঘোষণা করা হবে। সকাল পৌনে দশটার দিকে মোবারককে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। এদিকে রায়কে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রায়ের জন্য মোবারককে রবিবারই গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী রায়ের আগে তাকে বিশেষ নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হবে। পুলিশের পাশাপাশি র্যা ব সদস্যদেরও সকাল থেকে ট্রাইব্যুনালের আশেপাশে সতর্ক থাকতে দেখা গেছে। সবাইকে তল্লাশি করে তবেই ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। গত ২ জুন এ মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে ট্রাইব্যুনাল। দীর্ঘ ছয় মাস মামলটি অপেক্ষমাণ শেষে আগামীকাল রায়ের জন্য দিন ধার্য্য হলো। এ মামলার প্রসিকিউটর শাহিদুর রহমান দাবি করে বলেন, একাত্তর সালে মোবারক হোসেন মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং স্বাধীনতাকামীদের পাক বাহিনীর সহায়তায় হত্যা করেছেন। এ অপরাধে তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে বলেও তিনি আশা করেন। অন্যদিকে, আসামি মোবারকের পক্ষের আইনজীবী তারিকুল ইসলাম বলেন, যে সব অপরাধে মোবারক হোসেনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এ অভিযোগে তিনি খালাস পাবেন বলেও আশা করেন আইনজীবী। এর আগে গত ২১ মে মোবারকের পক্ষে আইনি পয়েন্টে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী তাজুল ইসলাম। এর আগে মামলার মূল বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন মোবারকের আরেক আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। এছাড়া মোবারকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান ও সৈয়দ হায়দার আলী যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। গত বছর ২০ মে মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ২৫ নভেম্বর প্রসিকিউশন পক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ ও সাক্ষীকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়। এরপর আসামি মোবারক হোসেন নিজে ও তার বড় ছেলে মোহাম্মদ আসাদ উদ্দিন সাফাই সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। পরে তাদের জেরা করে প্রসিকিউশন। গত বছর ১২ মার্চ মোবারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। ১৬ মে সূচনা বক্তব্যের মধ্যদিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। মোবারকের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, অপহরণ, আটক ও নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী চার ধরনের অপরাধে ৫টি অভিযোগে গত বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। অভিযুক্ত মোবারক হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার নয়াদিল গ্রামের মরহুম সাদত আলীর সন্তান। তিনি প্রথমে জামায়াত ও পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে মোবারক হোসেন তার সাক্ষ্যে দাবি করেন, তিনি সব সময়ই আওয়ামী লীগ করতেন। এখনো আওয়ামী লীগেই আছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রতিহিংসামূলক। মোবারকের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার টানমান্দাইল ও জাঙ্গাইল গ্রামে ৩৩ জনকে হত্যা, আনন্দময়ী কালীবাড়ী রাজাকার ক্যাম্পে আশুরঞ্জন দেবকে নির্যাতন, ছাতিয়ান গ্রামের আব্দুল খালেককে হত্যা, শ্যামপুর গ্রামের দুজনকে অপহরণ করে একজনকে হত্যা এবং খরমপুর গ্রামের একজনকে আটক রেখে নির্যাতন। এসব অপরাধ ১৯৭১ সালের আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। মন্তব্য pay per click নিজস্ব প্রতিবেদকআরটিএনএনঢাকা: হজ, মহানবী (সা.) এবং তাবলিগ জামায়াত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত এবং . . . বিস্তারিত নিউজ ডেস্কআরটিএনএনঢাকা: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘ছাত্রলীগের মধ্যে জামায়াত-শি . . . বিস্তারিত
No comments:
Post a Comment