নিয়ে টাইমনিউজবিডি.কমের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ছাত্র, শ্রমিক, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত মানুষের। এসব মানুষগুলোর মনের চাপা কথাগুলো টাইমনিউজবিডির পাঠদের জন্য তুলে দেয়া হলো। রাজধানীর উত্তর বাড্ডার ব্যবসায়ী মো: শামীম হোসেন বলেন, দেশে বিরাজমান অবস্থার কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছি না। কষ্ট করে কিছু টাকা-পয়সা নিয়ে ব্যবসায় নেমেছি। এই পরিস্থিতিতে টাকা ইনভেষ্ট করতে পারছি না। সবখানে একটা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধান করতে হলে উভয় দলকে (আওয়মী লীগ-বিএনপি) সংলাপে বসতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু সমাধান বের করে আনতে হবে। আর এ উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। সরকার ইচ্ছা করলেই আমরা সবাই এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাব। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুল আজীম বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্ন চাপের মতো। কোনদিকে যায় বলা যায় না। আওয়ামী লীগ একটি পলিটিশিয়ান দল। তারা জানে কিভাবে বিরোধী দলকে জব্দ করতে হয়। বিরোধী দলের আন্দোলকে জঙ্গি-সন্ত্রাস বলে জনগণের ভালবাসা কুড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জানে তাদের জনসমর্থন কম। তাই সংলাপ বা সমঝোতায় যাবে না তারা। যেকোন ভাবে বিরোধী দলকে দমন করে আগামী ৪ বছর ক্ষমতায় থাকবে সরকার। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক মিরপুরের বাসিন্দা এশা আক্তার বলেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপির কারণেই দেশের আজ এই অবস্থা। তাদের স্বার্থলোভী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জীবন হারায়। দেশ রক্ষায় তাদের (আওয়ামী লীগ-বিএনপি) এখন জরুরী সংলাপে বসা উচিত। না হলে দেশের সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের মতো আরেক বার জেগে উঠলে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাত্তা থাকবে না। দেশের সকল নাগরিক এখন সচেতন। তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এখন আর সাধারণ মানুষের বোধগম্যের বাইরে নয়। বায়িংহাউজে কর্মরত মো: রাসেল বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থা হতাশাজনক। লাখ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশ। স্বাধীনতার পূর্বে পাকিস্তানের হাতে যেভাবে আমরা শোষিত হয়েছি। স্বাধীনতা অর্জনের পরেও ক্ষমতালোভী কিছু রাজনৈতিক দলের বলির পাঠা আমরা সাধারণ মানুষ। তিনি বলেন, বর্তমানে ক্ষমতায় টিকে থাকতে ও ক্ষমতায় যেতে মরিয়া আওয়ামী লীগ-বিএনপি, কিন্তু তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ছে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ। এই দুটি দলকে এই শক্ত অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে। নইলে তাদের অবস্থাও একদিন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের মতো হবে। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে বুঝতে হবে স্বাধীন প্রিয় বাঙ্গালীর সঙ্গে জোর করে কিছু করা যায় না। যদি সেটা করা যেত, তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আর এ কথাটা সবচেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাল জানার কথা। কারণ তার শরীরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্ত। বর্তমান সংঙ্কট তৈরী হওয়ার একমাত্র কারণ, সংবিধান সংশোধন করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন। তাই জাতির স্বার্থে এখন শেখ হাসিনার উচিত একটি সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছানো। বাস চালক সুমন বলেন, দেশের অবস্থা কী বা কী হবে, কী করা দরকার আমরা বললে তা কে শুনবে। আমরা গরীব মানুষ আমাদের দু:খ কে বুঝবে। সরকার বলেন, বিরোধী দল বলেন, আমাদের কষ্ট কেউ বুঝে না। হরতাল-অবরোধ যাই ডাকা হোক এই গাড়ি চালিয়েই আমাদের খেতে হবে। ওই ভোট আসলেই দেখি বড় মানুষরা (রাজনীতিবিদ) আমাদের খোঁজ নেয়। ভোট দেয়া হয়ে গেলে তাদের আর পাত্তা থাকে না। এমআর, জেএ
Sunday, February 1, 2015
‘তাদের অবস্থাও এরশাদের মতো হবে’:Time News
‘তাদের অবস্থাও এরশাদের মতো হবে’ মাসউদুর রহমান টাইম নিউজ বিডি, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৫ ০১:১৫:২৫ বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে অর্জন করেছে স্বাধীনতা। দেশ হিসেবে স্বাধীনতা অর্জন করলেও এ দেশের সাধারণ মানুষ আজও পায়নি স্বাধীনতার স্বাদ। স্বার্থলোভী রাজনৈতিক গোষ্ঠিগুলোর বলির পাঠা হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষ। চলমান রাজনৈতি পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে দেশের সাধারণ মানুষ এভাবেই তাদের মতামত ব্যাক্ত করেন। দেশের বর্তমান অবস্থা
নিয়ে টাইমনিউজবিডি.কমের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ছাত্র, শ্রমিক, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত মানুষের। এসব মানুষগুলোর মনের চাপা কথাগুলো টাইমনিউজবিডির পাঠদের জন্য তুলে দেয়া হলো। রাজধানীর উত্তর বাড্ডার ব্যবসায়ী মো: শামীম হোসেন বলেন, দেশে বিরাজমান অবস্থার কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছি না। কষ্ট করে কিছু টাকা-পয়সা নিয়ে ব্যবসায় নেমেছি। এই পরিস্থিতিতে টাকা ইনভেষ্ট করতে পারছি না। সবখানে একটা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধান করতে হলে উভয় দলকে (আওয়মী লীগ-বিএনপি) সংলাপে বসতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু সমাধান বের করে আনতে হবে। আর এ উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। সরকার ইচ্ছা করলেই আমরা সবাই এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাব। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুল আজীম বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্ন চাপের মতো। কোনদিকে যায় বলা যায় না। আওয়ামী লীগ একটি পলিটিশিয়ান দল। তারা জানে কিভাবে বিরোধী দলকে জব্দ করতে হয়। বিরোধী দলের আন্দোলকে জঙ্গি-সন্ত্রাস বলে জনগণের ভালবাসা কুড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জানে তাদের জনসমর্থন কম। তাই সংলাপ বা সমঝোতায় যাবে না তারা। যেকোন ভাবে বিরোধী দলকে দমন করে আগামী ৪ বছর ক্ষমতায় থাকবে সরকার। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক মিরপুরের বাসিন্দা এশা আক্তার বলেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপির কারণেই দেশের আজ এই অবস্থা। তাদের স্বার্থলোভী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জীবন হারায়। দেশ রক্ষায় তাদের (আওয়ামী লীগ-বিএনপি) এখন জরুরী সংলাপে বসা উচিত। না হলে দেশের সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের মতো আরেক বার জেগে উঠলে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাত্তা থাকবে না। দেশের সকল নাগরিক এখন সচেতন। তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এখন আর সাধারণ মানুষের বোধগম্যের বাইরে নয়। বায়িংহাউজে কর্মরত মো: রাসেল বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থা হতাশাজনক। লাখ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশ। স্বাধীনতার পূর্বে পাকিস্তানের হাতে যেভাবে আমরা শোষিত হয়েছি। স্বাধীনতা অর্জনের পরেও ক্ষমতালোভী কিছু রাজনৈতিক দলের বলির পাঠা আমরা সাধারণ মানুষ। তিনি বলেন, বর্তমানে ক্ষমতায় টিকে থাকতে ও ক্ষমতায় যেতে মরিয়া আওয়ামী লীগ-বিএনপি, কিন্তু তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ছে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ। এই দুটি দলকে এই শক্ত অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে। নইলে তাদের অবস্থাও একদিন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের মতো হবে। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে বুঝতে হবে স্বাধীন প্রিয় বাঙ্গালীর সঙ্গে জোর করে কিছু করা যায় না। যদি সেটা করা যেত, তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আর এ কথাটা সবচেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাল জানার কথা। কারণ তার শরীরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্ত। বর্তমান সংঙ্কট তৈরী হওয়ার একমাত্র কারণ, সংবিধান সংশোধন করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন। তাই জাতির স্বার্থে এখন শেখ হাসিনার উচিত একটি সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছানো। বাস চালক সুমন বলেন, দেশের অবস্থা কী বা কী হবে, কী করা দরকার আমরা বললে তা কে শুনবে। আমরা গরীব মানুষ আমাদের দু:খ কে বুঝবে। সরকার বলেন, বিরোধী দল বলেন, আমাদের কষ্ট কেউ বুঝে না। হরতাল-অবরোধ যাই ডাকা হোক এই গাড়ি চালিয়েই আমাদের খেতে হবে। ওই ভোট আসলেই দেখি বড় মানুষরা (রাজনীতিবিদ) আমাদের খোঁজ নেয়। ভোট দেয়া হয়ে গেলে তাদের আর পাত্তা থাকে না। এমআর, জেএ
নিয়ে টাইমনিউজবিডি.কমের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ছাত্র, শ্রমিক, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত মানুষের। এসব মানুষগুলোর মনের চাপা কথাগুলো টাইমনিউজবিডির পাঠদের জন্য তুলে দেয়া হলো। রাজধানীর উত্তর বাড্ডার ব্যবসায়ী মো: শামীম হোসেন বলেন, দেশে বিরাজমান অবস্থার কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছি না। কষ্ট করে কিছু টাকা-পয়সা নিয়ে ব্যবসায় নেমেছি। এই পরিস্থিতিতে টাকা ইনভেষ্ট করতে পারছি না। সবখানে একটা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধান করতে হলে উভয় দলকে (আওয়মী লীগ-বিএনপি) সংলাপে বসতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু সমাধান বের করে আনতে হবে। আর এ উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। সরকার ইচ্ছা করলেই আমরা সবাই এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাব। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুল আজীম বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্ন চাপের মতো। কোনদিকে যায় বলা যায় না। আওয়ামী লীগ একটি পলিটিশিয়ান দল। তারা জানে কিভাবে বিরোধী দলকে জব্দ করতে হয়। বিরোধী দলের আন্দোলকে জঙ্গি-সন্ত্রাস বলে জনগণের ভালবাসা কুড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জানে তাদের জনসমর্থন কম। তাই সংলাপ বা সমঝোতায় যাবে না তারা। যেকোন ভাবে বিরোধী দলকে দমন করে আগামী ৪ বছর ক্ষমতায় থাকবে সরকার। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক মিরপুরের বাসিন্দা এশা আক্তার বলেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপির কারণেই দেশের আজ এই অবস্থা। তাদের স্বার্থলোভী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জীবন হারায়। দেশ রক্ষায় তাদের (আওয়ামী লীগ-বিএনপি) এখন জরুরী সংলাপে বসা উচিত। না হলে দেশের সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের মতো আরেক বার জেগে উঠলে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাত্তা থাকবে না। দেশের সকল নাগরিক এখন সচেতন। তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এখন আর সাধারণ মানুষের বোধগম্যের বাইরে নয়। বায়িংহাউজে কর্মরত মো: রাসেল বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থা হতাশাজনক। লাখ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশ। স্বাধীনতার পূর্বে পাকিস্তানের হাতে যেভাবে আমরা শোষিত হয়েছি। স্বাধীনতা অর্জনের পরেও ক্ষমতালোভী কিছু রাজনৈতিক দলের বলির পাঠা আমরা সাধারণ মানুষ। তিনি বলেন, বর্তমানে ক্ষমতায় টিকে থাকতে ও ক্ষমতায় যেতে মরিয়া আওয়ামী লীগ-বিএনপি, কিন্তু তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ছে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ। এই দুটি দলকে এই শক্ত অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে। নইলে তাদের অবস্থাও একদিন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের মতো হবে। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে বুঝতে হবে স্বাধীন প্রিয় বাঙ্গালীর সঙ্গে জোর করে কিছু করা যায় না। যদি সেটা করা যেত, তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আর এ কথাটা সবচেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাল জানার কথা। কারণ তার শরীরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্ত। বর্তমান সংঙ্কট তৈরী হওয়ার একমাত্র কারণ, সংবিধান সংশোধন করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন। তাই জাতির স্বার্থে এখন শেখ হাসিনার উচিত একটি সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছানো। বাস চালক সুমন বলেন, দেশের অবস্থা কী বা কী হবে, কী করা দরকার আমরা বললে তা কে শুনবে। আমরা গরীব মানুষ আমাদের দু:খ কে বুঝবে। সরকার বলেন, বিরোধী দল বলেন, আমাদের কষ্ট কেউ বুঝে না। হরতাল-অবরোধ যাই ডাকা হোক এই গাড়ি চালিয়েই আমাদের খেতে হবে। ওই ভোট আসলেই দেখি বড় মানুষরা (রাজনীতিবিদ) আমাদের খোঁজ নেয়। ভোট দেয়া হয়ে গেলে তাদের আর পাত্তা থাকে না। এমআর, জেএ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment