ি। দলের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ঢাকার আন্দোলনের প্রস্তুতি ঠিক পথেই এগোচ্ছে। নেতাকর্মীরা অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে এখন মাঠে নামতে উদগ্রীব। তৃণমূলের চাওয়া এবার পূরণ হবেই; যার আলামত ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ দিকে দলের নেতারা বলেছেন, যেকোনো মূল্যে আগামীকাল গাজীপুরে সমাবেশ করবে বিএনপি। যেখানে বাধা দেয়া হবে, সেখানেই অবস্থান নিয়ে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সাথে নেয়া হচ্ছে প্রতিরোধের প্রস্তুতিও। জানা গেছে, বুধবার বিশেষ আদালতের বাইরে রাজপথে থেকে ছাত্রলীগকে চ্যালেঞ্জ করায় সন্তুষ্ট বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। সারা দেশের নেতাকর্মীরাও এতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন। হামলা হলেও রাজপথ ছাড়েনি নেতাকর্মীরা, তাই এবার ঢাকায় আন্দোলন হবে এমন প্রত্যয়ও সৃষ্টি হয়েছে তাদের মধ্যে। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সাথে আলাপচারিতায় তাদের বেশ উজ্জীবিত মনে হয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা নেতাকর্মীরা বললেন, আন্দোলনের জন্য তারা প্রস্তুত। বুধবারের ঘটনায় তাদের আত্মবিশ্বাস আরো বেড়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিনের বেলায় ছাত্রলীগ-বিএনপির সংঘর্ষের পর রাতে সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা আন্দোলন প্রশ্নে খালেদা জিয়ার কঠোর মনোভাবের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া ওই বৈঠকে বলেছেন, ‘দাবি আদায়ের প্রশ্নে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। রাজপথে থেকে সর্বাত্মক প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিতে হবে।’ ঢাকায় দীর্ঘ দিন পরে আন্দোলনের সূচনা হওয়ায় তৃণমূল নেতারাও সংশয়মুক্ত হতে শুরু করেছেন। বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে রাজধানীর আন্দোলন নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে। তারা মনে করেন, ওই সময়ে ঢাকায় কোনো আন্দোলন হয়নি। এর ফলে আন্দোলনের ফসলও ঘরে তুলতে পারেনি বিএনপি। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীতে সাবেক ছাত্রদের কনভেনশনেও সারা দেশে আন্দোলনের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ নেতারা ঢাকার আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ঢাকায় এবার আন্দোলন হবে কি না তারও নিশ্চয়তা চেয়েছেন তারা। তৃণমূল নেতাদের এমন চাওয়ার মধ্যেই বুধবার খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হওয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে যে শোডাউন হয়েছে, তাতে তারা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান শামীম গতকাল বলেন, বুধবারের শোডাউন প্রমাণ করে এবার ঢাকায় কঠোর আন্দোলন হবে। তৃণমূলের নেতারা এখন আন্দোলনের সফলতার বিষয়ে অনেক আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। এ দিকে প্রশাসন থেকে অনুমতি না পেলেও যেকোনো মূল্যে গাজীপুরের জনসভা করতে বদ্ধপরিকর বিএনপি। জানা গেছে, আগামীকাল ২৭ ডিসেম্বর ওই জনসভায় যোগ দিতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা হবেন। যেখানে বাধা দেয়া হবে, সেখানেই অবস্থান নিয়ে জনসভা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের গাজীপুর জেলার নেতাসহ দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন। করণীয় ঠিক করতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় বৈঠক করেন নগর বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। গাজীপুর জেলা বিএনপি সভাপতি ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘আমরা যেকোনো মূল্যে জনসভা করব। বাধা এলে প্রতিরোধ হবে। কিন্তু আমরা পিছপা হব না।’ জানা গেছে, বুধবার রাতে খালেদা জিয়া জনসভার বিষয়ে গাজীপুর জেলার নেতাদের কাছে প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় নেতারা বলেন, তারা প্রস্তুত। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে প্রতিহত করতে সব প্রস্তুতি রয়েছে। ঘণ্টাব্যাপী পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, খালেদা জিয়া গাজীপুর যাবেন এবং যেখানে বাধা দেয়া হবে সেখানেই জনভা হবে। এমনকি গাড়িবহরে হামলা হলে প্রতিরোধও হবে। ওই বৈঠকের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে বিশাল বহর নিয়ে ঢাকা থেকে গাজীপুরের সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া। যেখানে বাধা দেয়া হবে, সেখানে গাড়িবহর অবস্থান নেবে। গাজীপুর থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে খালেদা জিয়ার অবস্থানের উদ্দেশে রওনা হবে। কোথাও তাদের বাধা দেয়া হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। জানা গেছে, গাজীপুরের সমাবেশসহ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বিএনপির বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে ৫ জানুয়ারির সমাবেশকে মূল টার্গেট করা হয়েছে। ওই দিন ঢাকায় ব্যাপক লোকসমাগমের মধ্য দিয়ে সরকারকে নতুন নির্বাচনের দাবির যৌক্তিকতা বিএনপি আবারো প্রমাণ করতে চায়। আর সমাবেশ করতে দেয়া না হলে হরতাল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, এসব কর্মসূচিকে ঘিরে ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশকে রাজধানীতে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইভাবে সারা দেশের প্রত্যেক মহানগর, জেলা ও থানা-উপজেলাপর্যায়ে নেতাকর্মীদের সবাইকে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সূত্র: নয়া দিগন্ত জেএ
Friday, December 26, 2014
রাজপথে থাকার নির্দেশ খালেদার:Time News
রাজপথে থাকার নির্দেশ খালেদার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০৮:৫৩:১৪ নতুন নির্বাচনের দাবি আদায়ে রাজপথেই থাকবে বিএনপি। গত বুধবার বিশেষ আদালত এলাকায় হামলা-সংঘর্ষের পর দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সংগঠনের প্রতিটি স্তরের শীর্ষ নেতাদের যেকোনো কর্মসূচি সফলে রাজপথ না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ঢাকার নেতাদের শক্ত প্রস্তুতি নেয়ার পাশাপাশি নাশকতার বিষয়েও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিন
ি। দলের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ঢাকার আন্দোলনের প্রস্তুতি ঠিক পথেই এগোচ্ছে। নেতাকর্মীরা অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে এখন মাঠে নামতে উদগ্রীব। তৃণমূলের চাওয়া এবার পূরণ হবেই; যার আলামত ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ দিকে দলের নেতারা বলেছেন, যেকোনো মূল্যে আগামীকাল গাজীপুরে সমাবেশ করবে বিএনপি। যেখানে বাধা দেয়া হবে, সেখানেই অবস্থান নিয়ে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সাথে নেয়া হচ্ছে প্রতিরোধের প্রস্তুতিও। জানা গেছে, বুধবার বিশেষ আদালতের বাইরে রাজপথে থেকে ছাত্রলীগকে চ্যালেঞ্জ করায় সন্তুষ্ট বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। সারা দেশের নেতাকর্মীরাও এতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন। হামলা হলেও রাজপথ ছাড়েনি নেতাকর্মীরা, তাই এবার ঢাকায় আন্দোলন হবে এমন প্রত্যয়ও সৃষ্টি হয়েছে তাদের মধ্যে। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সাথে আলাপচারিতায় তাদের বেশ উজ্জীবিত মনে হয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা নেতাকর্মীরা বললেন, আন্দোলনের জন্য তারা প্রস্তুত। বুধবারের ঘটনায় তাদের আত্মবিশ্বাস আরো বেড়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিনের বেলায় ছাত্রলীগ-বিএনপির সংঘর্ষের পর রাতে সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা আন্দোলন প্রশ্নে খালেদা জিয়ার কঠোর মনোভাবের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া ওই বৈঠকে বলেছেন, ‘দাবি আদায়ের প্রশ্নে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। রাজপথে থেকে সর্বাত্মক প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিতে হবে।’ ঢাকায় দীর্ঘ দিন পরে আন্দোলনের সূচনা হওয়ায় তৃণমূল নেতারাও সংশয়মুক্ত হতে শুরু করেছেন। বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে রাজধানীর আন্দোলন নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে। তারা মনে করেন, ওই সময়ে ঢাকায় কোনো আন্দোলন হয়নি। এর ফলে আন্দোলনের ফসলও ঘরে তুলতে পারেনি বিএনপি। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীতে সাবেক ছাত্রদের কনভেনশনেও সারা দেশে আন্দোলনের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ নেতারা ঢাকার আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ঢাকায় এবার আন্দোলন হবে কি না তারও নিশ্চয়তা চেয়েছেন তারা। তৃণমূল নেতাদের এমন চাওয়ার মধ্যেই বুধবার খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হওয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে যে শোডাউন হয়েছে, তাতে তারা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান শামীম গতকাল বলেন, বুধবারের শোডাউন প্রমাণ করে এবার ঢাকায় কঠোর আন্দোলন হবে। তৃণমূলের নেতারা এখন আন্দোলনের সফলতার বিষয়ে অনেক আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। এ দিকে প্রশাসন থেকে অনুমতি না পেলেও যেকোনো মূল্যে গাজীপুরের জনসভা করতে বদ্ধপরিকর বিএনপি। জানা গেছে, আগামীকাল ২৭ ডিসেম্বর ওই জনসভায় যোগ দিতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা হবেন। যেখানে বাধা দেয়া হবে, সেখানেই অবস্থান নিয়ে জনসভা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের গাজীপুর জেলার নেতাসহ দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন। করণীয় ঠিক করতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় বৈঠক করেন নগর বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। গাজীপুর জেলা বিএনপি সভাপতি ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘আমরা যেকোনো মূল্যে জনসভা করব। বাধা এলে প্রতিরোধ হবে। কিন্তু আমরা পিছপা হব না।’ জানা গেছে, বুধবার রাতে খালেদা জিয়া জনসভার বিষয়ে গাজীপুর জেলার নেতাদের কাছে প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় নেতারা বলেন, তারা প্রস্তুত। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে প্রতিহত করতে সব প্রস্তুতি রয়েছে। ঘণ্টাব্যাপী পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, খালেদা জিয়া গাজীপুর যাবেন এবং যেখানে বাধা দেয়া হবে সেখানেই জনভা হবে। এমনকি গাড়িবহরে হামলা হলে প্রতিরোধও হবে। ওই বৈঠকের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে বিশাল বহর নিয়ে ঢাকা থেকে গাজীপুরের সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া। যেখানে বাধা দেয়া হবে, সেখানে গাড়িবহর অবস্থান নেবে। গাজীপুর থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে খালেদা জিয়ার অবস্থানের উদ্দেশে রওনা হবে। কোথাও তাদের বাধা দেয়া হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। জানা গেছে, গাজীপুরের সমাবেশসহ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বিএনপির বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে ৫ জানুয়ারির সমাবেশকে মূল টার্গেট করা হয়েছে। ওই দিন ঢাকায় ব্যাপক লোকসমাগমের মধ্য দিয়ে সরকারকে নতুন নির্বাচনের দাবির যৌক্তিকতা বিএনপি আবারো প্রমাণ করতে চায়। আর সমাবেশ করতে দেয়া না হলে হরতাল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, এসব কর্মসূচিকে ঘিরে ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশকে রাজধানীতে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইভাবে সারা দেশের প্রত্যেক মহানগর, জেলা ও থানা-উপজেলাপর্যায়ে নেতাকর্মীদের সবাইকে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সূত্র: নয়া দিগন্ত জেএ
ি। দলের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ঢাকার আন্দোলনের প্রস্তুতি ঠিক পথেই এগোচ্ছে। নেতাকর্মীরা অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে এখন মাঠে নামতে উদগ্রীব। তৃণমূলের চাওয়া এবার পূরণ হবেই; যার আলামত ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ দিকে দলের নেতারা বলেছেন, যেকোনো মূল্যে আগামীকাল গাজীপুরে সমাবেশ করবে বিএনপি। যেখানে বাধা দেয়া হবে, সেখানেই অবস্থান নিয়ে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সাথে নেয়া হচ্ছে প্রতিরোধের প্রস্তুতিও। জানা গেছে, বুধবার বিশেষ আদালতের বাইরে রাজপথে থেকে ছাত্রলীগকে চ্যালেঞ্জ করায় সন্তুষ্ট বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। সারা দেশের নেতাকর্মীরাও এতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন। হামলা হলেও রাজপথ ছাড়েনি নেতাকর্মীরা, তাই এবার ঢাকায় আন্দোলন হবে এমন প্রত্যয়ও সৃষ্টি হয়েছে তাদের মধ্যে। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সাথে আলাপচারিতায় তাদের বেশ উজ্জীবিত মনে হয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা নেতাকর্মীরা বললেন, আন্দোলনের জন্য তারা প্রস্তুত। বুধবারের ঘটনায় তাদের আত্মবিশ্বাস আরো বেড়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিনের বেলায় ছাত্রলীগ-বিএনপির সংঘর্ষের পর রাতে সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা আন্দোলন প্রশ্নে খালেদা জিয়ার কঠোর মনোভাবের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া ওই বৈঠকে বলেছেন, ‘দাবি আদায়ের প্রশ্নে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। রাজপথে থেকে সর্বাত্মক প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিতে হবে।’ ঢাকায় দীর্ঘ দিন পরে আন্দোলনের সূচনা হওয়ায় তৃণমূল নেতারাও সংশয়মুক্ত হতে শুরু করেছেন। বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে রাজধানীর আন্দোলন নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে। তারা মনে করেন, ওই সময়ে ঢাকায় কোনো আন্দোলন হয়নি। এর ফলে আন্দোলনের ফসলও ঘরে তুলতে পারেনি বিএনপি। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীতে সাবেক ছাত্রদের কনভেনশনেও সারা দেশে আন্দোলনের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ নেতারা ঢাকার আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ঢাকায় এবার আন্দোলন হবে কি না তারও নিশ্চয়তা চেয়েছেন তারা। তৃণমূল নেতাদের এমন চাওয়ার মধ্যেই বুধবার খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হওয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে যে শোডাউন হয়েছে, তাতে তারা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান শামীম গতকাল বলেন, বুধবারের শোডাউন প্রমাণ করে এবার ঢাকায় কঠোর আন্দোলন হবে। তৃণমূলের নেতারা এখন আন্দোলনের সফলতার বিষয়ে অনেক আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। এ দিকে প্রশাসন থেকে অনুমতি না পেলেও যেকোনো মূল্যে গাজীপুরের জনসভা করতে বদ্ধপরিকর বিএনপি। জানা গেছে, আগামীকাল ২৭ ডিসেম্বর ওই জনসভায় যোগ দিতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা হবেন। যেখানে বাধা দেয়া হবে, সেখানেই অবস্থান নিয়ে জনসভা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের গাজীপুর জেলার নেতাসহ দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন। করণীয় ঠিক করতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় বৈঠক করেন নগর বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। গাজীপুর জেলা বিএনপি সভাপতি ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘আমরা যেকোনো মূল্যে জনসভা করব। বাধা এলে প্রতিরোধ হবে। কিন্তু আমরা পিছপা হব না।’ জানা গেছে, বুধবার রাতে খালেদা জিয়া জনসভার বিষয়ে গাজীপুর জেলার নেতাদের কাছে প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় নেতারা বলেন, তারা প্রস্তুত। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে প্রতিহত করতে সব প্রস্তুতি রয়েছে। ঘণ্টাব্যাপী পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, খালেদা জিয়া গাজীপুর যাবেন এবং যেখানে বাধা দেয়া হবে সেখানেই জনভা হবে। এমনকি গাড়িবহরে হামলা হলে প্রতিরোধও হবে। ওই বৈঠকের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে বিশাল বহর নিয়ে ঢাকা থেকে গাজীপুরের সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া। যেখানে বাধা দেয়া হবে, সেখানে গাড়িবহর অবস্থান নেবে। গাজীপুর থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে খালেদা জিয়ার অবস্থানের উদ্দেশে রওনা হবে। কোথাও তাদের বাধা দেয়া হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। জানা গেছে, গাজীপুরের সমাবেশসহ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বিএনপির বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে ৫ জানুয়ারির সমাবেশকে মূল টার্গেট করা হয়েছে। ওই দিন ঢাকায় ব্যাপক লোকসমাগমের মধ্য দিয়ে সরকারকে নতুন নির্বাচনের দাবির যৌক্তিকতা বিএনপি আবারো প্রমাণ করতে চায়। আর সমাবেশ করতে দেয়া না হলে হরতাল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, এসব কর্মসূচিকে ঘিরে ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশকে রাজধানীতে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইভাবে সারা দেশের প্রত্যেক মহানগর, জেলা ও থানা-উপজেলাপর্যায়ে নেতাকর্মীদের সবাইকে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সূত্র: নয়া দিগন্ত জেএ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment