মিশর আবার আদিম যুগে ফিরে গেছে: এরদোগান আন্তর্জাতিক ডেস্ক আরটিএনএন ইস্তাম্বুল: মিশরের ক্ষমতাচ্যুত ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বের যে নেতা প্রথম উচ্চকণ্ঠ হলেন তিনি আর কেউ নন, তুরস্কের স্পষ্টভাষী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান। শনিবার ইস্তাম্বুলের সুলতানগাজিতে এক অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেন, ‘আজ আরেকটি ঘটনা ঘটেছে। আমি এইমাত্র খবরটি শুনলাম। মুরসি জনগণের ৫২% ভোট
পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এখানে মজার একটি বিষয় আছে।’ ‘মিশর প্রাচীন যুগে ফিরে গেছে। মিশর সিসিকে প্রতিহত করতে পারেনি। পশ্চিমা অভ্যুত্থানের কারণে সিসিকে রুখে দেয়া যায়নি। তারা শুধু নীরব দর্শক হয়ে আছে এবং এটা বন্ধে কিছুই করছে না।’ ‘তারা একে অন্যকে আলিঙ্গন করে চলছেন।’ তিনি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানান। এরদোগান তাদের নীরবতারও সমালোচনা করেন। ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন, পাশ্চাত্য তোমরা তো মৃত্যুদণ্ড কি রহিত করেছ? তোমরা যদি সেটা করে থাকো তাহলে যারা এটা করছে (মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে) তাদের বিরুদ্ধে কি তোমরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছ? তোমরা কিসের জন্য অপেক্ষা করছ? তোমরা এখনো নীরব কেন?’ বলেন এরদোগান। এ সময় এরদোগান আবারো ২০১৩ সালের সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ‘সেই অভ্যুত্থানে শুধু মিশরীয় গণতন্ত্রই ধসে পড়েনি, সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের আশা বিদ্ধ হয়েছে।’ তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী ইয়ালসিন আকদোগানও আদালতের রায়কে ‘ঘৃণ্য’ কাজ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া সেনা অভ্যুত্থানের মতই ঘৃণ্য কাজ।’ পতিত স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানকালে জেলে ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে শনিবার মিশরের একটি আদালত মুরসি ও মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মোহাম্মদ বাদিসহ ১০৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রহসনের বিচার বলে মন্তব্য করেছে। সূত্র: এপি, আনাদোলু এজেন্সি মন্তব্য
No comments:
Post a Comment