তীব্র গরমে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ২৩ মে, ২০১৫ ১৭:৪০:০৮ সারাদেশে তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এজন্য দেশের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তীব্র গরমে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও স্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগে শিশু ও বয়ষ্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। গত কয়েকদিনের এই অস্বাভাবিক গরমে হিট স্ট্রো
কে কয়েকজন বয়স্ক রোগী মারা গেছেন। রাজধানী ঢাকার কয়েকটি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হাসপাতালে গরমজনিত কারণে কয়েকশ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে শিশু ও বয়ষ্ক রোগীর সংখ্যা সব থেকে বেশি। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগ। এরইমধ্যে রাজধানীর আইসিডিডিআরবি ও শিশু হাসপাতালে আসন সংখ্যার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে বেডের বিপরীতে কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি। বাড়তি রোগীর স্থান হচ্ছে হাসপাতালের মেঝেতে। হাসপাতালে ২১ জন বয়স্ক রোগী ডায়রিয়া, হিট স্ট্রোক ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। জরুরি বিভাগের মাধ্যমে প্রতিদিন শতাধিক রোগীর গরমজনিত রোগের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাড়তি চাপ থাকায় সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোগীদেরকে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। আইসিডিডিআরবি’র বিভাগীয় প্রধান ও বৈজ্ঞানিক ডা• শাহাদত হোসেন বলেন, “গরমের কারণে মানুষের মধ্যে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে। এরইমধ্যে গত কয়েকদিনে নিয়মিত রোগীর চেয়ে গরমজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, “এখন গরমের সময় শরীরে পানিশূন্যতার দেখা দেয়। এ কারণে বেশি বেশি করে পানি খেতে হবে। গরমে শিশুদের পরিচর্যার জন্য আমরা অভিভাবকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছি। যেমন, শিশুদেরকে বেশি বেশি বুকের দুধ খাওয়াতে হবে, প্রতিবার হাত ভালো করে পরিষ্কার করে খাবার খাওয়াতে হবে, বাচ্চাদেরকে গরম থেকে দূরে রাখতে হবে।” অন্যদিকে রাজধানীর কয়েকটি সরকারী-বেসরকারী শিশু হাসপাতালেও নিউমোনিয়া ও রোটা ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রচুর শিশু ভর্তি হয়েছে। পাশাপাশি বয়স্করাও ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। সব মিলিয়ে গরম জনিত কারণে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ এখন অনেক বেশি। এমএইচ
No comments:
Post a Comment