রা রিট মামলার আপিল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ। ১৯৯৫ সালের আইনটির ৬(২) ধারায় ধর্ষণ করে হত্যার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এ বিধানটিকেই অসাংবিধানিক বলছেন আদালত। একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ২ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’১৯৯৫ এর ৬ (২) ধারা অসাংবিধানিক বলে রায় দেন। এ মামলাটি আপিলে আসার পর শুনানি শেষে গত বছর রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার এর চূড়ান্ত রায় ঘোষিত হলো। রিট মামলাটির সূচনা হয় মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার শিবরামপুর গ্রামে ধর্ষণের পর হত্যার একটি মামলাকে কেন্দ্র করে। ১৯৯৬ সালের ১১ জুন ওই গ্রামের শুক্কুর আলী (১৪) একই গ্রামের এক শিশুকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে বলে মামলা হয়। এ মামলায় ২০০১ সালের ১২ জুলাই বিচারিক আদালত শুক্কুর আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। ২০০৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এবং ২০০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ এ রায় বহাল রাখেন। আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করা হলে ২০০৫ সালের ৪ মে রিভিউ খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’ ১৯৯৫ এর ৬(২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। এ রিট আবেদনের একটি পক্ষ ছিল মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শুক্কুর আলী। রিটের প্রেক্ষিতে তার ফাঁসির আদেশ স্থগিত হয়ে আছে। মন্তব্য
Tuesday, May 5, 2015
ধর্ষণের পর হত্যার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নয়:আরটিএনএন
রা রিট মামলার আপিল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ। ১৯৯৫ সালের আইনটির ৬(২) ধারায় ধর্ষণ করে হত্যার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এ বিধানটিকেই অসাংবিধানিক বলছেন আদালত। একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ২ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’১৯৯৫ এর ৬ (২) ধারা অসাংবিধানিক বলে রায় দেন। এ মামলাটি আপিলে আসার পর শুনানি শেষে গত বছর রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার এর চূড়ান্ত রায় ঘোষিত হলো। রিট মামলাটির সূচনা হয় মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার শিবরামপুর গ্রামে ধর্ষণের পর হত্যার একটি মামলাকে কেন্দ্র করে। ১৯৯৬ সালের ১১ জুন ওই গ্রামের শুক্কুর আলী (১৪) একই গ্রামের এক শিশুকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে বলে মামলা হয়। এ মামলায় ২০০১ সালের ১২ জুলাই বিচারিক আদালত শুক্কুর আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। ২০০৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এবং ২০০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ এ রায় বহাল রাখেন। আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করা হলে ২০০৫ সালের ৪ মে রিভিউ খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’ ১৯৯৫ এর ৬(২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। এ রিট আবেদনের একটি পক্ষ ছিল মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শুক্কুর আলী। রিটের প্রেক্ষিতে তার ফাঁসির আদেশ স্থগিত হয়ে আছে। মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment