মির্জা ফখরুলকে বিদেশ নিতে চায় পরিবার নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: রোগে-শোকে কাহিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উন্নত চিকিৎসায় বিদেশ নিতে চাইছে পরিবার। মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেছেন, তার স্বামী যেসব রোগে ভুগছেন, তার চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নেয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, সরকার মির্জা ফখরুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্
য দেশের বাইরে যেতে জামিন কিংবা অনুমতি দিবে।’ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি পোড়ানোসহ ৭৬ মামলার আসামি মির্জা ফখরুল প্রায় পাঁচ মাস ধরে কারাঅন্তরীণ। একাধারে এতদিন বন্দি থাকায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি পরিবারের। মির্জা ফখরুল ইসলাম অসুস্থ বোধ করায় মঙ্গলবার সকালে কারা চিকিৎসকদের পরামর্শে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মির্জা ফখরুলের মস্তিষ্কের ধমনিতে দুটি ব্লক ধরা পড়েছে, যার ৮০ ভাগই অকেজো বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। যে কোনো সময় ব্রেন স্ট্রোকের আশঙ্কা রয়েছে তার। এছাড়া বিএনপির এই শীর্ষনেতার হার্টেও তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। এগুলোয় অবশ্য রিং পরানো হয়েছে। তবে একটি ব্লক ৯০ ভাগ, যাতে কোনো রিং পরানো হয়নি। যে কোনো সময় হার্ট অ্যাটাক হতে পারে তার। পারিবারিক সূত্র আরো জানায়, মির্জা ফখরুল উচ্চ রক্তচাপ, আইবিএস, মেরুদণ্ড, দাঁতের সমস্যাসহ আরো বেশ কয়েকটি রোগে ভুগছেন। সম্প্রতি কাশিমপুর থেকে তাকে দুবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালেও আনা হয়। কিন্তু সেখানেও তার সুচিকিৎসা মেলেনি। বরং কারাগার থেকে আনা-নেওয়ায় শারীরিকভাবে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। জানা গেছে, বর্তমান সরকারের আমলে ছয়বার জেল খেটেছেন মির্জা ফখরুল। ৭৬টি মামলার মধ্যে ২৮টিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরো কিছু মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। এর মধ্যে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৩০ জুলাই দিন ধার্য করেছে আদালত। সর্বশেষ গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে গ্রেপ্তার হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওই রাতে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রেখে পরদিন গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরের দিন এ মামলায় আদালতে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড এবং জামিনের দুটি আবেদনই নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment