বলেন। গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে প্রায় ১৭ লাখ সিরীয় এবং ৩ লাখ ইরাকি তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে। আলবেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বুজার নিশানির সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এরদোগান বলেন, অভিবাসী সংকট নিরসনে উন্নত দেশগুলোর দায়িত্ব রয়েছে। ‘আমরা দেখছি ভূমধ্যসাগর এবং অন্যত্র অভিবাসীরা কিভাবে মারা যাচ্ছে,’ বলেন এরদোগান। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ, বিশেষ করে ইতালি যাবার সময় বহু অভিবাসী নৌকাডুবে মারা যাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মুসলিমরা মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে একইভাবে মারা যাচ্ছে। এরদোগান বলেন, ‘এসব অসহায়, নিরাশ্রয় দরিদ্র লোকদের প্রতি আমরা কি সহানুভূতিশীল হতে পারি? ধনী দেশগুলোর এসব লোকদের জন্য কোনো সমাধান থাকা উচিত নয় কি? তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। প্রত্যেকেরই উচিত নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা।’ ইসলামপন্থী এরদোগানের নেতৃত্বে তুর্কি সরকার মানবতার কল্যাণে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে আসছে। এরদোগানের আলবেনিয়া সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার। সফরে ১০০ ব্যবসায়ীকে সঙ্গী করেন এরদোগান। তুরস্কের অন্যতম ব্যবসায়িক অংশীদার আলবেনিয়া। বতর্মানে দুটো দেশের মধ্যে বছরে ৪৩ কোটি ডলারের বাণিজ্য রয়েছে, যাকে দ্বিগুণ করতে চান এরদোগান। আলবেনিয়ার অবকাঠামো, ইস্পাত শিল্প, ব্যাংকিং, জ্বালানি ও টেলিযোগাযোগ খাতে ২৭০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে তুর্কি ব্যবসায়ীরা। তুরস্কের সাথে আলবেনিয়ার সম্পর্ক কয়েক শতাব্দী থেকেই মজবুত। পঞ্চদশ শতাব্দী থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত আলবেনিয়া উসমানী খেলাফতের অধীনে ছিল। ২০০৯ সালে আলবেনিয়ার ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালায় তুরস্ক। আলবেনীয় সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তুরস্ক। সফরকালে এরদোগান রাজধানী তিরানায় একটি ২০,০০০ বর্গফুট মসজিদের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ৩২ লাখ জনসংখ্যার ছোট দেশ আলবেনিয়ার বেশিরভাগ অধিবাসীই ইসলাম ধর্মাবলম্বী। সূত্র: এপি মন্তব্য
Thursday, May 14, 2015
আসুন, অসহায় অভিবাসীদের পাশে দাঁড়াই: এরদোগান:আরটিএনএন
বলেন। গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে প্রায় ১৭ লাখ সিরীয় এবং ৩ লাখ ইরাকি তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে। আলবেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বুজার নিশানির সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এরদোগান বলেন, অভিবাসী সংকট নিরসনে উন্নত দেশগুলোর দায়িত্ব রয়েছে। ‘আমরা দেখছি ভূমধ্যসাগর এবং অন্যত্র অভিবাসীরা কিভাবে মারা যাচ্ছে,’ বলেন এরদোগান। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ, বিশেষ করে ইতালি যাবার সময় বহু অভিবাসী নৌকাডুবে মারা যাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মুসলিমরা মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে একইভাবে মারা যাচ্ছে। এরদোগান বলেন, ‘এসব অসহায়, নিরাশ্রয় দরিদ্র লোকদের প্রতি আমরা কি সহানুভূতিশীল হতে পারি? ধনী দেশগুলোর এসব লোকদের জন্য কোনো সমাধান থাকা উচিত নয় কি? তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। প্রত্যেকেরই উচিত নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা।’ ইসলামপন্থী এরদোগানের নেতৃত্বে তুর্কি সরকার মানবতার কল্যাণে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে আসছে। এরদোগানের আলবেনিয়া সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার। সফরে ১০০ ব্যবসায়ীকে সঙ্গী করেন এরদোগান। তুরস্কের অন্যতম ব্যবসায়িক অংশীদার আলবেনিয়া। বতর্মানে দুটো দেশের মধ্যে বছরে ৪৩ কোটি ডলারের বাণিজ্য রয়েছে, যাকে দ্বিগুণ করতে চান এরদোগান। আলবেনিয়ার অবকাঠামো, ইস্পাত শিল্প, ব্যাংকিং, জ্বালানি ও টেলিযোগাযোগ খাতে ২৭০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে তুর্কি ব্যবসায়ীরা। তুরস্কের সাথে আলবেনিয়ার সম্পর্ক কয়েক শতাব্দী থেকেই মজবুত। পঞ্চদশ শতাব্দী থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত আলবেনিয়া উসমানী খেলাফতের অধীনে ছিল। ২০০৯ সালে আলবেনিয়ার ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালায় তুরস্ক। আলবেনীয় সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তুরস্ক। সফরকালে এরদোগান রাজধানী তিরানায় একটি ২০,০০০ বর্গফুট মসজিদের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ৩২ লাখ জনসংখ্যার ছোট দেশ আলবেনিয়ার বেশিরভাগ অধিবাসীই ইসলাম ধর্মাবলম্বী। সূত্র: এপি মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment