হয়েছিল। কিন্তু তারা একসঙ্গে বসবাস করবার আগেই পাক রূহের শক্তিতে মারিয়াম গর্ভবর্তী হয়েছিলেন। মারিয়ামের স্বামী সৎ লোক ছিলেন… (মথি ১/১৮-২৫)। কিন্তু শিশুটি মোটেও সাধারণ শিশু ছিল না। শিশুটির জন্ম হয়েছিল ঈশ্বরের প্রভাবে মারিয়ার গর্ভে। মারিয়ার স্বামী কাঠমিস্ত্রী যোসেফ ছিলেন যিশুর পালক পিতা মাত্র। এই শিশুটি আসলে ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র। খিষ্ট্রধর্ম গ্রন্থ ইউহান্নাতে বলা হয়েছে, আল্লাহ মানুষকে এত মহববত করলেন যে, তাঁর একমাত্র পুত্রকে তিনি দান করলেন। যেন যে কেউ সেই পুত্রের উপর ঈমান আনে, সে বিনষ্ট না হয়। কিন্তু অনন্ত জীবন পায়’ (ইউহান্না ৩/১৬)। পৃথিবী যখন পাপে পরিপূর্ণ, ঈশ্বর তখন তাঁর একমাত্র পুত্রকে মানুষরূপে পৃথিবীতে পাঠালেন মানব জাতিকে পাপের পথ থেকে উদ্ধার করতে, শয়তানের হাত থেকে রক্ষা করতে। রাতের বেলা বেথলেহেমের মাঠে ভেড়া চড়াচ্ছিল একদল রাখাল। যিশুর জন্মের পরপরই স্বর্গের দূতেরা এসে তাদের বলল, ওই গোয়ালঘরে তোমাদের উদ্ধারকর্তা জন্মেছেন, যাও তাঁকে শ্রদ্ধা জানাও এবং ঈশ্বরের প্রশংসা করো। রাখালেরা তা-ই করল। যিশুর জন্মের পরপরই আকাশের বুকে ফুটে উঠেছিল একটি বিশেষ তারা। পূর্ব দেশের পণ্ডিতেরা সেই তারা দেখে বুঝতে পারলেন, পৃথিবীতে সেই মহান রাজার জন্ম হয়েছে, ঈশ্বর যাঁকে পাঠানোর কথা বলেছিলেন মানবজাতির মুক্তির জন্য। পূর্ব দেশের তিন পণ্ডিত বহু দূর দেশ থেকে বেথলেহেমে রওনা হলেন তাঁদের রাজাধিরাজকে শ্রদ্ধা জানাতে। যিশু নামের সেই শিশুটি বড় হয়ে পাপের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষকে মুক্তির বাণী শোনালেন। তিনি বললেন, ‘ঘৃণা নয়, ভালোবাসো। ভালোবাসো সবাইকে, ভালোবাসো তোমার প্রতিবেশীকে, এমনকি তোমার শত্রুকেও। মানুষকে ক্ষমা করো, তাহলে তুমিও ক্ষমা পাবে। কেউ তোমার এক গালে চড় মারলে তার দিকে অপর গালটিও পেতে দাও।’তিনি আরও বললেন, ‘পাপীকে নয়, ঘৃণা করো পাপকে। গরিব-দুঃখীদের সাধ্যমতো সাহায্য করো, ঈশ্বরকে ভয় করো।’ যিশুর কথা শুনে অনেকে তাদের মন ফেরাল। ঈশ্বরের নামে অসুস্থদের সুস্থ করে তুললেন তিনি, মৃত মানুষকে জীবিত করলেন। যিশুখ্রিষ্ট হয়ে উঠলেন মানুষের মনের রাজা। রাষ্ট্রীয়, ধর্মীয় এবং সমাজনেতারা এসব সহ্য করতে পারলেন না। যিশুখ্রিষ্টকে তাঁরা তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে শুরু করলেন। তাঁরা যিশুকে বন্দী করে ক্রুশে বিদ্ধ করে হত্যা করলেন। মৃত্যুর তৃতীয় দিনে যিশু কবর থেকে উঠে প্রমাণ করলেন, তিনি সত্যি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন। বড়দিন, যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন, মানবজাতির বিজয়ের দিন, মহা আনন্দের দিন। সারা বিশ্বের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও দিনটি পালন করে থাকে আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে। বড়দিনের বেশ কিছুদিন আগ থেকেই শুরু হয়ে যায় যিশুকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি। প্রস্তুতি দুই ধরনের—আধ্যাত্মিক ও বাহ্যিক। আধ্যাত্মিক প্রস্ততি হলো ঈশ্বরের কাছে পাপের ক্ষমা চেয়ে পাপের জন্য অনুতাপ করা এবং কারও সঙ্গে বিরোধ থাকলে তা মিটিয়ে ফেলে নিজেকে প্রস্তুত করা। আর বাহ্যিক প্রস্তুতি মানে তো সাজ সাজ রব। বড়দিনের অনেক আগ থেকেই শুরু হয়ে যায় ঘরবাড়ি পরিষ্কার করা, বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানানো, কেক বানানো আর নতুন জামাকাপড় বানানোর ধুম। এ ছাড়া আছে বড়দিনের কীর্তনের রিহার্সেল, নাটকের রিহার্সেল আর বড়দিনের বিশেষ ম্যাগাজিন ছাপার কাজ। বড়দিনের আগের রাতে এবং বড়দিনের সকালে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠান (খ্রিষ্টযোগ) হয়। এদিন সব বাড়িতেই থাকে কেক, পিঠা, কমলালেবু, পোলাও-বিরিয়ানিসহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ও উন্নতমানের খাবারদাবারের আয়োজন। বেড়ানো, অতিথি আপ্যায়ন আর আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়েই কেটে যায় আমাদের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে আনন্দের দিন, বড়দিন। সবার জন্য রইল বড়দিনের প্রীতিপূর্ণ শুভেচ্ছা। এসএইচ
Thursday, December 25, 2014
আজ বড়দিন: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব:Time News
আজ বড়দিন: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শামীম হোসাইন টাইম নিউজ বিডি, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০৮:১৪:৫৪ আজ থেকে দুই হাজারবছর আগে জেরুজালেমের বেথলেহেম শহরের এক গোয়ালঘরে জন্ম হয়েছিল একটি শিশুর। শিশুটির নাম রাখা হয়েছিল যিশু, অর্থাৎ আমাদের সঙ্গে ঈশ্বর। খিষ্ট্রধর্ম গ্রন্থ মেথিতে বলা হয়েছে, শুভ বড় দিন মানে ঈসা মসীহের শুভ জন্মদিন। ঈসা মসীহের জন্ম এইভাবে হয়েছিল। ইউসুফের সঙ্গে ঈসার মা মারিয়ামের বিয়ে ঠিক
হয়েছিল। কিন্তু তারা একসঙ্গে বসবাস করবার আগেই পাক রূহের শক্তিতে মারিয়াম গর্ভবর্তী হয়েছিলেন। মারিয়ামের স্বামী সৎ লোক ছিলেন… (মথি ১/১৮-২৫)। কিন্তু শিশুটি মোটেও সাধারণ শিশু ছিল না। শিশুটির জন্ম হয়েছিল ঈশ্বরের প্রভাবে মারিয়ার গর্ভে। মারিয়ার স্বামী কাঠমিস্ত্রী যোসেফ ছিলেন যিশুর পালক পিতা মাত্র। এই শিশুটি আসলে ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র। খিষ্ট্রধর্ম গ্রন্থ ইউহান্নাতে বলা হয়েছে, আল্লাহ মানুষকে এত মহববত করলেন যে, তাঁর একমাত্র পুত্রকে তিনি দান করলেন। যেন যে কেউ সেই পুত্রের উপর ঈমান আনে, সে বিনষ্ট না হয়। কিন্তু অনন্ত জীবন পায়’ (ইউহান্না ৩/১৬)। পৃথিবী যখন পাপে পরিপূর্ণ, ঈশ্বর তখন তাঁর একমাত্র পুত্রকে মানুষরূপে পৃথিবীতে পাঠালেন মানব জাতিকে পাপের পথ থেকে উদ্ধার করতে, শয়তানের হাত থেকে রক্ষা করতে। রাতের বেলা বেথলেহেমের মাঠে ভেড়া চড়াচ্ছিল একদল রাখাল। যিশুর জন্মের পরপরই স্বর্গের দূতেরা এসে তাদের বলল, ওই গোয়ালঘরে তোমাদের উদ্ধারকর্তা জন্মেছেন, যাও তাঁকে শ্রদ্ধা জানাও এবং ঈশ্বরের প্রশংসা করো। রাখালেরা তা-ই করল। যিশুর জন্মের পরপরই আকাশের বুকে ফুটে উঠেছিল একটি বিশেষ তারা। পূর্ব দেশের পণ্ডিতেরা সেই তারা দেখে বুঝতে পারলেন, পৃথিবীতে সেই মহান রাজার জন্ম হয়েছে, ঈশ্বর যাঁকে পাঠানোর কথা বলেছিলেন মানবজাতির মুক্তির জন্য। পূর্ব দেশের তিন পণ্ডিত বহু দূর দেশ থেকে বেথলেহেমে রওনা হলেন তাঁদের রাজাধিরাজকে শ্রদ্ধা জানাতে। যিশু নামের সেই শিশুটি বড় হয়ে পাপের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষকে মুক্তির বাণী শোনালেন। তিনি বললেন, ‘ঘৃণা নয়, ভালোবাসো। ভালোবাসো সবাইকে, ভালোবাসো তোমার প্রতিবেশীকে, এমনকি তোমার শত্রুকেও। মানুষকে ক্ষমা করো, তাহলে তুমিও ক্ষমা পাবে। কেউ তোমার এক গালে চড় মারলে তার দিকে অপর গালটিও পেতে দাও।’তিনি আরও বললেন, ‘পাপীকে নয়, ঘৃণা করো পাপকে। গরিব-দুঃখীদের সাধ্যমতো সাহায্য করো, ঈশ্বরকে ভয় করো।’ যিশুর কথা শুনে অনেকে তাদের মন ফেরাল। ঈশ্বরের নামে অসুস্থদের সুস্থ করে তুললেন তিনি, মৃত মানুষকে জীবিত করলেন। যিশুখ্রিষ্ট হয়ে উঠলেন মানুষের মনের রাজা। রাষ্ট্রীয়, ধর্মীয় এবং সমাজনেতারা এসব সহ্য করতে পারলেন না। যিশুখ্রিষ্টকে তাঁরা তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে শুরু করলেন। তাঁরা যিশুকে বন্দী করে ক্রুশে বিদ্ধ করে হত্যা করলেন। মৃত্যুর তৃতীয় দিনে যিশু কবর থেকে উঠে প্রমাণ করলেন, তিনি সত্যি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন। বড়দিন, যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন, মানবজাতির বিজয়ের দিন, মহা আনন্দের দিন। সারা বিশ্বের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও দিনটি পালন করে থাকে আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে। বড়দিনের বেশ কিছুদিন আগ থেকেই শুরু হয়ে যায় যিশুকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি। প্রস্তুতি দুই ধরনের—আধ্যাত্মিক ও বাহ্যিক। আধ্যাত্মিক প্রস্ততি হলো ঈশ্বরের কাছে পাপের ক্ষমা চেয়ে পাপের জন্য অনুতাপ করা এবং কারও সঙ্গে বিরোধ থাকলে তা মিটিয়ে ফেলে নিজেকে প্রস্তুত করা। আর বাহ্যিক প্রস্তুতি মানে তো সাজ সাজ রব। বড়দিনের অনেক আগ থেকেই শুরু হয়ে যায় ঘরবাড়ি পরিষ্কার করা, বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানানো, কেক বানানো আর নতুন জামাকাপড় বানানোর ধুম। এ ছাড়া আছে বড়দিনের কীর্তনের রিহার্সেল, নাটকের রিহার্সেল আর বড়দিনের বিশেষ ম্যাগাজিন ছাপার কাজ। বড়দিনের আগের রাতে এবং বড়দিনের সকালে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠান (খ্রিষ্টযোগ) হয়। এদিন সব বাড়িতেই থাকে কেক, পিঠা, কমলালেবু, পোলাও-বিরিয়ানিসহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ও উন্নতমানের খাবারদাবারের আয়োজন। বেড়ানো, অতিথি আপ্যায়ন আর আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়েই কেটে যায় আমাদের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে আনন্দের দিন, বড়দিন। সবার জন্য রইল বড়দিনের প্রীতিপূর্ণ শুভেচ্ছা। এসএইচ
হয়েছিল। কিন্তু তারা একসঙ্গে বসবাস করবার আগেই পাক রূহের শক্তিতে মারিয়াম গর্ভবর্তী হয়েছিলেন। মারিয়ামের স্বামী সৎ লোক ছিলেন… (মথি ১/১৮-২৫)। কিন্তু শিশুটি মোটেও সাধারণ শিশু ছিল না। শিশুটির জন্ম হয়েছিল ঈশ্বরের প্রভাবে মারিয়ার গর্ভে। মারিয়ার স্বামী কাঠমিস্ত্রী যোসেফ ছিলেন যিশুর পালক পিতা মাত্র। এই শিশুটি আসলে ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র। খিষ্ট্রধর্ম গ্রন্থ ইউহান্নাতে বলা হয়েছে, আল্লাহ মানুষকে এত মহববত করলেন যে, তাঁর একমাত্র পুত্রকে তিনি দান করলেন। যেন যে কেউ সেই পুত্রের উপর ঈমান আনে, সে বিনষ্ট না হয়। কিন্তু অনন্ত জীবন পায়’ (ইউহান্না ৩/১৬)। পৃথিবী যখন পাপে পরিপূর্ণ, ঈশ্বর তখন তাঁর একমাত্র পুত্রকে মানুষরূপে পৃথিবীতে পাঠালেন মানব জাতিকে পাপের পথ থেকে উদ্ধার করতে, শয়তানের হাত থেকে রক্ষা করতে। রাতের বেলা বেথলেহেমের মাঠে ভেড়া চড়াচ্ছিল একদল রাখাল। যিশুর জন্মের পরপরই স্বর্গের দূতেরা এসে তাদের বলল, ওই গোয়ালঘরে তোমাদের উদ্ধারকর্তা জন্মেছেন, যাও তাঁকে শ্রদ্ধা জানাও এবং ঈশ্বরের প্রশংসা করো। রাখালেরা তা-ই করল। যিশুর জন্মের পরপরই আকাশের বুকে ফুটে উঠেছিল একটি বিশেষ তারা। পূর্ব দেশের পণ্ডিতেরা সেই তারা দেখে বুঝতে পারলেন, পৃথিবীতে সেই মহান রাজার জন্ম হয়েছে, ঈশ্বর যাঁকে পাঠানোর কথা বলেছিলেন মানবজাতির মুক্তির জন্য। পূর্ব দেশের তিন পণ্ডিত বহু দূর দেশ থেকে বেথলেহেমে রওনা হলেন তাঁদের রাজাধিরাজকে শ্রদ্ধা জানাতে। যিশু নামের সেই শিশুটি বড় হয়ে পাপের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষকে মুক্তির বাণী শোনালেন। তিনি বললেন, ‘ঘৃণা নয়, ভালোবাসো। ভালোবাসো সবাইকে, ভালোবাসো তোমার প্রতিবেশীকে, এমনকি তোমার শত্রুকেও। মানুষকে ক্ষমা করো, তাহলে তুমিও ক্ষমা পাবে। কেউ তোমার এক গালে চড় মারলে তার দিকে অপর গালটিও পেতে দাও।’তিনি আরও বললেন, ‘পাপীকে নয়, ঘৃণা করো পাপকে। গরিব-দুঃখীদের সাধ্যমতো সাহায্য করো, ঈশ্বরকে ভয় করো।’ যিশুর কথা শুনে অনেকে তাদের মন ফেরাল। ঈশ্বরের নামে অসুস্থদের সুস্থ করে তুললেন তিনি, মৃত মানুষকে জীবিত করলেন। যিশুখ্রিষ্ট হয়ে উঠলেন মানুষের মনের রাজা। রাষ্ট্রীয়, ধর্মীয় এবং সমাজনেতারা এসব সহ্য করতে পারলেন না। যিশুখ্রিষ্টকে তাঁরা তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে শুরু করলেন। তাঁরা যিশুকে বন্দী করে ক্রুশে বিদ্ধ করে হত্যা করলেন। মৃত্যুর তৃতীয় দিনে যিশু কবর থেকে উঠে প্রমাণ করলেন, তিনি সত্যি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন। বড়দিন, যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন, মানবজাতির বিজয়ের দিন, মহা আনন্দের দিন। সারা বিশ্বের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও দিনটি পালন করে থাকে আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে। বড়দিনের বেশ কিছুদিন আগ থেকেই শুরু হয়ে যায় যিশুকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি। প্রস্তুতি দুই ধরনের—আধ্যাত্মিক ও বাহ্যিক। আধ্যাত্মিক প্রস্ততি হলো ঈশ্বরের কাছে পাপের ক্ষমা চেয়ে পাপের জন্য অনুতাপ করা এবং কারও সঙ্গে বিরোধ থাকলে তা মিটিয়ে ফেলে নিজেকে প্রস্তুত করা। আর বাহ্যিক প্রস্তুতি মানে তো সাজ সাজ রব। বড়দিনের অনেক আগ থেকেই শুরু হয়ে যায় ঘরবাড়ি পরিষ্কার করা, বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানানো, কেক বানানো আর নতুন জামাকাপড় বানানোর ধুম। এ ছাড়া আছে বড়দিনের কীর্তনের রিহার্সেল, নাটকের রিহার্সেল আর বড়দিনের বিশেষ ম্যাগাজিন ছাপার কাজ। বড়দিনের আগের রাতে এবং বড়দিনের সকালে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠান (খ্রিষ্টযোগ) হয়। এদিন সব বাড়িতেই থাকে কেক, পিঠা, কমলালেবু, পোলাও-বিরিয়ানিসহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ও উন্নতমানের খাবারদাবারের আয়োজন। বেড়ানো, অতিথি আপ্যায়ন আর আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়েই কেটে যায় আমাদের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে আনন্দের দিন, বড়দিন। সবার জন্য রইল বড়দিনের প্রীতিপূর্ণ শুভেচ্ছা। এসএইচ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment