Tuesday, May 5, 2015

নারী নির্যাতনের মৃত্যুদণ্ড অসাংবিধানিক:টাইমনিউজ

নারী নির্যাতনের মৃত্যুদণ্ড অসাংবিধানিক স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ০৫ মে, ২০১৫ ১৩:০৬:৪০ ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড ছাড়া বিকল্প শাস্তির বিধান না রেখে প্রণীত ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের তিনটি ধারা এবং ওই আইন সংশোধনের পরও আগের মামলাগুলো পুরনো আইনে চালানোর বৈধতা দিয়ে ২০০০ সালের আইনে যুক্ত একটি ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে আপিল বিভাগ। একটি রিট মামলার নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপ
তি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দেয়। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইনের ৬ এর ২, ৩, ৪ ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ওই ধারাগুলোতে ধর্ষণ ও হত্যার ক্ষেত্রে সাজা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। তিনটি ধারায় সাজা হিসাবে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবনের বিধান রাখা হলেও ৬(২) ধারায় ধর্ষণ করে হত্যার দায়ে কেবল মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল। ২০০০ সালে আইনটি সংশোধন করা হলে পুরনো আইন রহিত হয়ে যায়। নতুন আইনের ৯(২) ধারায় ধর্ষণ করে হত্যার ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়। কিন্তু ২০০০ সালের আইনের ৩৪ এর ২ ধারায় বলা হয়, এ ধরনের অভিযোগে ১৯৯৫ সালের আইনে যেসব মামলা বিচারাধীন, সেগুলো ওই আইনেই চলবে। আপিল বিভাগের রায়ে এই ধারাটিও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছে। মৃত্যুদন্ড ছাড়া বিকল্প শাস্তির বিধান না থাকায় এর আগে হাই কোর্ট ১৯৯৫ সালের আইনের ৬ এর ২ ধারা সংবিধানপরিপন্থী বলে রায় দিয়েছিল। আইনজীবীরা বলছেন, ১৯৯৫ সালের আইনে বিচারাধীন মামলাগুলোর ভবিষ্যত এখন কী হবে তা আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১১ জুন মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার শিবরামপুর গ্রামে শুকুর আলী নামে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা করে। ২০০১ সালের ১২ জুলাই বিচারিক আদালত শুকুর আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০০৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। পরের বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগেও সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকে। শুকুর আলী রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে ওই বছরের ৪ মে তাও খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। এরপর শুকুর আলী ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন। ২০১০ সালের ২ মার্চ হাই কোর্ট ৬ এর ২ ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। তবে আপিল বিভাগে শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকায় হাই কোর্ট তাতে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। সাজা না কমায় ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবারও আপিল বিভাগে আসেন শুকুর ও ব্লাস্ট। এছাড়া ওই আইনে দণ্ডপ্রাপ্তদের আরও ১০টি আবেদনের শুনানি করে গত মাসে আপিল বিভাগ বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে। এএইচ

No comments:

Post a Comment