রাজধানীতে তিনটি গ্রুপে কাজ করে অজ্ঞান পার্টি স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ১৮ জুন, ২০১৫ ১৪:৩৮:৪১ রাজধানীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারকৃত অজ্ঞান পার্টির ২১ সদস্য তিনটি গ্রুপে মানুষকে অজ্ঞান করে প্রতারণা করে আসছে। এই তিন গ্রুপের দলনেতা হলেন- আল-আমিন, জুম্মন ও দেলোয়ার। গ্রেফতারকৃতরা তাদের দোষ স্বীকার কারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান ১২ জনকে দুই বছর করে কারাদন্ড, ৬ জনকে একবছর করে কা
রাদন্ড এবং ৩ জনকে ৬ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের য্গ্মু-কমিশনার মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদ মৌসুমে রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বেড়ে যায়। এদের খপ্পরে পড়ে কেউ কেউ অনেক সময় মারা যান। কেউবা দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকেন। আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে আমরা বিশেষ অভিযান শুরু করেছি। ইতিমধ্যে জাল টাকা তৈরির দুটি সিন্ডিকেটকে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, বুধবার মধ্যরাত ও বৃহস্পতিবার সকালে যাত্রাবাড়ি, শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং হাইকোর্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম) একটি টিম পৃথক চালায়। অভিযানে ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েক প্রকার চেতনানাশক ওষুধ, মলম ও অজ্ঞান করার বেশ কিছু সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। মনিরুল ইসলাম বলেন, সাজা প্রাপ্তরা অনেকেই বিভিন্ন সময়ে র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে জেলে গিয়েছে। পরে আবার ছাড়া পেয়ে একই কাজে লিপ্ত হয়। নিয়মিত মামলা দিলে আইনের মারপ্যাচে রমজানেই আবার জামিনে বেরিয়ে আসতে পারে। তাই নিয়মিত মামলা না দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন মেয়াদে সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ অন্তত কিছুটা রক্ষা পাবে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আল-অমিন, নিয়ন খান, তৌহিদুল ইসলাম সোহেল, আব্দুস সামাদ ওরফে সালমান, আলী হোসেন ভ’ইয়া, উজ্জাল, জুম্মান, আনিস, মাইনুদ্দিন,শহিদুল, রমজান, মোহাম্মদ আলী, ওয়াজিব, সুমন, তুষার, দেলোয়ার হোসেন বাবু,মাসুদ ওরফে ল্যাংড়া মাসুদ, আমির হোসেন, শুক্কুর, আলী খোকন, ও আক্তার হোসেন। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতরা তাদের দোষ স্বীকার করায় ঢাকা মহানগর পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। এমআর/এমকে
No comments:
Post a Comment