ে দাঁড়ানোরও দাবি জানানো হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, যুদ্ধবাজ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত স্মরণকালের এই অন্যতম বৃহত বিক্ষোভে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নেন। তারা নেতানিয়াহুর যুদ্ধবাজ নীতির পরিবর্তনের দাবিতে স্লোগান দেন। ‘ইসরাইল পরিবর্তন চায়’-এ ধরণের বিভিন্ন লেখা সম্বলিত ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় নেতানিয়াহুর ডাক নাম ‘বিবি’ সম্বোধন করে বলা হয় ‘বিবি, আপনি ব্যর্থ হয়েছেন, এবার বাড়ি ফিরে যান’। বিক্ষোভ সমাবেশের প্রধান বক্তা এবং ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা-মোসাদের সাবেক প্রধান মিয়ার দাগান নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা করে বলেন, “আমরা এমনই এক নেতা পেয়েছি, যিনি কেবল নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্বের স্বার্থেই কাজ করেন”। দাগান আরও বলেন, “গত ছয় বছর যাবত মি. বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। আর এই ছয় বছরে ইসরাইলিরা যে পরিমান আঘাত পেয়েছেন তা আর কখনো পাননি”। এই ছয় বছরে তিনি (নেতানিয়াহু) এই অঞ্চলের প্রকৃত পরিবর্তন এবং উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সত্যিকার অর্থে একটি পদক্ষেপও নেননি বলেও মন্তব্য করেন এই সাবেক গোয়েন্দা প্রধান। গত বছরের (২০১৪) গ্রীষ্মকালে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নারকীয় তান্ডব চালানোর সময় নিহত ইসরাইলি এক সেনার বিধবা স্ত্রীও নিতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দেন। ফিলিস্তিন ইস্যুতে নেতানিয়াহুর পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেন এই বিধবা। মিশেল কাস্তান কেইদার নামের ওই বিধবা নারী নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, “হ্যা, প্রধানমন্ত্রী, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জীবন। এটা কখনই সম্ভব নয় যে, সবসময়ই ইরান নিয়ে গলাবাজি করবেন এবং ফিলিস্তিনিদের সাথে রক্তাক্ত যুদ্ধকে সব সময় অন্ধভাবে সমর্থন জুগিয়ে বেড়াবেন। মনে রাখবেন এতে আমাদেরও কম রক্ত ঝড়ছে না, আর এরও অনেক মূল্য রয়েছে”। সমাবেশের আয়োজকদের একজন বলেন, ইসরাইলের বাসিন্দারা নেতানিয়াহুর যুদ্ধবাজ নীতিতে রীতিমতো বিরক্ত। তারা একটি শান্তি চুক্তি চান এবং এই সংঘাতময় রাজনীতির অবসান চান। ড্রোর বেন আমি নামের ওই আয়োজক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে আরও বলেন, নেতানিয়াহুর শাসনামলে তেল আবিবে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে কোন উন্নতি হয়নি। এদিকে, এই গণর্যালীর প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই র্যালী আসন্ন নির্বাচনকেন্দ্রীক একটি প্রচারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। আগামী ১৭ই মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে এটি প্রতিপক্ষেরই একটি নির্বাচনী প্রচারণা। লিকুদ পার্টির এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তেল আবিবে এই র্যালী লিকুদ পার্টিবিরোধী বামদের প্রচারণারই একটি অংশ। আর এতে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ডানপন্থী সংসদকে ভেঙ্গে বামপন্থীদের ক্ষমতায় বসাতেই এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিবাদ সমাবেশটি এমনই এক সময় অনুষ্ঠিত হলো যার মাত্র কয়েকদিন আগে আমেরিকার কংগ্রেসে নেতানিয়াহু ইরান বিরোধী বক্তব্য দেন এবং সেখানে আমেরিকারও কড়া সমালোচনা করেন। সেই বক্তৃতায় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ইরানের নিউক্লিয়ার কর্মসূচির ব্যাপারে আমেরিকার পদক্ষেপকে একটি অত্যন্ত খারাপ বোঝাপড়া বা চুক্তি(a very bad deal) হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ইরানের পরমানু কর্মসূচির বিষয়ে আমেরিকার নীতির নিন্দা জানিয়ে নেতানিয়াহু কংগ্রেস সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায় আরও বলেন, “বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা বলে আসছি, একটি খারাপ বোঝাপড়া বা চুক্তির চেয়ে কোন চুক্তি না হওয়াই উত্তম। এটা একটা খুবই খারাপ চুক্তি। এটি ছাড়াই আমরা ভালো থাকতাম। এদিকে, ইরানের পরমানু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ইরান এবং ‘পি৫+১ গ্রুপ’ হিসেবে খ্যাত রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, বৃটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির প্রতি বিতর্কিত অবস্থানের কারণে নেতানিয়াহু বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মারাত্মক চাপের মধ্যে রয়েছেন। ইসরাইলি এই প্রধানমন্ত্রীর সমালোচকরা মনে করেন, ইরানের নিউক্লিয়ার ইসুতে একটি গঠনমূলক সমাধানে পৌছতে আলোচনার উদ্যোগে ক্রমাগত ব্যাঘাত সৃষ্টি করায় তেল আবিব ক্রমশই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। এদিকে, আমেরিকার কংগ্রেস সদস্যদের সভায় নেতানিয়াহুর দেয়া বক্তব্যে আমেরিকাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নিজ দেশ বা বাইরে অবস্থানকারী বহু আমেরিকানকে রাস্তাঘাটে হরহামেশাই এখন এমন বলতে শোনা যায়, ইরানের যুক্তিসঙ্গত নিউক্লিয়ার অধিকারকে খর্ব করতে গিয়ে ইসরাইলি নেতা দেশটির বহুদিনের সহযোগিকে (আমেরিকা) অমর্যাদা করলো। কেবি
Sunday, March 8, 2015
ঘরে-বাইরে ভীষণ চাপে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী:Time News
ঘরে-বাইরে ভীষণ চাপে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী মো: কামরুজ্জামান বাবলু টাইম নিউজ বিডি, ০৮ মার্চ, ২০১৫ ১৬:০২:৩৪ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধবাজ নীতির বিরুদ্ধে দেশটির রাজধানী তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন দেশটির বাসিন্দারা। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটিতে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ থেকে নেতানেয়াহুকে ক্ষমতা থেকে সর
ে দাঁড়ানোরও দাবি জানানো হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, যুদ্ধবাজ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত স্মরণকালের এই অন্যতম বৃহত বিক্ষোভে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নেন। তারা নেতানিয়াহুর যুদ্ধবাজ নীতির পরিবর্তনের দাবিতে স্লোগান দেন। ‘ইসরাইল পরিবর্তন চায়’-এ ধরণের বিভিন্ন লেখা সম্বলিত ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় নেতানিয়াহুর ডাক নাম ‘বিবি’ সম্বোধন করে বলা হয় ‘বিবি, আপনি ব্যর্থ হয়েছেন, এবার বাড়ি ফিরে যান’। বিক্ষোভ সমাবেশের প্রধান বক্তা এবং ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা-মোসাদের সাবেক প্রধান মিয়ার দাগান নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা করে বলেন, “আমরা এমনই এক নেতা পেয়েছি, যিনি কেবল নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্বের স্বার্থেই কাজ করেন”। দাগান আরও বলেন, “গত ছয় বছর যাবত মি. বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। আর এই ছয় বছরে ইসরাইলিরা যে পরিমান আঘাত পেয়েছেন তা আর কখনো পাননি”। এই ছয় বছরে তিনি (নেতানিয়াহু) এই অঞ্চলের প্রকৃত পরিবর্তন এবং উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সত্যিকার অর্থে একটি পদক্ষেপও নেননি বলেও মন্তব্য করেন এই সাবেক গোয়েন্দা প্রধান। গত বছরের (২০১৪) গ্রীষ্মকালে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নারকীয় তান্ডব চালানোর সময় নিহত ইসরাইলি এক সেনার বিধবা স্ত্রীও নিতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দেন। ফিলিস্তিন ইস্যুতে নেতানিয়াহুর পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেন এই বিধবা। মিশেল কাস্তান কেইদার নামের ওই বিধবা নারী নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, “হ্যা, প্রধানমন্ত্রী, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জীবন। এটা কখনই সম্ভব নয় যে, সবসময়ই ইরান নিয়ে গলাবাজি করবেন এবং ফিলিস্তিনিদের সাথে রক্তাক্ত যুদ্ধকে সব সময় অন্ধভাবে সমর্থন জুগিয়ে বেড়াবেন। মনে রাখবেন এতে আমাদেরও কম রক্ত ঝড়ছে না, আর এরও অনেক মূল্য রয়েছে”। সমাবেশের আয়োজকদের একজন বলেন, ইসরাইলের বাসিন্দারা নেতানিয়াহুর যুদ্ধবাজ নীতিতে রীতিমতো বিরক্ত। তারা একটি শান্তি চুক্তি চান এবং এই সংঘাতময় রাজনীতির অবসান চান। ড্রোর বেন আমি নামের ওই আয়োজক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে আরও বলেন, নেতানিয়াহুর শাসনামলে তেল আবিবে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে কোন উন্নতি হয়নি। এদিকে, এই গণর্যালীর প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই র্যালী আসন্ন নির্বাচনকেন্দ্রীক একটি প্রচারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। আগামী ১৭ই মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে এটি প্রতিপক্ষেরই একটি নির্বাচনী প্রচারণা। লিকুদ পার্টির এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তেল আবিবে এই র্যালী লিকুদ পার্টিবিরোধী বামদের প্রচারণারই একটি অংশ। আর এতে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ডানপন্থী সংসদকে ভেঙ্গে বামপন্থীদের ক্ষমতায় বসাতেই এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিবাদ সমাবেশটি এমনই এক সময় অনুষ্ঠিত হলো যার মাত্র কয়েকদিন আগে আমেরিকার কংগ্রেসে নেতানিয়াহু ইরান বিরোধী বক্তব্য দেন এবং সেখানে আমেরিকারও কড়া সমালোচনা করেন। সেই বক্তৃতায় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ইরানের নিউক্লিয়ার কর্মসূচির ব্যাপারে আমেরিকার পদক্ষেপকে একটি অত্যন্ত খারাপ বোঝাপড়া বা চুক্তি(a very bad deal) হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ইরানের পরমানু কর্মসূচির বিষয়ে আমেরিকার নীতির নিন্দা জানিয়ে নেতানিয়াহু কংগ্রেস সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায় আরও বলেন, “বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা বলে আসছি, একটি খারাপ বোঝাপড়া বা চুক্তির চেয়ে কোন চুক্তি না হওয়াই উত্তম। এটা একটা খুবই খারাপ চুক্তি। এটি ছাড়াই আমরা ভালো থাকতাম। এদিকে, ইরানের পরমানু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ইরান এবং ‘পি৫+১ গ্রুপ’ হিসেবে খ্যাত রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, বৃটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির প্রতি বিতর্কিত অবস্থানের কারণে নেতানিয়াহু বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মারাত্মক চাপের মধ্যে রয়েছেন। ইসরাইলি এই প্রধানমন্ত্রীর সমালোচকরা মনে করেন, ইরানের নিউক্লিয়ার ইসুতে একটি গঠনমূলক সমাধানে পৌছতে আলোচনার উদ্যোগে ক্রমাগত ব্যাঘাত সৃষ্টি করায় তেল আবিব ক্রমশই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। এদিকে, আমেরিকার কংগ্রেস সদস্যদের সভায় নেতানিয়াহুর দেয়া বক্তব্যে আমেরিকাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নিজ দেশ বা বাইরে অবস্থানকারী বহু আমেরিকানকে রাস্তাঘাটে হরহামেশাই এখন এমন বলতে শোনা যায়, ইরানের যুক্তিসঙ্গত নিউক্লিয়ার অধিকারকে খর্ব করতে গিয়ে ইসরাইলি নেতা দেশটির বহুদিনের সহযোগিকে (আমেরিকা) অমর্যাদা করলো। কেবি
ে দাঁড়ানোরও দাবি জানানো হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, যুদ্ধবাজ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত স্মরণকালের এই অন্যতম বৃহত বিক্ষোভে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নেন। তারা নেতানিয়াহুর যুদ্ধবাজ নীতির পরিবর্তনের দাবিতে স্লোগান দেন। ‘ইসরাইল পরিবর্তন চায়’-এ ধরণের বিভিন্ন লেখা সম্বলিত ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় নেতানিয়াহুর ডাক নাম ‘বিবি’ সম্বোধন করে বলা হয় ‘বিবি, আপনি ব্যর্থ হয়েছেন, এবার বাড়ি ফিরে যান’। বিক্ষোভ সমাবেশের প্রধান বক্তা এবং ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা-মোসাদের সাবেক প্রধান মিয়ার দাগান নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা করে বলেন, “আমরা এমনই এক নেতা পেয়েছি, যিনি কেবল নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্বের স্বার্থেই কাজ করেন”। দাগান আরও বলেন, “গত ছয় বছর যাবত মি. বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। আর এই ছয় বছরে ইসরাইলিরা যে পরিমান আঘাত পেয়েছেন তা আর কখনো পাননি”। এই ছয় বছরে তিনি (নেতানিয়াহু) এই অঞ্চলের প্রকৃত পরিবর্তন এবং উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সত্যিকার অর্থে একটি পদক্ষেপও নেননি বলেও মন্তব্য করেন এই সাবেক গোয়েন্দা প্রধান। গত বছরের (২০১৪) গ্রীষ্মকালে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নারকীয় তান্ডব চালানোর সময় নিহত ইসরাইলি এক সেনার বিধবা স্ত্রীও নিতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দেন। ফিলিস্তিন ইস্যুতে নেতানিয়াহুর পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেন এই বিধবা। মিশেল কাস্তান কেইদার নামের ওই বিধবা নারী নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, “হ্যা, প্রধানমন্ত্রী, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জীবন। এটা কখনই সম্ভব নয় যে, সবসময়ই ইরান নিয়ে গলাবাজি করবেন এবং ফিলিস্তিনিদের সাথে রক্তাক্ত যুদ্ধকে সব সময় অন্ধভাবে সমর্থন জুগিয়ে বেড়াবেন। মনে রাখবেন এতে আমাদেরও কম রক্ত ঝড়ছে না, আর এরও অনেক মূল্য রয়েছে”। সমাবেশের আয়োজকদের একজন বলেন, ইসরাইলের বাসিন্দারা নেতানিয়াহুর যুদ্ধবাজ নীতিতে রীতিমতো বিরক্ত। তারা একটি শান্তি চুক্তি চান এবং এই সংঘাতময় রাজনীতির অবসান চান। ড্রোর বেন আমি নামের ওই আয়োজক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে আরও বলেন, নেতানিয়াহুর শাসনামলে তেল আবিবে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে কোন উন্নতি হয়নি। এদিকে, এই গণর্যালীর প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই র্যালী আসন্ন নির্বাচনকেন্দ্রীক একটি প্রচারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। আগামী ১৭ই মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে এটি প্রতিপক্ষেরই একটি নির্বাচনী প্রচারণা। লিকুদ পার্টির এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তেল আবিবে এই র্যালী লিকুদ পার্টিবিরোধী বামদের প্রচারণারই একটি অংশ। আর এতে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ডানপন্থী সংসদকে ভেঙ্গে বামপন্থীদের ক্ষমতায় বসাতেই এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিবাদ সমাবেশটি এমনই এক সময় অনুষ্ঠিত হলো যার মাত্র কয়েকদিন আগে আমেরিকার কংগ্রেসে নেতানিয়াহু ইরান বিরোধী বক্তব্য দেন এবং সেখানে আমেরিকারও কড়া সমালোচনা করেন। সেই বক্তৃতায় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ইরানের নিউক্লিয়ার কর্মসূচির ব্যাপারে আমেরিকার পদক্ষেপকে একটি অত্যন্ত খারাপ বোঝাপড়া বা চুক্তি(a very bad deal) হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ইরানের পরমানু কর্মসূচির বিষয়ে আমেরিকার নীতির নিন্দা জানিয়ে নেতানিয়াহু কংগ্রেস সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায় আরও বলেন, “বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা বলে আসছি, একটি খারাপ বোঝাপড়া বা চুক্তির চেয়ে কোন চুক্তি না হওয়াই উত্তম। এটা একটা খুবই খারাপ চুক্তি। এটি ছাড়াই আমরা ভালো থাকতাম। এদিকে, ইরানের পরমানু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ইরান এবং ‘পি৫+১ গ্রুপ’ হিসেবে খ্যাত রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, বৃটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির প্রতি বিতর্কিত অবস্থানের কারণে নেতানিয়াহু বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মারাত্মক চাপের মধ্যে রয়েছেন। ইসরাইলি এই প্রধানমন্ত্রীর সমালোচকরা মনে করেন, ইরানের নিউক্লিয়ার ইসুতে একটি গঠনমূলক সমাধানে পৌছতে আলোচনার উদ্যোগে ক্রমাগত ব্যাঘাত সৃষ্টি করায় তেল আবিব ক্রমশই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। এদিকে, আমেরিকার কংগ্রেস সদস্যদের সভায় নেতানিয়াহুর দেয়া বক্তব্যে আমেরিকাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নিজ দেশ বা বাইরে অবস্থানকারী বহু আমেরিকানকে রাস্তাঘাটে হরহামেশাই এখন এমন বলতে শোনা যায়, ইরানের যুক্তিসঙ্গত নিউক্লিয়ার অধিকারকে খর্ব করতে গিয়ে ইসরাইলি নেতা দেশটির বহুদিনের সহযোগিকে (আমেরিকা) অমর্যাদা করলো। কেবি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment