আট মাস ধরে গাজা যুদ্ধের ব্যাপারে তদন্ত করছিল, তাদের ২৪০ পৃষ্ঠার রিপোর্টের উপসংহারে এই কথাগুলো বলা হয়েছে। ব্রেকিং সাইলেন্স গাজায় হামলায় অংশ নেয়া সাধারণ সৈন্য থেকে শুরু করে মেজর র্যাঙ্ক পর্যন্ত ইসরাইলি বিভিন্ন বাহিনীর ৬০ জনেরও বেশি সদস্যের সাক্ষৎকারের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে। অনেক সৈন্য জানিয়েছেন, ‘কমান্ডাররা হামলার আগে ব্রিফ করার সময় তাদেরকে বলেছেন- চোখের সীমানায় আসা প্রত্যেকটি মানুষকে মেরে ফেলতে হবে। কারণ, মাঠে থাকা প্রত্যেকটি ব্যক্তিই শত্রু ।’ গাজায় পাঠানো আইডিএফের ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের এক সার্জেন্ট বলেন, যুদ্ধের ব্যাপারে ব্রিফিং ছিল এরকম- ‘যাকে খুশি গুলি করবে। যার ব্যাপারেই নিশ্চিত হবে যে, সে আইডিএফ সৈন্য নয় তাকেই গুলি করবে।’ শুধু এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয় যেন কোনো সৈন্যকে গুলি করা না হয়। এর বাইরে যাকে দেখবে মারার জন্য গুলি করবে। মনে হচ্ছিল, যেন ওইসব এলাকায় কোনো বেসামরিক লোক নেই। গতকাল সোমবার ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধে সেনাবাহিনীর সামরিক রীতিতে পরিবর্তন দেখা গেছে। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ইউলি নোভাক বলেন, ‘একটা অস্বস্তিকর ছবি নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বেসামরিক লোকজন হত্যার ব্যাপারটি সামনে আনে।’ ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে দায়িত্বরত ইসরায়েলি সেনারা কী পরিস্থিতিতে আছে তা বোঝাতেই প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। গত বছর ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধে দুই হাজার দুইশর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এদের বেশিরভাই বেসামরিক নাগরিক এবং এক চতুর্থাংশ ছিল শিশু। ওই যুদ্ধে ইসরায়েলের ৬৭ সেনা ও ছয় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। সূত্র: আল-জাজিরা, ইন্ডিপেন্ডেন্ট। মন্তব্য
Tuesday, May 5, 2015
নির্দেশ ছিল, ‘যাকে দেখবে তাকেই গুলি করবে’:আরটিএনএন
আট মাস ধরে গাজা যুদ্ধের ব্যাপারে তদন্ত করছিল, তাদের ২৪০ পৃষ্ঠার রিপোর্টের উপসংহারে এই কথাগুলো বলা হয়েছে। ব্রেকিং সাইলেন্স গাজায় হামলায় অংশ নেয়া সাধারণ সৈন্য থেকে শুরু করে মেজর র্যাঙ্ক পর্যন্ত ইসরাইলি বিভিন্ন বাহিনীর ৬০ জনেরও বেশি সদস্যের সাক্ষৎকারের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে। অনেক সৈন্য জানিয়েছেন, ‘কমান্ডাররা হামলার আগে ব্রিফ করার সময় তাদেরকে বলেছেন- চোখের সীমানায় আসা প্রত্যেকটি মানুষকে মেরে ফেলতে হবে। কারণ, মাঠে থাকা প্রত্যেকটি ব্যক্তিই শত্রু ।’ গাজায় পাঠানো আইডিএফের ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের এক সার্জেন্ট বলেন, যুদ্ধের ব্যাপারে ব্রিফিং ছিল এরকম- ‘যাকে খুশি গুলি করবে। যার ব্যাপারেই নিশ্চিত হবে যে, সে আইডিএফ সৈন্য নয় তাকেই গুলি করবে।’ শুধু এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয় যেন কোনো সৈন্যকে গুলি করা না হয়। এর বাইরে যাকে দেখবে মারার জন্য গুলি করবে। মনে হচ্ছিল, যেন ওইসব এলাকায় কোনো বেসামরিক লোক নেই। গতকাল সোমবার ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধে সেনাবাহিনীর সামরিক রীতিতে পরিবর্তন দেখা গেছে। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ইউলি নোভাক বলেন, ‘একটা অস্বস্তিকর ছবি নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বেসামরিক লোকজন হত্যার ব্যাপারটি সামনে আনে।’ ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে দায়িত্বরত ইসরায়েলি সেনারা কী পরিস্থিতিতে আছে তা বোঝাতেই প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। গত বছর ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধে দুই হাজার দুইশর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এদের বেশিরভাই বেসামরিক নাগরিক এবং এক চতুর্থাংশ ছিল শিশু। ওই যুদ্ধে ইসরায়েলের ৬৭ সেনা ও ছয় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। সূত্র: আল-জাজিরা, ইন্ডিপেন্ডেন্ট। মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment