Sunday, May 17, 2015

টিএসসিতে নারী লাঞ্ছনা: যাদের খুঁজছে পুলিশ:টাইমনিউজ

টিএসসিতে নারী লাঞ্ছনা: যাদের খুঁজছে পুলিশ স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ১৭ মে, ২০১৫ ১৪:৫৪:১৩ পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে যৌন নির্যাতনের ঘটনার ছবি ও তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরও জড়িতদের ধরতে না পারায় কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে পুলিশ। ওই ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশ পুরোপুরিই ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মনে করছেন নির্যাতন বিরোধীরা। এদিকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার পরও সফল না হয়ে যৌন
নির্যাতনকারীদের ধরতে পুলিশ এবার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। রোববার পুলিশ সদর দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করে আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক এ ঘোষণা দেন। ওই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে জনগনের সহায়তা কামনা করে পুলিশের আইজি বলেন, তাদের যে কাউকে ধরিয়ে দিতে পারলে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার দেয়া হবে। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে পহেলা বৈশাখের ওই নারী কেলেঙ্কারীর ফুটেজ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু কোন তথ্য আমরা পাইনি। পুরস্কার ঘোষণার পর গণমাধ্যমের সহায়তায় চিহ্নিত অপরাধীদের স্থির চিত্র দেশের জনগণের নিকট তুলে ধরতে এ সংক্রান্ত সব তথ্য-উপাত্ত ও স্থিরচিত্র গণমাধ্যমগুলোর কাছে হস্তান্তর করেন আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক। টাইম নিউজবিডির পাঠকদের জন্য পুলিশের সরবরাহ করা চিহ্নিত অপরাধীদের স্থির চিত্র তুলে ধরা হলো: উল্লেখ্য, বাংলা নববর্ষের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন কয়েকজন নারী। ওই দিন বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে এ ঘটনা ঘটে। নিপীড়নকারীদের ঠেকাতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন শাখার সভাপতি লিটন নন্দীর হাত ভেঙে গেছে। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে এই ঘটনা জানানো হলেও তারা যথাসময়ে ব্যবস্থা নেননি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র ইউনিয়ন নেতা লিটন নন্দী বলেন, বাংলা নতুন বছর উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানুষের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শাহবাগ থেকে টিএসসি আসার পথে তারা কয়েকজন দেখেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে ৩০-৩৫ জনের একদল যুবক বেশ কয়েকজন নারীর ‘শ্লীলতাহানি’ করছে। তারা কারও কারও শাড়ি ধরে টান দিচ্ছিল। কয়েকজনকে তারা প্রায় বিবস্ত্রও করে ফেলে। এ সময় তিনি সেখানে বাধা দিতে গেলে ওই যুবকদের ধাক্কায় পড়ে যান এবং হাতে ব্যথা পান। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে লিটন নন্দী বলেন, এ দৃশ্য বর্ণনা করা যায় না। আমি আমার পাঞ্জাবি খুলে এক নারীকে দিয়েছিলাম। আরেকটি মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। ওই যুবকেরা ভিড়ের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে এই ঘটনা ঘটায়। আমরা পুলিশ সদস্য ও প্রক্টরকে ঘটনা জানালেও তারা কেউ যথাসময়ে আসেননি। এদিকে এ ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গত ১৬ এপ্রিল রুল দেয় হাইকোর্ট। এর আগে গত ১২ মে পুলিশের আইজিপি বলেছিলেন, পহেলা বৈশাখে টিএসসির সামনে নারীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনা ‘তিন-চারটা ছেলের দুষ্টামি’।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লিটন নন্দী এ ঘটনা নিয়ে যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন তা সঠিক নয় বলেও দাবি করেন তিনি। এমআর/ এআর

No comments:

Post a Comment