আজ বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ১৭ মে, ২০১৫ ০৯:৩২:৩৯ আজ বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস। একই সঙ্গে আজ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) প্রতিষ্ঠার ১৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ কারণে দিবসটি এবার বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পালিত হতে যাচ্ছে। আইটিইউ এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করেছে- 'টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি: উদ্ভাবনের চালিকাশক্তি।
' দিবসটির এই প্রতিপাদ্য বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরণা করা হচ্ছে। এ দিবসের লক্ষ্য হচ্ছে- সারা বিশ্বে ইন্টারনেট এবং অন্যান্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, আর্থিক লেনদেন- অর্থাৎ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দ্রুত বাড়ছে। এই মুহূর্তে যা নতুন তা পরমুহূর্তেই নতুন কিছু আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত হয়ে যাচ্ছে। দিসবটি উদযাপন উপলক্ষে আজ রোববার সংবাদ সম্মেলন করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগামী কাল সোমবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০১৫’ এবং আইটিইউর ১৫০ বছর পূর্তির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তর একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করবে। এ ছাড়াও ১৮ ও ১৯ মে, দুই দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠান-বিটিআরসি, বিটিসিএল, টেলিটক, বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তর, মোবাইল অপারেটরসহ টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। ১৮৬৫ সালের ১৭ মে প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন গঠিত হয়। পরে এটি ১৯৪৭ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন বা আইটিইউ নামে জাতিসংঘের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে মর্যাদা লাভ করে। আইটিইউয়ের প্রতিষ্ঠা এবং প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ সম্মেলন অনুষ্ঠানের নিদর্শনস্বরূপ ১৯৬৯ সালের ১৭ মে থেকে প্রতি বছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে ২০০৬ সাল থেকে দিনটি বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আইটিইউয়ের সদস্য পদ লাভ করে ১৯৭২ সালে। এ দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য হল ইন্টারনেট, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিকাশে বিভিন্ন দেশের জনগণকে সচেতন ও পরিচিত করা। যেন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেকারত্ব ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের ধনী ও গরীব জনগোষ্ঠী এবং নারী ও পুরুষের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে সক্ষম হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, পৃথক বাণী দিয়েছেন। এআর
No comments:
Post a Comment