বাংলাদেশ ইস্যুতে ব্রিটেনে টিউলিপকে নাকালের চেষ্টা:আরটিএনএন

বাংলাদেশ ইস্যুতে ব্রিটেনে টিউলিপকে নাকালের চেষ্টা নিউজ ডেস্ক আরটিএনএন লন্ডন: মাত্র দুদিন বাদেই ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে বেশ ক’জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের একটা অংশ বাংলাদেশের রাজনীতির নেতিবাচক অ

নেক বিষয় দিয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। লন্ডনের সাংবাদিক নাহাস পাশা বলছিলেন, তবে টিউলিপ সিদ্দিক বেশ সতর্কতার সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতির বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছেন। তিনি তার আসনের ভোটারদের ইস্যু নিয়েই প্রচারণা চালাচ্ছেন। বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্রচারণা এই নির্বাচনে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন নাহাস পাশা। টিউলিপ সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেড এবং কিলবার্ন আসনে লেবার পাটির প্রার্থী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরে তার সঙ্গে ছিলেন তিনি। সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে প্রচারণায়। ব্রিটেনের স্থানীয় পত্রিকায় সে নিয়ে খবরও বেরিয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিক তার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, তিনি সেখানে কোনো রাষ্ট্রীয় সফরে যাননি বরং খালার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। ব্রিটেনের মূলধারার পার্টিগুলো অবশ্য এসব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছে না জানান নাহাস পাশা। বয়স মাত্র ৩২ হলেও রাজনীতিতে নবাগতা নন টিউলিপ। লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে পাসের পর লেবার নেতা মিলিব্যান্ডের সহযোগী হিসেবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালে কাজ করেছেন। ২০১০ সালে লন্ডনের ক্যামডেনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এই আসন থেকে নির্বাচনে লড়ার জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন গত বছরই। বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে পশ্চিম হ্যামস্টেডে থাকেন টিউলিপ। এতদিন পর্যন্ত হ্যাম্পস্টেড থেকে লেবার পার্টির হয়ে লড়তেন অস্কার-জয়ী অভিনেত্রী গ্লেন্ডা জ্যাকসন। গ্লেন্ডার ছেড়ে যাওয়া আসনেই এবার লড়তে হবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনঝিকে। নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার আগে টিউলিপকে কি বিশেষ কিছু উপদেশ দিয়েছেন খালা শেখ হাসিনা? এমন প্রশ্নে এর আগে টিউলিপ জানান, ‘খালার কাছ থেকে আমি সততা, সামাজিক ন্যায় ও সাম্যের মূল্যবোধ শিখেছি।’ তিনি বলেন, ‘পরিবর্তন আনার জন্যই আমি রাজনীতিতে এসেছি।’ সূত্র: বিবিসি বাংলা ও আনন্দবাজার মন্তব্য