
তালবিরোধী সমাবেশে এই মন্তব্য করেন। কামরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটি গঠন করা হবে। বিএনপিকে নির্মূল করতে না পারলে আমাদের কারো অস্তিত্ব টিকবে না।’ তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান বলির পাঠা, না কূটনৈতিক ফায়দা হাসিলে গুলি খেয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সন্ত্রাসের পথ পরিহার করুন। তা না হলে আপনি যে সন্ত্রাসের আগুন জ্বালাচ্ছেন, সেই আগুনেই আপনাকে পুড়তে হবে। দেশের জনগণ আপনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।’ একই সমাবেশে ঢাকা মহনগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিএনপিকে রাজনৈতিক দল নয়, শয়তানের বাক্স বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া আগে ছিলেন ‘বিশ্ব চোর-মিথ্যাবাদী’, এখন হয়েছেন ‘বিশ্ব জালিয়াত’। যে দলের নেতারা পালিয়ে যায়, মুচলেকা দেয়। তারা কখনো রাজনৈতিক দল হতে পারে না। এরা ফটকাবাজ ও শয়তানের বাক্স।’ খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে মায়া বলেন, ‘আপনি যে হরতাল দিচ্ছেন, তা দেশের জনগণ মানে না। সারাদেশে হরতালের লেশমাত্রও নেই। জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। অবরোধ দিয়েছিলেন, তাতে কাজ হয়নি। আপনি কোর্টে যাওয়ার ভয়েই এই হরতাল দিয়েছেন।’ বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রিজভীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তিনি আগে রাতে গণমাধ্যমে এসএমএসের মাধ্যমে মিথ্যা খবর দিতেন। যে হাসপাতালের বিল না দিয়ে পালিয়ে যান, তার কাছ থেকে জাতি কি আশা করতে পারে?’ মায়া বলেন, ‘আমি আর রাজনীতি করব না’ বলে তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন। এখন যদি তিনি দেশে রাজনীতি করতে চান, তবে নাকে নাকে খত দিয়ে করতে হবে। তিনি বলেন, পাড়া-মহল্লায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি সন্ত্রাসীদের চিরদিনের মত বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করবে। আওয়ামী সমর্থক জোটের সভাপতি আব্দুল হক সবুজের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment