াউঞ্জে দিগন্ত টেলিভিশন ‘সাময়িক সম্প্রচার নিষেধাজ্ঞার আঁধারে দুঃসহ ২ বছর’ শীর্ষক প্রতিবাদী সংহতি সম্মিলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংবিধান আবার পরিবর্তন করা না হবে ততদিন পর্যন্ত মিডিয়ার উপর এরকম অত্যাচার চলতেই থাকবে। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী বলেন, কয়েকদিরন আগে মুক্ত মিডিয়া দিবস গেছে তথ্যমন্ত্রী মিডিয়ার অনেক সমলোচনা করেছেন। কিন্তু যে সব মিডিয়া বন্ধ আছে সে সর্ম্পকে তিনি কোনো কথা বলেননি। এটা খুবই দুঃখজনক। সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ বলেন, যে সমাজে ভিন্ন মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকে না সে সমাজ বেশি দিন টিকে না। তিনি বলেন, ‘দিগন্ত টেলিভিশন বন্ধের কারণে আমি দু’ধরনের কষ্টে আছি- প্রথমটি হচ্ছে সঠিক তথ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি দ্বিতীয়টি যারা এখানে কাজ করেছে তাদের পরিবারের নিদারুন করুণ কাহিনী।’ হেফাজতে ইসলামের ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচির দিনে ২০১৩ সালের ৬ মে গভীর রাতে বন্ধ করে দেয়া হয় দিগন্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার। সেদিনই ইসলামিক টেলিভিশনের সম্প্রচারও বন্ধ করে সরকার। অনুষ্ঠানে নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন বলেন, আমি ৫০ বছর সাংবাদিকতা করছি। মিডিয়ার উপর এরকম পরিস্থিতি কখনও দেখিনি। আজকে নয়া দিগান্ত পত্রিকা অনেক জায়গায় গোপনে পড়তে হয়। তিনি বলেন, দিগন্ত টিভি এমন একটি সংবাদমাধ্যম ছিল যা কখনো বস্তুনিষ্ঠতা থেকে সরেনি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার হিটলারকে অনুসরণ করছে। হিটলার বলেছিল- জনগণ কিছু না, দুটি জিনিসকে নিয়ন্ত্রণ করলে ক্ষমতায় থাকা যায়, একটি হচ্ছে গণমাধ্যম অপরটি হচ্ছে ধর্ম। কলামিষ্ট ও কবি ফরহাদ মাজাহার বলেন,‘কিছু গণমাধ্যম সন্ত্রাসী মিডিয়া হিসেবে কাজ করছে। সাংবাদিক হয়েও যারা একটি দলের হয়ে কাজ করে তারা সরকারি দলের ক্যাডার ছাড়া আর কিছু নয়।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের মিডিয়া বন্ধের জন্য শুধুমাত্র শেখ হাসিনা দায়ি নয়, আন্তার্জাতিক সন্ত্রাসবাদীরা জড়িত ।এটা ব্যর্থ রাষ্ট্রের গভীর ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মানে হচ্ছে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না, যেতে হলে আঙ্গুলের মাধ্যমে যেতে হবে। ‘বর্তমান ক্ষমতাসীনদের কপালেও দুর্ভোগ আছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশে শান্তি আসবে না, সামনে আরো কঠিন সময় অতিক্রম করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে এখন এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে নবীর বিরুদ্ধে কথা বললে কিছু হয় না অথচ বঙ্গবন্ধু ও হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বললে খবর আছে। প্রতিবাদী সংহতি সম্মিলনে আরো বক্তব্য রাখেন জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকোমল বড়ুয়া রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, প্রেসক্লাবের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ। মন্তব্য
Wednesday, May 6, 2015
গণতন্ত্রের আড়ালে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে: রউফ:আরটিএনএন
াউঞ্জে দিগন্ত টেলিভিশন ‘সাময়িক সম্প্রচার নিষেধাজ্ঞার আঁধারে দুঃসহ ২ বছর’ শীর্ষক প্রতিবাদী সংহতি সম্মিলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংবিধান আবার পরিবর্তন করা না হবে ততদিন পর্যন্ত মিডিয়ার উপর এরকম অত্যাচার চলতেই থাকবে। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী বলেন, কয়েকদিরন আগে মুক্ত মিডিয়া দিবস গেছে তথ্যমন্ত্রী মিডিয়ার অনেক সমলোচনা করেছেন। কিন্তু যে সব মিডিয়া বন্ধ আছে সে সর্ম্পকে তিনি কোনো কথা বলেননি। এটা খুবই দুঃখজনক। সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ বলেন, যে সমাজে ভিন্ন মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকে না সে সমাজ বেশি দিন টিকে না। তিনি বলেন, ‘দিগন্ত টেলিভিশন বন্ধের কারণে আমি দু’ধরনের কষ্টে আছি- প্রথমটি হচ্ছে সঠিক তথ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি দ্বিতীয়টি যারা এখানে কাজ করেছে তাদের পরিবারের নিদারুন করুণ কাহিনী।’ হেফাজতে ইসলামের ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচির দিনে ২০১৩ সালের ৬ মে গভীর রাতে বন্ধ করে দেয়া হয় দিগন্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার। সেদিনই ইসলামিক টেলিভিশনের সম্প্রচারও বন্ধ করে সরকার। অনুষ্ঠানে নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন বলেন, আমি ৫০ বছর সাংবাদিকতা করছি। মিডিয়ার উপর এরকম পরিস্থিতি কখনও দেখিনি। আজকে নয়া দিগান্ত পত্রিকা অনেক জায়গায় গোপনে পড়তে হয়। তিনি বলেন, দিগন্ত টিভি এমন একটি সংবাদমাধ্যম ছিল যা কখনো বস্তুনিষ্ঠতা থেকে সরেনি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার হিটলারকে অনুসরণ করছে। হিটলার বলেছিল- জনগণ কিছু না, দুটি জিনিসকে নিয়ন্ত্রণ করলে ক্ষমতায় থাকা যায়, একটি হচ্ছে গণমাধ্যম অপরটি হচ্ছে ধর্ম। কলামিষ্ট ও কবি ফরহাদ মাজাহার বলেন,‘কিছু গণমাধ্যম সন্ত্রাসী মিডিয়া হিসেবে কাজ করছে। সাংবাদিক হয়েও যারা একটি দলের হয়ে কাজ করে তারা সরকারি দলের ক্যাডার ছাড়া আর কিছু নয়।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের মিডিয়া বন্ধের জন্য শুধুমাত্র শেখ হাসিনা দায়ি নয়, আন্তার্জাতিক সন্ত্রাসবাদীরা জড়িত ।এটা ব্যর্থ রাষ্ট্রের গভীর ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মানে হচ্ছে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না, যেতে হলে আঙ্গুলের মাধ্যমে যেতে হবে। ‘বর্তমান ক্ষমতাসীনদের কপালেও দুর্ভোগ আছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশে শান্তি আসবে না, সামনে আরো কঠিন সময় অতিক্রম করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে এখন এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে নবীর বিরুদ্ধে কথা বললে কিছু হয় না অথচ বঙ্গবন্ধু ও হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বললে খবর আছে। প্রতিবাদী সংহতি সম্মিলনে আরো বক্তব্য রাখেন জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকোমল বড়ুয়া রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, প্রেসক্লাবের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ। মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment