
রত আসতে চাইলেও বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস না থাকায় তারা পড়েছেন বিপাকে। কার সাথে যোগাযোগ করবেন তাও বুঝে উঠতে পাড়ছেন না। এ অবস্থায় তারা অতিদ্রুত বাংলাদেশ সরকারের সাহায্য কামনা করেছেন। এদিকে তাদের পরিবারের সদস্যরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। সোমবার ইয়েমেন প্রবাসীদের বেশ কয়েকজন পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে নিজেদের দুর্দশার কথা জানান। কয়েকজন গণমাধ্যমের কাছেও আকুতি প্রকাশ করেন। রাজশাহী বাঘমারার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করুন। আমরা এখানে বেশকিছু বাংলাদেশি আছি কিন্তু কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছি না। কোথায় কিভাবে কার কাছে যাব তা বুঝতে পারছি না। ভারত পাকিস্তানসহ অন্যরা যারা ছিল তারা সবাই গতরাতে চলে গেছে। শুধু আমরা বাংলাদেশিরাই আটকা পড়ে আছি। আমরা কোথাও বের হতে পারছি না। কোনো খবরও পাচ্ছি না। তাই কি করবো বুঝতে পারছি না। আমাদেরকে এখান থেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।’ কি পরিমাণ বাংলাদেশি দেশটিতে আটকা পড়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সংখ্যাটা সঠিক বলতে পারবো না, তবে ধারণা করে ও অন্যদের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করে বলতে পারি এডেল শহরে আছে এক থেকে দেড় হাজার বাংলাদেশি আর সান’আয় আছে আরো ৩-৪ হাজারের মতো। তিনি আরো বলেন, এখানে বাংলাদেশ দূতাবাস নেই। তাই কার সাথে যোগাযোগ করবো তা বুঝতে পারছি না। এদিকে ইয়েমেন প্রসঙ্গে সৌদি আরবের পক্ষ নিয়েছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদো রাব্বো মানসুর হাদির বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে শিয়াপন্থি হুথি বিদ্রোহীদের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়ে সরকারের উদ্যোগের কোন তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। জেআই
No comments:
Post a Comment