কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান। এতে করে গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর রোডের কার্যালয় ছাড়াও এর আশাপাশে প্রায় ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। কর্তব্যরত গণমাধ্যমকর্মীরাও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের বর্ষপূতির সমাবেশ ঘিরে ৩ জানুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া নিজের কার্যালয়ে প্রথমে অবরুদ্ধ, পরে স্বেচ্ছায় অবস্থান করছেন। গতকাল ১৯ ঘণ্টা পর ওই বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করা হয়। শায়রুল কবির জানান, ১৯ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ এলেও এখন পর্যন্ত অন্যান্য সংযোগগুলো আগের মতোই বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে কার্যালয়ের বাইরে এসে ফোনে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ধারণা করছিলাম, ইন্টারনেট, ল্যান্ড ও মোবাইল ফোন, স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ সকল ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হবে। কিন্তু এখনো এসব বন্ধ রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়কে বস্তুত সকল ধরনের যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে।’ বিজিবি সদস্যরা অফিসের আশেপাশে টহল দিচ্ছে বলেও জানান শায়রুল কবির। এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরাও বিড়ম্বনায় পড়ছেন ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে। ওই কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় কোনো মোবাইল অপারেটরের ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল থেকে তারা অফিসে সংবাদ পাঠাতে পারছেন না। মোবাইল কিংবা মডেম কোনো কিছুই কাজ করছে না। প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে তাদের সংবাদ পাঠাতে হচ্ছে। গণমাধ্যমকর্মী রফিক মৃধা জানান, তার টেলিটক মডেম এবং মোবাইল ফোনে শনিবার সকাল থেকে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না। অফিসে নিউজ পাঠাতে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গুলশান গোলচত্বরে এসে সংবাদ পাঠাতে হচ্ছে। আরেক গণমাধ্যমকর্মী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘গুলশান কার্যালয়ের সামনে হঠাৎ করেই গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক পাচ্ছি না। এ অবস্থায় অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।’ গত শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটা ৪২ মিনিটে কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ঢাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ডেসকো। শনিবার সকালে টেলিভেশনের ক্যাবল সংযোগ ও ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকারের এই আচরণে তিনি স্তম্ভিত। তবে শনিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে কার্যালয়ে বিদ্যুৎ পুনঃসংযোগ দেওয়া হয়। তবে যথারীতি টেলিভেশনের ক্যাবল সংযোগ ও ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন- দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়কারী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল মজিদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ। মন্তব্য
Sunday, February 1, 2015
এখনো বন্ধ খালেদার কার্যালয়ের জরুরি সব সংযোগ:RTNN
এখনো বন্ধ খালেদার কার্যালয়ের জরুরি সব সংযোগ নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে অন্যান্য জরুরি সংযোগগুলো বন্ধ রয়েছে। গতকাল শনিবার থেকে কার্যালয়ের ইন্টারনেট, ক্যাবল টেলিভিশন, মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। রবিবার বিকেল পৌনে চারটা পর্যন্ত তা বন্ধই রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং
কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান। এতে করে গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর রোডের কার্যালয় ছাড়াও এর আশাপাশে প্রায় ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। কর্তব্যরত গণমাধ্যমকর্মীরাও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের বর্ষপূতির সমাবেশ ঘিরে ৩ জানুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া নিজের কার্যালয়ে প্রথমে অবরুদ্ধ, পরে স্বেচ্ছায় অবস্থান করছেন। গতকাল ১৯ ঘণ্টা পর ওই বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করা হয়। শায়রুল কবির জানান, ১৯ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ এলেও এখন পর্যন্ত অন্যান্য সংযোগগুলো আগের মতোই বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে কার্যালয়ের বাইরে এসে ফোনে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ধারণা করছিলাম, ইন্টারনেট, ল্যান্ড ও মোবাইল ফোন, স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ সকল ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হবে। কিন্তু এখনো এসব বন্ধ রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়কে বস্তুত সকল ধরনের যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে।’ বিজিবি সদস্যরা অফিসের আশেপাশে টহল দিচ্ছে বলেও জানান শায়রুল কবির। এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরাও বিড়ম্বনায় পড়ছেন ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে। ওই কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় কোনো মোবাইল অপারেটরের ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল থেকে তারা অফিসে সংবাদ পাঠাতে পারছেন না। মোবাইল কিংবা মডেম কোনো কিছুই কাজ করছে না। প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে তাদের সংবাদ পাঠাতে হচ্ছে। গণমাধ্যমকর্মী রফিক মৃধা জানান, তার টেলিটক মডেম এবং মোবাইল ফোনে শনিবার সকাল থেকে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না। অফিসে নিউজ পাঠাতে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গুলশান গোলচত্বরে এসে সংবাদ পাঠাতে হচ্ছে। আরেক গণমাধ্যমকর্মী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘গুলশান কার্যালয়ের সামনে হঠাৎ করেই গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক পাচ্ছি না। এ অবস্থায় অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।’ গত শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটা ৪২ মিনিটে কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ঢাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ডেসকো। শনিবার সকালে টেলিভেশনের ক্যাবল সংযোগ ও ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকারের এই আচরণে তিনি স্তম্ভিত। তবে শনিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে কার্যালয়ে বিদ্যুৎ পুনঃসংযোগ দেওয়া হয়। তবে যথারীতি টেলিভেশনের ক্যাবল সংযোগ ও ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন- দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়কারী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল মজিদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ। মন্তব্য
কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান। এতে করে গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর রোডের কার্যালয় ছাড়াও এর আশাপাশে প্রায় ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। কর্তব্যরত গণমাধ্যমকর্মীরাও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের বর্ষপূতির সমাবেশ ঘিরে ৩ জানুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া নিজের কার্যালয়ে প্রথমে অবরুদ্ধ, পরে স্বেচ্ছায় অবস্থান করছেন। গতকাল ১৯ ঘণ্টা পর ওই বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করা হয়। শায়রুল কবির জানান, ১৯ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ এলেও এখন পর্যন্ত অন্যান্য সংযোগগুলো আগের মতোই বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে কার্যালয়ের বাইরে এসে ফোনে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ধারণা করছিলাম, ইন্টারনেট, ল্যান্ড ও মোবাইল ফোন, স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ সকল ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হবে। কিন্তু এখনো এসব বন্ধ রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়কে বস্তুত সকল ধরনের যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে।’ বিজিবি সদস্যরা অফিসের আশেপাশে টহল দিচ্ছে বলেও জানান শায়রুল কবির। এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরাও বিড়ম্বনায় পড়ছেন ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে। ওই কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় কোনো মোবাইল অপারেটরের ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল থেকে তারা অফিসে সংবাদ পাঠাতে পারছেন না। মোবাইল কিংবা মডেম কোনো কিছুই কাজ করছে না। প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে তাদের সংবাদ পাঠাতে হচ্ছে। গণমাধ্যমকর্মী রফিক মৃধা জানান, তার টেলিটক মডেম এবং মোবাইল ফোনে শনিবার সকাল থেকে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না। অফিসে নিউজ পাঠাতে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গুলশান গোলচত্বরে এসে সংবাদ পাঠাতে হচ্ছে। আরেক গণমাধ্যমকর্মী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘গুলশান কার্যালয়ের সামনে হঠাৎ করেই গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক পাচ্ছি না। এ অবস্থায় অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।’ গত শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটা ৪২ মিনিটে কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ঢাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ডেসকো। শনিবার সকালে টেলিভেশনের ক্যাবল সংযোগ ও ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকারের এই আচরণে তিনি স্তম্ভিত। তবে শনিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে কার্যালয়ে বিদ্যুৎ পুনঃসংযোগ দেওয়া হয়। তবে যথারীতি টেলিভেশনের ক্যাবল সংযোগ ও ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন- দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়কারী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল মজিদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment