স্বস্তির বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে নগরবাসি স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ১১ মে, ২০১৫ ১০:৫৪:০৯ তীব্র তাপদাহের পর ঝুম বৃষ্টি। সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া। টানা কয়েক দিনের গরমে অতিষ্ট নগরবাসিকে স্বস্তির পরশ দিয়ে গেল এ বৃষ্টি। তবে স্বস্তির সঙ্গে ভোগান্তিও যুক্ত হয়েছে। গরম থেকে হাফ ছেড়ে বাঁচতে পারলেও বিপাকে পড়তে হয়েছে অফিসগামী মানুষকে। প্রায় আধা ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক জায়গাতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে য
োগ হয়েছে তীব্র যানজট। সোমবারের দিনটা অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়েছিল। কর্মব্যস্ত হয়ে উঠছিল রাজধানী বাসিন্দারাও। তবে হঠাৎ বদলে যায় আকাশ। ধূসর ভারী মেঘ সাতসকালেই নিয়ে আসে ঘোর সন্ধ্যা। যেন দিন শেষে আবারও রাতে দেখা। রাজপথে পথচারীদের মধ্যে শুরু হয় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি। গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বেলে ছুটতে থাকে। ততক্ষণে শুরু হয়ে যায় শন্শন্ বাতাসের পাগলা নাচন। পৌনে ৮টার দিকে আকাশ ভেঙে নেমে আসে বৃষ্টি। নিমেষে রাজধানী পথঘাট নেয়ে একাকার। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা হয়ে ফরিদপুর, মাদারীপুরের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী বয়ে গেছে। কালবৈশাখীর প্রভাবে এসব অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ ভোর ৪টার দিকে তা শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঢাকায় বয়ে যায় কালবৈশাখী। সড়কে থাকা গাড়িগুলো জ্বেলে দেয় লাইট। হু হু করে বইতে থাকে ঠান্ডা বাতাস। মানুষজন ছোটে এদিক-সেদিক। এরপর আটটার দিকে আকাশ ভেঙে নামে বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতেই নগরবাসীকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা যায়। তবে পরক্ষণেই যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন, তারা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। নগরীর বেশিরভাগ সড়কে পানি জমে গেছে। গলির রাস্তাগুলোর পানি হাঁটুর উপরে। এসব ভোগান্তি ঠেলে অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে ছুঁটেছেন স্কুলে। কর্মমুখী মানুষকে যেতে হয়েছে গন্তব্যে। এই সুযোগ বুঝে রিকশা আর সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোকে গলা কাটা ভাড়া হাঁকাতে দেখা গেছে। এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়া। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গার ক্ষেত্রেও একই পূর্বাভাস প্রযোজ্য। আজ সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এআর
No comments:
Post a Comment