কাদের নির্যাতনের মামলায় ওসি হেলালের ৩ বছর জেল আদালত রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ১৭ মে, ২০১৫ ১৭:৩৬:১৮ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আব্দুল কাদেরকে থানায় এনে পিটিয়ে জখম করার মামলায় খিলগাও থানার তৎকালীন ওসি হেলাল উদ্দিনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ওসি হেলালকে আরও দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে অতিরিক্ত তিন মাসের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। রোববার বিকেলে ঢাকা প্রথম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আলম
গীর কবীর রাজ এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় জামিনে থাকলেও রায় ঘোষণার সময় অসুস্থ উল্লেখ করে সময় চেয়ে আবেদন জানান হেলাল উদ্দিন। বিচারক সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে পলাতক বিবেচনা করে এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৬ জুলাই রাতে খালার বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে ফেরার পথে খিলগাঁও থানার ওসি আব্দুল কাদেরকে অন্যায়ভাবে আটক করেন। পরে তাকে থানায় নিয়ে নির্যাতনের মুখে একটি মামলায় জোরপূর্বক তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা করেন ওসি হেলাল। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ধারালো চাপাতি দিয়ে কাদেরের পায়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন ওসি। এছাড়াও লাঠি দিয়ে তাকে মারধর করা হয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ খবর প্রচারের পর আদালত ওসি হেলালের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আদেশ দেন। আইন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ও হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আব্দুল কাদের ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি ওসি হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। আদালতে জবানবন্দিতে কাদের বলেন, তিনি তার আবাস ফজলুল হক হলে ফেরার পথে সেগুন বাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে তাকে আটকায় পুলিশ। “সাদা পোশাকের পুলিশ আমার পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পরে তারা আমাকে খিলগাঁও থানায় নিয়ে যায়। এই সময় ওসি হেলাল উদ্দিন জোর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য আমাকে মেরে জখম করে।” কাদেরকে আটকের পর ছিনতাইকারী হিসেবে দেখাতে চেয়েছিল পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি আদায়ে ওসি হেলাল যে চাপ দিয়েছেন, তাও উঠে এসেছে এ মামলার বিচারে। মামলার শুনানিতে কাদের বলেন, “এরপরও আমার কাছে কোনো তথ্য না পাওয়ায় চাপাতি দিয়ে আমাকে আঘাত করে।” বর্তমানে আব্দুল কাদের বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডারে সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে কর্মরত আছেন। আব্দুল কাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের ২০২ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আবদুর রউফ কুমিল্লার দেবীদ্বারের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে কাদের তৃতীয়। কেবি
No comments:
Post a Comment