Sunday, April 5, 2015

দুই দেশের আলোচনায় আসবে ট্রানজিট ফি:Time News

দুই দেশের আলোচনায় আসবে ট্রানজিট ফি স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ০৫ এপ্রিল, ২০১৫ ০৮:৩৫:৩২ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার নৌ সচিব পর্যায়ের বৈঠক আগামী ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বৈঠকে প্রথমবারের মত আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রানজিটের ফি ও অন্যান্য শুল্কায়ন নির্ধারণে আলোচনা করতে যাচ্ছে প্রতিবেশি দুই দেশ। পররাষ্ট্র ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, ২০ এপ্রিল থেকে তিন দিনব্যাপী নৌ সচিব
পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকের প্রস্তাবিত আলোচ্য সূচিতে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রানজিট এবং কাস্টমস চার্জ আরোপের বিষয়টি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ট্রানজিটের মাধ্যমে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য আমদানি ও রফতানি শুল্ক পরিহার করতে নির্দিষ্ট মেয়াদে ট্রানজিট গ্যারান্টি আরোপের বিষয় নিয়েও আলোচনায় রাখা হবে। নৌ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ট্রানজিট ফি এবং সংশ্লিষ্ট চার্জ বিষয়টি আছে। বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে থাকবে কি-না সে সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই আসবে। এর আগে নৌ প্রটোকল নিয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে মানবিক কারণে ৩৫ হাজার টন খাদ্যশস্য পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ভারত নিয়মিত ট্রান্সশিপমেন্ট করতে চাইলে তার ওপর সব ধরনের চার্জ ও ফি আরোপের সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে নিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাবও আসে। জানা গেছে, সচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে এরই মধ্যে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঠিক করা হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার নৌ প্রোটকল বা প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড টেড (পিআইডবি¬উটিটি) নবায়নের অনুষ্ঠানিকতার আগে ‘লেটার অব এক্সচেঞ্জ’র মাধ্যমে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে আশুগঞ্জে অভ্যন্তরীণ কন্টেনার টার্মিনাল (আইসিটি) নির্মাণে ভারতের সহায়তা চাওয়া হবে। এছাড়া দুই দেশের নির্ধারিত ‘পোর্ট অব কলস’ বাড়ানোর বিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবে বাংলাদেশ। ভারতের বন্দরগুলোতে বাংলাদেশি নাবিকদের অবতরণ অনুমতি চাওয়া হবে। একইসঙ্গে পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশি নৌযানগুলোর ভাড়া পুর্ননির্ধারণের বিষয়টিতে ভারতের মতামত চাওয়া হবে। জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারতের বিদ্যমান নৌপ্রটোকল চুক্তি ৫ বছরের জন্য নবায়ন হচ্ছে। ভারতের পক্ষ থেকে ১০ বছরের জন্য নবায়নের প্রস্তাব দেওয়া হলেও বাংলাদেশ তাতে সম্মতি দেয়নি। বাংলাদেশ প্রথমে ৩ বছরের জন্য মত দিলেও বাণিজ্য চুক্তির আদলে একই মেয়াদে নৌপ্রটোকল চুক্তি ৫ বছরের জন্য নবায়নের বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালে নবায়ন করা নৌ প্রোটকল চুক্তিটির মেয়াদ ৩১ শে মার্চ শেষ হয়েছে। নৌপথে কম মূল্যে পণ্য পরিবহনের জন্য চুক্তিটি বাংলাদেশ ও ভারতের ১৯৭২ সালের ২৮ মার্চের বাণিজ্য চুক্তির আওতায় প্রথম সই হয়। সে সময়ে চুক্তিটি এক বছর এবং পরবর্তীতে দুই বছর পরপর নবায়ন করা হতো। তবে ২০১৩ সালে বাণিজ্য চুক্তির মেয়াদ ৩ বছর করা হয়। সে সঙ্গে এ চুক্তিটিও তিন বছর মেয়াদি হয়ে যায়। এসএইচ


No comments:

Post a Comment