Thursday, April 2, 2015

'আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই আমার স্বামীকে নিয়ে গেছে':Time News

'আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই আমার স্বামীকে নিয়ে গেছে' স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ০২ এপ্রিল, ২০১৫ ১৬:২০:২৮ সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য  হাসিনা আহমেদ বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমার স্বামীকে তুলে নেয়ার কথা অস্বীকার করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া তাকে কেউ নিখোঁজ করে নাই। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আ
হমেদের সন্ধান এবং নির্বিচারে গ্রেফতার, গুম, খুন, অপহরণ ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডড বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমার স্বামীকে তুলে নেয়ার কথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অস্বীকার করলেও তা কোন মানুষ বিশ্বাস করে না। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বারবার আবেদন জানিয়েছি আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিতে। আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিলে তারা আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিবে। হাসিনা আহমেদ বলেন, আমার স্বামী যদি কোন অপরাধ করে থাকেন বা তার বিরুদ্ধে কোন মামলা থাকে তাহলে তাকে অবিলম্বে আদালতে সোপর্দ করে আইনি প্রক্রিয়ায় যখাযথ বিচার কার্যক্রম গ্রহণ করুন। এভাবে তাকে নিখোঁজ করে রাখায় অজানা আতংকে আছি আমরা। তাকে কোথায় নেয়া হয়েছে কি অবস্থায় আছেন তা আমরা জানি না। তিনি আরো বলেন, আমার চারটা ছেলেমেয়ে নিয়ে আমি এখন কি করবো জানি না। আমার ছেলে মেয়েদের কোন জবাব দিতে পারি না। তারা বারবার জিজ্ঞাসা করে তাদের বাবার খবর আমি কিছু বলতে পারি না। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুহুল আমিন গাজী বলেন, দেশে বিচার বহির্ভূত হত্যা এখন এক বিভীষিকার নাম। ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের নামে ফ্রি স্ট্রাইলে চলছে পুলিশ-র‌্যাবের এই বিচার বহির্ভূত হত্যা। গড়ে প্রতিদিন দুজন এবং কোন দিন ৪-৫ জনও এভাবে বিচার বহির্ভূত হত্যা কাণ্ডের শিকার হচ্ছেন। এরা বেশির ভাগই বিএনপি- জামায়াতের নেতাকর্মী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এক গুমের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রয়ারি পযর্ন্ত মোট ১১৩ জন গুম হয়েছে। এর মধ্যে গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন ১৭ জন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৪৬ জন। বাকী ৫০ জনের কোন হদিস নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক গুম আর গুপ্ত হত্যায় মানুষ ভীত- সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক বলেন, বাংলাদেশে যতগুলো গুমের ঘটনা ঘটেছে তার প্রত্যেকটির ক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে সাদা পোশাকধারীরাই নিখোঁজ ব্যক্তিদের উঠিয়ে নিয়ে গেছে। চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলী এবং সর্বশেষ সালাহ উদ্দিন আহমেদের ক্ষেত্রে একই ধরনের বর্ণনা পাওয়া গেছে। এভাবে সাদা পোশক ও সাদা গাড়ির অপহরণকারীরা দেশে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। রুহুল আমিন গাজী আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থ্যা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি নিয়ে বলেন, বিবৃতিতে তারা বলেছে, বাংলাদেশে সহিংসতা দমনে সরকার নির্বিচারে গ্রেফতার, বিচার বহির্ভূত হত্যাযজ্ঞ ও গুমের পথ বেছে নিয়েছে। বিচার বহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে দেশে বিদেশে মানবাধিকার সংস্থ্যাগুলোর জোরালো প্রতিবাদ উঠে এসেছে। এসব প্রতিবাদে বলা হয়, ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, এনকাউন্টার ইত্যাদি ও গোপন মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মানুষের প্রাণ নিয়ে আইন রক্ষার কৌশল হতে পারে না। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের উদ্দেশ্য বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আত্মগোপন করে থাকলে তাকে খুঁজে বের করুন। তাকে খুঁজে বের করা আপনাদের দায়িত্ব। বাংলাদেশ তো আপনাদের নাকের ডগায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সালাহ উদ্দিনের স্টাফদের ধরে নিয়ে তার সম্পর্কে খোজ খরব নিয়েছেন। তার পর থেকে তিনি নিখোঁজ। তাহলে যেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টিম তাকে খুজেঁছে সেসব টিম মিডিয়ার সামনে হাজির করুন। মিডিয়া জিজ্ঞাসা করবে সালাহ উদ্দিকে কেন তারা খুজেঁছেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ড্যাব এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ইউট্যাব সভাপতি সাবেক প্রোভিসি ঢাবি অধ্যাপক ড. আ.ফ.ম ইউসুফ হায়দার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, কৃষিবিদ এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সহ পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ। এমএইচ/ এআর


No comments:

Post a Comment