ঢাকা: সপ্তাহ খানেক ধরে তীব্র তাপদাহের পর অবশেষে রাজধানীতে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। সোমবার সকালে একপশলা বৃষ্টি হয়েছে। এতে স্বস্তির ছোঁয়া পেয়েছেন রাজধানীবাসী। একইসঙ্গে দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা। বৃষ্টি শুরুর পর রাজপথে পথচারীদের মধ্যে শুরু হয় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি। গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বেলে ছুটতে থাকে। ততক্ষণে শুরু হয়ে যায় শন্শন্ বাতাসের পাগলা নাচন। পৌনে আটটার দিক
ে আকাশ ভেঙে নেমে আসে বৃষ্টি। নিমেষে রাজধানীর পথঘাট নেয়ে একাকার। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা হয়ে ফরিদপুর, মাদারীপুরের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী বয়ে গেছে। কালবৈশাখীর প্রভাবে এসব অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। সোমবার ভোর চারটার দিকে তা শুরু হয়। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে ঢাকায় বয়ে যায় কালবৈশাখী। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, “সকাল সাতটা থেকে নয়টা পর্যন্ত ঢাকায় প্রায় ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।” আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, সোমবার ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গার ক্ষেত্রেও একই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সোমবার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। স্বস্তির সঙ্গে বৃষ্টির কারণে কিছুটা দুর্ভোগও পোহাতে হয়েছে ঘরের বাইরে চলাচলকারীদের। সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হয়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়, মগবাজার, মৌচাক, মহাখালী, রামপুরা, কারওয়ানবাজার এলাকায় যানজট তুলনামূলকভাবে বেশি। হঠাৎ ঝড়বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন রাজধানীর মানুষ। ছাতা নিয়ে বের না হওয়ায় অনেকে ভিজে যান। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা। সড়কে পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগ আরও বাড়ে। এই সুযোগে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশাওয়ালারা বাড়িয়ে দেন ভাড়া। নতুন বার্তা/কেএমআর
No comments:
Post a Comment