Wednesday, March 4, 2015

রাজধানীর ৪ জবাই খানার ৩টিই নাজুক: বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি:Time News

রাজধানীর ৪ জবাই খানার ৩টিই নাজুক: বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি আবুল কাশেম: টাইম নিউজ বিডি, ০৩ মার্চ, ২০১৫ ২০:০৪:৫০ পুরো রাজধানীতে মাত্র ৪টি জবাই খানা । এর মধ্যে ৩টি জবাই খানার অবস্থাই নাজুক। এগুলো হচ্ছে; মোহাম্মপুর কৃষি মার্টের ভেতরের জবাই খানা, হাজারীবাগ ট্যানারী এলাকায় জবাই খানা এবং কাপ্তান বাজার জবাই খানা। তবে সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছে মিরপুর ১১ নম্বরের পুরনো জবাই খানাকে।অথচ জবাই খানার নামে সিটি করপো
রেশন ইজারা দিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকার কাঁচা বাজার থেকে মোটা অংকের রাজস্ব আদায় করছেন বলে জানা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীতে পরিবেশ বান্ধব ও স্বাস্থ্য সম্মত আধুনিক জবাইখানা না থাকায় যত্রতত্র গবাদি পশু জবাই করতে বাধ্য হচ্ছেন মাংস ব্যবসায়িরা। ফলে দিন দিন রাজধানীর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। একই সঙ্গে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা জবাইকরা পশুর রক্ত এবং বর্জ্যর কারণে মশার উৎপাত বেড়েই চলছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের উদাসিনা আর দায়িত্বহীনতা ফলে নগরবাসী আজ স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়ছেন। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে অস্বাস্থ্যকর ও পরিবেশের জন্য মারাত্বক হুমকির মুখেই পশু জবাই এবং বিক্রি হচ্ছে।ফলে রোগসৃষ্টিকারী ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হচ্ছে। তবে ঢাকা উত্তর সিটি স্বাস্থ্য সম্মত পশু জবাইখানা তৈরির উদ্যোগ নিলেও ঢাকা দক্ষিণ এ বিষয়ে রয়েছে উদাসীন। এদিকে মিরপুর ১১ নম্বরে নিউ সোসাইটি মার্কেটের ভেতরের জবাই খানাটি সংস্কার করা হয়েছে। কুয়েতের ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন( ডিএনসিসি) এ জবাই খানাটি সংস্কার করেছেন। এ বিষয়ে প্রশাসক ড. রাখাল চন্দ্র বর্মন সাংবাদিক বলেন, বিভিন্ন রোগসৃষ্টিকারী ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সম্মত পশু জবাইখানা তৈরী অত্যন্ত প্রয়োজন। ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের অথর্য়নে মিরপুর ১১ নম্বরের আগের ওই জবাই খানাকে এ আধুনিক জবাইখানায় সংস্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও স্বাস্থ্যসম্মত মাংস রপ্তানীর করা যাবে। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. তারিক বিন ইউসুফ বলেন, গত বছর ২২ জুলাই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। ওই চুক্তির পর প্রায় ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে মিরপুরের ওই জবাইখানাটি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, মিরপুরের ন্যায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ সম্মত জবাইখানা তৈরীর প্রয়োজন। এ মাসেই মহাখালীতে কুয়েতের ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের প্রায় ৭০ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তায় আরো একটি আধুনিক জবাই খানা নিমাণের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। প্রকৌশলী ড. তারিক বিন ইউসুফ বলেন, ইতোমধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনে একজন ভেটেরিনারী ডাক্তার যোগ করেছেন। এ জবাই খানায় পশু জবাইয়ের ২৪ ঘন্টা আগে আনা হবে। পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে পশু জবাই করা হবে। তিনি বলেন, পশু জবাইখানা বিধিমালা মোতাবেক পরিবেশ বান্ধর ও স্বাস্থ্য সম্মতভাবে পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুত এবং পশু জবাইখানা পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার এ জবাই খানায় অবকাঠামোগত যেসব সুবিধা রয়েছে মিরপুরের এ জবাইখানায়। তিনি বলেন, পশুর বর্জ্য ও রক্ত সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার সুবিধা, চামড়া, শিং, খুড়া এবং হাড় সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা, পানি সরবরাহ , পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা, ব্যবহারকৃত যন্ত্রাংশ জীবানুমুক্ত করা হবে। পশু চিকিৎসকের বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অবশেষে গত ২ মার্চ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ড. রাখাল চন্দ্র বর্মন মিরপুরের এ জবাইখানা উদ্বোধন করেন। আর ওই সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অঞ্চল ২ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল ইসলাম, দাতা সংস্থা ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর শাবেল ফিরুজ, ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাসুদ আহসান, প্রধান প্রকৌশলী বিগ্রেডিয়ার জেনারেল গাজী ফিরোজ রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. তারিক বিন ইউসুফ,বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. শামীম মিয়া প্রমূখ। একে


No comments:

Post a Comment