ে প্রভাবশালী সুদাইরি বংশ, যারা প্রয়াত বাদশার আমলে বেশ দুর্বল ছিল, লাইমলাইটে চলে আসে। রাজপ্রাসাদে তারা একটা ছোটখাট অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ফেলে। সালমান বিন আবদুল আজিজ অতিসত্ত্বর তার সৎ ভাই আবদুল্লাহর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে এগিয়ে আসেন। তিনি তার ক্রাউন প্রিন্স মেগ্রেনকে পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্ত নিলেন, যাকে বাদশা আবদুল্লাহ তার নিজের ক্রাউন প্রিন্স নির্বাচিত করেছিলেন। বাদশা সালমান হয়তো তার সাথে এই ব্যাপারে পরে আলোচনা করবেন বলে ঠিক করেছেন। যাহোক, তিনি সুদাইরি বংশের আরেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে নিয়োগ করেন। এটা গোপন কিছু নয় যে এই পদের জন্য আবদুল্লাহ তার ছেলে মেতেবকে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মেতেব এখন এর বাইরে। আরো তৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে তিনি তার নিজ পুত্র ৩৫ বছর বয়সি মোহাম্মদকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে দ্বিতীয় প্রজন্মকে নিরাপদ করতে চেয়েছিলেন। মর্যাদার দিক দিয়ে দ্বিতীয় পদ, যেটা মোহাম্মদ পেয়েছেন আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বর্তমানে সৌদি রয়্যাল কোর্টের সাধারণ সম্পাদক। প্রশাসনের এই যে পরিবর্তন তা বাদশা আবদুল্লাহকে কবরে সমাহিত করার আগেই ঘোষণা করা হয়। বাদশা আবদুল্লাহর রয়্যাল কোর্টের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন খালিদ আল তুয়াইজরি। এটা এমন একটা আকর্ষনীয় ও লাভজনক ব্যবসা যা পিতার কাছ থেকে ছেলের হতে এসেছিল এবং এটা আবদুল আজিজ আল তুয়াইজরির হাত ধরে শুরু হয়েছিল। তুয়াইজরিরা ছিলেন বাদশা আবদুল্লাহর দ্বাররক্ষক আর রাজপ্রাসাদের কোন অনুষ্ঠানই তাদের অনুমতি, হস্তক্ষেপ বা তাদের অবগতি ছাড়া করা যেত না। মিশরীয় বিপ্লব পরাভূত করা, বাহরাইনের অভ্যুত্থান দমন করতে সৈন্য পাঠানো, গৃহযুদ্ধের প্রথম দিকে সিরিয়ায় আইএসআইএলকে অর্থায়ন করা প্রভৃতি বিদেশি ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে তুয়াইজরিরা ছিল মূল খেলোয়াড়। খালিদ আল-তুয়াইজরি ও উপসাগরীয় অঞ্চলের নব্য সহযোগী আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদের মধ্যকার সংযোগ বেশ ঘনিষ্ঠ ছিল। কিন্তু স্বীয় পদ থেকে বহিষ্কারের কারণে তাদের সম্পর্ক আগের মতো উষ্ণ থাকবে না। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি থেকে শুরু করে তার যত বিদেশি ক্লায়েন্ট তারা এতক্ষণে হয়তো রিয়াদ থেকে বয়ে আসা ঠাণ্ডা হাওয়া ভালভাবে অনুভব করতে শুরু করেছেন। এল সিসি শুক্রবার বাদশার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন। এটা কিসের লক্ষণ তা সহজেই অনুধাবন করা যায়। সূত্র: হাফিংটন পোস্ট মন্তব্য আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনরিয়াদ: বিশ্বের সর্বকালের সেরা ধনীদের একজন ছিলেন সৌদি আরবের বাদশা আবদুল্লাহ। অথচ সাধারণ সা . . . বিস্তারিত আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনরিয়াদ: সৌদি বাদশা আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর তার সৎ ভাই সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ (৭৯) দেশটির নতু . . . বিস্তারিত
Sunday, January 25, 2015
বাদশা আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর ‘প্রাসাদ অভ্যুত্থান’:RTNN
বাদশা আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর ‘প্রাসাদ অভ্যুত্থান’ আন্তর্জাতিক ডেস্ক আরটিএনএন রিয়াদ: সৌদি বাদশা আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ ২৩ জানুয়ারি শুক্রবার ৯০ বছর বয়সে মারা যান। মারা যাওয়ার পর রাজধানী রিয়াদের এক অজ্ঞাত কবরে তাকে সমাহিত করা হয়। শেষকৃত্য সম্পন্ন হতে সব মিলিয়ে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। এ সময়ের মধ্যে একই সাথে ঘটে যায় অনেকগুলো ঘটনা। এই সময়ের মধ্যে আল সৌদ প্রাসাদে ভেতরে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ ও রাজনৈতিকভাব
ে প্রভাবশালী সুদাইরি বংশ, যারা প্রয়াত বাদশার আমলে বেশ দুর্বল ছিল, লাইমলাইটে চলে আসে। রাজপ্রাসাদে তারা একটা ছোটখাট অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ফেলে। সালমান বিন আবদুল আজিজ অতিসত্ত্বর তার সৎ ভাই আবদুল্লাহর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে এগিয়ে আসেন। তিনি তার ক্রাউন প্রিন্স মেগ্রেনকে পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্ত নিলেন, যাকে বাদশা আবদুল্লাহ তার নিজের ক্রাউন প্রিন্স নির্বাচিত করেছিলেন। বাদশা সালমান হয়তো তার সাথে এই ব্যাপারে পরে আলোচনা করবেন বলে ঠিক করেছেন। যাহোক, তিনি সুদাইরি বংশের আরেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে নিয়োগ করেন। এটা গোপন কিছু নয় যে এই পদের জন্য আবদুল্লাহ তার ছেলে মেতেবকে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মেতেব এখন এর বাইরে। আরো তৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে তিনি তার নিজ পুত্র ৩৫ বছর বয়সি মোহাম্মদকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে দ্বিতীয় প্রজন্মকে নিরাপদ করতে চেয়েছিলেন। মর্যাদার দিক দিয়ে দ্বিতীয় পদ, যেটা মোহাম্মদ পেয়েছেন আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বর্তমানে সৌদি রয়্যাল কোর্টের সাধারণ সম্পাদক। প্রশাসনের এই যে পরিবর্তন তা বাদশা আবদুল্লাহকে কবরে সমাহিত করার আগেই ঘোষণা করা হয়। বাদশা আবদুল্লাহর রয়্যাল কোর্টের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন খালিদ আল তুয়াইজরি। এটা এমন একটা আকর্ষনীয় ও লাভজনক ব্যবসা যা পিতার কাছ থেকে ছেলের হতে এসেছিল এবং এটা আবদুল আজিজ আল তুয়াইজরির হাত ধরে শুরু হয়েছিল। তুয়াইজরিরা ছিলেন বাদশা আবদুল্লাহর দ্বাররক্ষক আর রাজপ্রাসাদের কোন অনুষ্ঠানই তাদের অনুমতি, হস্তক্ষেপ বা তাদের অবগতি ছাড়া করা যেত না। মিশরীয় বিপ্লব পরাভূত করা, বাহরাইনের অভ্যুত্থান দমন করতে সৈন্য পাঠানো, গৃহযুদ্ধের প্রথম দিকে সিরিয়ায় আইএসআইএলকে অর্থায়ন করা প্রভৃতি বিদেশি ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে তুয়াইজরিরা ছিল মূল খেলোয়াড়। খালিদ আল-তুয়াইজরি ও উপসাগরীয় অঞ্চলের নব্য সহযোগী আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদের মধ্যকার সংযোগ বেশ ঘনিষ্ঠ ছিল। কিন্তু স্বীয় পদ থেকে বহিষ্কারের কারণে তাদের সম্পর্ক আগের মতো উষ্ণ থাকবে না। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি থেকে শুরু করে তার যত বিদেশি ক্লায়েন্ট তারা এতক্ষণে হয়তো রিয়াদ থেকে বয়ে আসা ঠাণ্ডা হাওয়া ভালভাবে অনুভব করতে শুরু করেছেন। এল সিসি শুক্রবার বাদশার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন। এটা কিসের লক্ষণ তা সহজেই অনুধাবন করা যায়। সূত্র: হাফিংটন পোস্ট মন্তব্য আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনরিয়াদ: বিশ্বের সর্বকালের সেরা ধনীদের একজন ছিলেন সৌদি আরবের বাদশা আবদুল্লাহ। অথচ সাধারণ সা . . . বিস্তারিত আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনরিয়াদ: সৌদি বাদশা আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর তার সৎ ভাই সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ (৭৯) দেশটির নতু . . . বিস্তারিত
ে প্রভাবশালী সুদাইরি বংশ, যারা প্রয়াত বাদশার আমলে বেশ দুর্বল ছিল, লাইমলাইটে চলে আসে। রাজপ্রাসাদে তারা একটা ছোটখাট অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ফেলে। সালমান বিন আবদুল আজিজ অতিসত্ত্বর তার সৎ ভাই আবদুল্লাহর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে এগিয়ে আসেন। তিনি তার ক্রাউন প্রিন্স মেগ্রেনকে পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্ত নিলেন, যাকে বাদশা আবদুল্লাহ তার নিজের ক্রাউন প্রিন্স নির্বাচিত করেছিলেন। বাদশা সালমান হয়তো তার সাথে এই ব্যাপারে পরে আলোচনা করবেন বলে ঠিক করেছেন। যাহোক, তিনি সুদাইরি বংশের আরেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে নিয়োগ করেন। এটা গোপন কিছু নয় যে এই পদের জন্য আবদুল্লাহ তার ছেলে মেতেবকে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মেতেব এখন এর বাইরে। আরো তৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে তিনি তার নিজ পুত্র ৩৫ বছর বয়সি মোহাম্মদকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে দ্বিতীয় প্রজন্মকে নিরাপদ করতে চেয়েছিলেন। মর্যাদার দিক দিয়ে দ্বিতীয় পদ, যেটা মোহাম্মদ পেয়েছেন আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বর্তমানে সৌদি রয়্যাল কোর্টের সাধারণ সম্পাদক। প্রশাসনের এই যে পরিবর্তন তা বাদশা আবদুল্লাহকে কবরে সমাহিত করার আগেই ঘোষণা করা হয়। বাদশা আবদুল্লাহর রয়্যাল কোর্টের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন খালিদ আল তুয়াইজরি। এটা এমন একটা আকর্ষনীয় ও লাভজনক ব্যবসা যা পিতার কাছ থেকে ছেলের হতে এসেছিল এবং এটা আবদুল আজিজ আল তুয়াইজরির হাত ধরে শুরু হয়েছিল। তুয়াইজরিরা ছিলেন বাদশা আবদুল্লাহর দ্বাররক্ষক আর রাজপ্রাসাদের কোন অনুষ্ঠানই তাদের অনুমতি, হস্তক্ষেপ বা তাদের অবগতি ছাড়া করা যেত না। মিশরীয় বিপ্লব পরাভূত করা, বাহরাইনের অভ্যুত্থান দমন করতে সৈন্য পাঠানো, গৃহযুদ্ধের প্রথম দিকে সিরিয়ায় আইএসআইএলকে অর্থায়ন করা প্রভৃতি বিদেশি ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে তুয়াইজরিরা ছিল মূল খেলোয়াড়। খালিদ আল-তুয়াইজরি ও উপসাগরীয় অঞ্চলের নব্য সহযোগী আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদের মধ্যকার সংযোগ বেশ ঘনিষ্ঠ ছিল। কিন্তু স্বীয় পদ থেকে বহিষ্কারের কারণে তাদের সম্পর্ক আগের মতো উষ্ণ থাকবে না। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি থেকে শুরু করে তার যত বিদেশি ক্লায়েন্ট তারা এতক্ষণে হয়তো রিয়াদ থেকে বয়ে আসা ঠাণ্ডা হাওয়া ভালভাবে অনুভব করতে শুরু করেছেন। এল সিসি শুক্রবার বাদশার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন। এটা কিসের লক্ষণ তা সহজেই অনুধাবন করা যায়। সূত্র: হাফিংটন পোস্ট মন্তব্য আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনরিয়াদ: বিশ্বের সর্বকালের সেরা ধনীদের একজন ছিলেন সৌদি আরবের বাদশা আবদুল্লাহ। অথচ সাধারণ সা . . . বিস্তারিত আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনরিয়াদ: সৌদি বাদশা আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর তার সৎ ভাই সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ (৭৯) দেশটির নতু . . . বিস্তারিত
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment