প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন শাহজাহান মোল্লা। পরে গত ৯ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের (পিএসসি) ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। সোমবার বিকেলে আইন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, পদোন্নতিসহ নতুন পোস্টিংয়ের কারণেই আর কমিটিতে থাকতে পারছেন না শাহজাহান মোল্লা। এ কারণে এরই মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে কমিটির নতুন প্রধান নিয়োগের সুপারিশও পাঠানো হয়েছে। তবে ঠিক কে কমিটির প্রধান হচ্ছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, আইন মন্ত্রণালয় মতামত পাঠিয়েছে। তবে আমি এখনও হাতে পাইনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান আলী মোল্লাকে গত ৯ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এরপর থেকে কার্যত সাত খুনের ঘটনার তদন্ত কাজ কাজ স্থবির হয়ে পড়ে। তবে আগেই শাহজাহান আলী মোল্লা জানিয়েছিলেন, তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, শিগগিরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। তদন্ত কমিটির সদস্য আইন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মিজানুর রহমান খান বলেন, কমিটি প্রধানের পোস্টিং হওয়ার কারণেই তিনি এই কমিটিতে থাকতে পারছেন না। নতুন তদন্ত কমিটির প্রধান নিয়োগের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অফিস মতামত জানিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অফিস থেকে তদন্ত কমিটির নতুন প্রধানের নিয়োগের সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার অভিযোগ তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ মে শাহজাহান আলী মোল্লাকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ কমিটিকে আদেশ জারির সাত দিনের মধ্যে তদন্ত কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। কমিটি কয়েক দফায় অগ্রগতি প্রতিবেদনও দাখিল করে। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের আগেই কমিটির চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী মোল্লাকে পদোন্নতিসহ পোস্টিং দেওয়া হয় পিএসসিতে। প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, ৠাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান রয়েছেন। এ ঘটনায় র্যাব-১১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্ণেল সাঈদ তারেক, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানাকে র্যাব থেকে সরিয়ে নিজ বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। আদালতের নির্দেশে চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতারও করা হয়। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই সাত খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনার মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে গত ১৪ জুন কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন কৈখালী এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তবে তাকে এখনও দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি। এএইচ
Tuesday, December 9, 2014
পরিবর্তন হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে ৭ খুন তদন্ত কমিটির প্রধান:Time News
প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন শাহজাহান মোল্লা। পরে গত ৯ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের (পিএসসি) ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। সোমবার বিকেলে আইন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, পদোন্নতিসহ নতুন পোস্টিংয়ের কারণেই আর কমিটিতে থাকতে পারছেন না শাহজাহান মোল্লা। এ কারণে এরই মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে কমিটির নতুন প্রধান নিয়োগের সুপারিশও পাঠানো হয়েছে। তবে ঠিক কে কমিটির প্রধান হচ্ছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, আইন মন্ত্রণালয় মতামত পাঠিয়েছে। তবে আমি এখনও হাতে পাইনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান আলী মোল্লাকে গত ৯ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এরপর থেকে কার্যত সাত খুনের ঘটনার তদন্ত কাজ কাজ স্থবির হয়ে পড়ে। তবে আগেই শাহজাহান আলী মোল্লা জানিয়েছিলেন, তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, শিগগিরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। তদন্ত কমিটির সদস্য আইন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মিজানুর রহমান খান বলেন, কমিটি প্রধানের পোস্টিং হওয়ার কারণেই তিনি এই কমিটিতে থাকতে পারছেন না। নতুন তদন্ত কমিটির প্রধান নিয়োগের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অফিস মতামত জানিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অফিস থেকে তদন্ত কমিটির নতুন প্রধানের নিয়োগের সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার অভিযোগ তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ মে শাহজাহান আলী মোল্লাকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ কমিটিকে আদেশ জারির সাত দিনের মধ্যে তদন্ত কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। কমিটি কয়েক দফায় অগ্রগতি প্রতিবেদনও দাখিল করে। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের আগেই কমিটির চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী মোল্লাকে পদোন্নতিসহ পোস্টিং দেওয়া হয় পিএসসিতে। প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, ৠাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান রয়েছেন। এ ঘটনায় র্যাব-১১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্ণেল সাঈদ তারেক, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানাকে র্যাব থেকে সরিয়ে নিজ বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। আদালতের নির্দেশে চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতারও করা হয়। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই সাত খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনার মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে গত ১৪ জুন কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন কৈখালী এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তবে তাকে এখনও দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি। এএইচ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment