যৌথবাহিনীর গণহত্যার দায় শেখ হাসিনাকে নিতে হবে নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: যৌথবাহিনীর গণহত্যার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসিচব সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এ সব হত্যাকাণ্ডের জন্য ভবিষ্যতে অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামি করা হবে।’ সোমবার এক বিবৃতিতে বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল দরজা বন্ধ করে সরকার অনিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন এবং উগ্রপন্থাকেই উৎসাহিত করছে। এতে দেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্র বিলুপ্তপ্রায়। গণতন্ত্রের যাত্রা ব্যাহত হলে ফ্যাসিবাদী এই সরকারকেই দায় নিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সরবরাহ বন্ধ রেখে এবং খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে বর্বর ও পৈশাচিক কায়দায় জনগণের ন্যায্য আন্দোলন দমানোর অপচেষ্টা বুমেরাং হতে বাধ্য।’ সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, ‘যৌথবাহিনীর অভিযানের নামে সরকার মধ্যরাতের নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ পরিচালনায় দলীয়করণকৃত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে রণসজ্জায় সজ্জিত করে শহর, বন্দর ও গ্রামসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলকে ভয়াল জনপদে পরিণত করেছে।’ তিনি বলেন, সরকারি পেটোয়া বাহিনীর শত সহস্র বুলেটের আঘাতে অজস্র আন্দোলনকারী রাজপথে প্রতিনিয়ত প্রাণ দিচ্ছেন অকাতরে। গ্রেপ্তার বরণ করছে আন্দোলনকারী অসংখ্য নেতাকর্মীসহ নিরীহ জনগণ। জাতি তাদের আত্মত্যাগ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণে রাখবে।’ বিএনপির এই মুখপাত্র হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘পৈশাচিক গণহত্যার দায় নিয়ে শেখ হাসিনাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, সেদিন আর বেশি দূরে নয়। নির্বিচারে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা করার আদেশ দান করে তিনি সেই দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরের শাহ আলী থানার শিবির নেতা এমদাদ উল্লাহকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে ক্রসফায়ারের আষাঢ়ে গল্প সাজানো হয়েছে বরাবরের মতো। ‘ইতোপূর্বে ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনি ও মতিয়ার রহমান, শিবির নেতা আসাদুজ্জামান তুহিন, জামায়াত নেতা ইমরুল কায়েসসহ সারাদেশে যেসকল বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের এভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেসব হত্যাকাণ্ডের জন্য ভবিষ্যতে অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামি করা হবে’ যোগ করেন সালাহউদ্দিন। এনটিভি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালুকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, একুশে টিভির এমডি আবদুস সালামকেও বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে আড়াল করার ষড়যন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে এসব দমণ-পীড়ণ অব্যাহত রাখা হচ্ছে। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘নিউ এইজ পত্রিকার দুই সাংবাদিক একইভাবে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে মরণযন্ত্রণা ভোগ করছে। আমরা সকল সাংবাদিক নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ এবং ধিক্কার জানাই।’ সরকারের প্রতি হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক এবং সংবাদ মাধ্যমকে দমন ও নিয়ন্ত্রণ করে কোনো সরকার গদি রক্ষা করতে পারেনি, আপনারাও পারবেন না। ইতিহাস তাই সাক্ষ্য দেয়।’ এ সময় মিরপুরের নাসিম প্লাজায় দুঃখজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০-দলীয় জোট নেতা খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান সালাহউদ্দিন। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment