ঢাকা: রাজধানীতে চলন্ত মাইক্রোবাসে ধর্ষণের শিকার আদিবাসী তরুণীকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রুল দেন। পাঁচটি মানবাধিকার সংগঠনের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই বেঞ্চ তিনটি রুল ও দুটি নির্দেশনা দেন। অন্য একটি রুলে আদালত আরও জানতে চান, ধর্
ষণের শিকার তরুণীর প্রাথমিক অভিযোগ নিতে দেরি করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না। দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব থানায় ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-গোত্র ও জন্মস্থান নির্বিশেষে কোনো ব্যক্তির অভিযোগ গ্রহণ করতে যেন দেরি না করা হয়, সে জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করতে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সোমবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সারা হোসেন, মাসুদা রেহানা, আইনুন নাহার সিদ্দীকা ও মেহবুবা জুঁই। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম। ওই আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় গত রোববার পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বরাবরের মতো পুলিশ বলেছে, আসামি ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে। শিগগিরই গ্রেফতার হবে। ধর্ষণের শিকার আদিবাসী তরুণীটি যমুনা ফিউচার পার্কে একটি দোকানে কাজ করতেন। ২১ মে রাত নয়টার দিকে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে একদল যুবক তাকে তুলে নেয় ও পালাক্রমে ধর্ষণ করে। নতুন বার্তা/কেএমআর
No comments:
Post a Comment