মরুর পরিচালক অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দীকি এ মন্তব্য করেন। তাসনিম সিদ্দীকি বলেন, ‘সরকারকে এ বিষয়ে আমরা আগেই বলেছিলাম, এমনকি গণমাধ্যমেও আগে এসেছিল। আসলে সবাই দায়িত্ব পালন করেছে, কেবল সরকার তার জায়গায় নেই। আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে কথা বলেছি। তারা বলেই ফেলেছেন যাক না, রেমিটেন্স তো আসবে। কিছু মরলেও কিছু তো বাঁচবে। তারা রেমিটেন্স পাঠাবে। এটা তাদের নীরব সম্মতি।’ তিনি বলেন, স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ বিদেশ যাচ্ছে না। তাদের লোভ দেখিয়ে, ব্রেইনওয়াশ করে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু তারা আর ফিরছে না। এর সাথে জড়িত পুলিশ, জনপ্রতিনিধিরা। এদের নামও চলে এসেছে। এরা রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দিচ্ছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও এদের তালিকা এসেছে, কিন্তু সরকারই আবার তাদের রক্ষা করছে। তাসনিম আরো বলেন, মানবপাচারের জন্য থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশ ক্রসফায়ার করছে নিম্নপর্যায়ের দালালদের। তারা দালালদের ধরছে না, কারণ তাতে উপরের ব্যক্তি চলে আসবে। তিনি বলেন, আমাদের আইনেও ঝামেলা রয়েছে। কথা হচ্ছে, কোন আইনে ব্যবস্থা নিবেন? এক আইনে ধরা হচ্ছে আবার অন্য আইনে তাদের ছেড়ে দিচ্ছি। আবার ইচ্ছে করেই এসব অপরাধ অজামিনযোগ্য করা হচ্ছে না। এসবের সাথে সরকারের নীতিনির্ধারকরাও জড়িত। তারা রোহিঙ্গাকে দায়ী করছে, কিন্তু জড়িত জনপ্রতিনিধিদের দায়ী করছে না। সমস্যা সমাধানের বিষয়ে তিনি বলেন, এসব প্রতিরোধে সরকারের সমাধান অনেকটা ইগোয়েস্টিক। এটা প্রকৃত সমাধান না। বুঝতে হবে, ক্লাইমেট চেঞ্জের জন্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। তাদের কর্মসংস্থান নেই। আবার তাদের ঢাকায়ও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, কারণ তারা নাকি চুরি করবে। দ্রুত আন্তঃকর্মসংস্থানের সমন্বয় করতে না পারলে বিদেশিরা সুযোগ নিবে। কারণ দেশে কাজ না থাকলেও তো তাদের ফাঁদ পাতার সুবিধা বাড়বেই। গোলটেবিল বৈঠকে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের সাবেক কাউন্সিল চেয়ারপারসন শাহজাহান খাদেম বলেন, মানবপাচার রোধে স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এছাড়া পাসপোর্ট ছাড়া কেউ যেন বিদেশে যাওয়া-আসা করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি যে বিদেশিরা এসব অপরাধে জড়িত তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। গোলটেবিলে আরো বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারপারসন শেকিল চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর প্রমুখ। মন্তব্য
Sunday, June 21, 2015
সরকারের নীরব সম্মতিতেই মানবপাচার!:আরটিএনএন
মরুর পরিচালক অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দীকি এ মন্তব্য করেন। তাসনিম সিদ্দীকি বলেন, ‘সরকারকে এ বিষয়ে আমরা আগেই বলেছিলাম, এমনকি গণমাধ্যমেও আগে এসেছিল। আসলে সবাই দায়িত্ব পালন করেছে, কেবল সরকার তার জায়গায় নেই। আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে কথা বলেছি। তারা বলেই ফেলেছেন যাক না, রেমিটেন্স তো আসবে। কিছু মরলেও কিছু তো বাঁচবে। তারা রেমিটেন্স পাঠাবে। এটা তাদের নীরব সম্মতি।’ তিনি বলেন, স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ বিদেশ যাচ্ছে না। তাদের লোভ দেখিয়ে, ব্রেইনওয়াশ করে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু তারা আর ফিরছে না। এর সাথে জড়িত পুলিশ, জনপ্রতিনিধিরা। এদের নামও চলে এসেছে। এরা রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দিচ্ছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও এদের তালিকা এসেছে, কিন্তু সরকারই আবার তাদের রক্ষা করছে। তাসনিম আরো বলেন, মানবপাচারের জন্য থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশ ক্রসফায়ার করছে নিম্নপর্যায়ের দালালদের। তারা দালালদের ধরছে না, কারণ তাতে উপরের ব্যক্তি চলে আসবে। তিনি বলেন, আমাদের আইনেও ঝামেলা রয়েছে। কথা হচ্ছে, কোন আইনে ব্যবস্থা নিবেন? এক আইনে ধরা হচ্ছে আবার অন্য আইনে তাদের ছেড়ে দিচ্ছি। আবার ইচ্ছে করেই এসব অপরাধ অজামিনযোগ্য করা হচ্ছে না। এসবের সাথে সরকারের নীতিনির্ধারকরাও জড়িত। তারা রোহিঙ্গাকে দায়ী করছে, কিন্তু জড়িত জনপ্রতিনিধিদের দায়ী করছে না। সমস্যা সমাধানের বিষয়ে তিনি বলেন, এসব প্রতিরোধে সরকারের সমাধান অনেকটা ইগোয়েস্টিক। এটা প্রকৃত সমাধান না। বুঝতে হবে, ক্লাইমেট চেঞ্জের জন্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। তাদের কর্মসংস্থান নেই। আবার তাদের ঢাকায়ও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, কারণ তারা নাকি চুরি করবে। দ্রুত আন্তঃকর্মসংস্থানের সমন্বয় করতে না পারলে বিদেশিরা সুযোগ নিবে। কারণ দেশে কাজ না থাকলেও তো তাদের ফাঁদ পাতার সুবিধা বাড়বেই। গোলটেবিল বৈঠকে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের সাবেক কাউন্সিল চেয়ারপারসন শাহজাহান খাদেম বলেন, মানবপাচার রোধে স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এছাড়া পাসপোর্ট ছাড়া কেউ যেন বিদেশে যাওয়া-আসা করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি যে বিদেশিরা এসব অপরাধে জড়িত তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। গোলটেবিলে আরো বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারপারসন শেকিল চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর প্রমুখ। মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment