Thursday, January 15, 2015

সাক্ষ্যগ্রহণে হট্টগোল, বিচারকের প্রতি খালেদার অনাস্থা:RTNN

সাক্ষ্যগ্রহণে হট্টগোল, বিচারকের প্রতি খালেদার অনাস্থা নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের প্রতিও অনাস্থা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার সকালে তার পক্ষে এই অনাস্থা জানান আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট সানাউল্লা মিয়া। তারা বিচারকাজ অন্য আদালতে স্থানান্তরের আবেদন জানান। এর আগেও একই আদালতের বিচারক বাসু দে
বের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়া, যে আদালতে দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দুর্নীতির মামলায় আসামি খালেদা জিয়ার বিচারকাজ চলছে। সকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা নিরাপত্তাজনিত কারণে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি চেয়ে সময় আবেদন এবং সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি চেয়ে আবেদন করেন। বকশিবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের এই বিশেষ আদালত-৩ শুনানি গ্রহণে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করলেও ও সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবির আবেদন নাকচ করে। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানান। খালেদার পক্ষে সাক্ষ্য পেছানোর আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে বিচারক আবু আহমেদ জমাদার মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদের জবানবন্দি শোনা শুরু করেন। জবানবন্দি শোনা শুরু হলে আদালতে হৈ চৈ করেন খালেদার আইনজীবীরা। পরিস্থিতি শান্ত হলে আবার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণে প্রায় শেষদিকে আসলে বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ফের হট্টগোল শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ৭ জানুয়ারি এই আদালতে খালেদার অনুপস্থিতিতে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তার চার দিন আগে গত ৩ জানুয়ারি রাত থেকে গুলশানে নিজের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া এতিমখানা ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে এ দুই মামলার বিচার শুরু হয়। উল্লেখ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। এজাহারে বলা হয়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানম নামে এক মহিলার কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’র নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। তবে জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেয়া হয়েছে, যা কাগজপত্রে উল্লেখ করা হয়। এই টাকার বৈধ কোন উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ খান। অন্যদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১০ সালের ৫ আগস্ট বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অভিযোগপত্র দেয়ার পর ২৬টি ধার্য তারিখ পার হলেও আইনি মারপ্যাঁচে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। সবশেষ এ মামলায় খালেদা জিয়া গত বছরের ১১ অক্টোবর আদালতে হাজিরা দেন। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করে। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৩৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। মন্তব্য      


No comments:

Post a Comment