
ের জন্য সন্ত্রাসীদের মূল্য দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ সন্ত্রাস দমনে জাতীয় অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির ব্যাপারে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে সব দলের সদস্যরাই এই বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একমত হন। বৈঠকের পর সামরিক আদালতের ব্যাপারে বিস্তারিত না জানালেও এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন বলে উল্লেখ করে নওয়াজ শরীফ। তিনি পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা নিশ্চই এ ধরনের আর কোনো দুর্ঘটনা প্রত্যক্ষ করার আগেই সত্যিকারভাবে জেগে উঠব। বৈঠকের পর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নওয়াজ শরীফ বলছিলেন, অতীতে বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েও হামলাকারীরা শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে গেছে। তিনি বলেন, ফলে এ ধরনের অপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করতেই সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিচালনায় বিশেষ এই আদালত প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান বর্তমানে এক বিশেষ পরিস্থিতির মুখোমুখি। আর সেজন্য বিশেষভাবে তা মোকাবেলা করতে হবে। এ মুহূর্তে আমরা যদি কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারি, জাতি এবং ইতিহাস কখনোই আমাদের ক্ষমা করবে না।’ তালেবান-ই তেহরকি সদস্যরা পেশোয়ারে সেনাবাহিনীর পরিচালিত একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে গত সপ্তাহে ১৫২ জনকে হত্যা করে। এর মধ্যে ১৩৩ জনই ছিল শিশু। এই ঘটনা শুধু পাকিস্তান নয়, পুরো বিশ্বকে হতবাক করে দেয়। এরপর দেশটিতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এদিকে, বিরোধীদলীয় নেতা সাইদ খুরশিদ শাহ বলেছেন, সামরিক আদালত দুই বছরের জন্য স্থাপন করা হতে পারে। তিনি বলেন, এই আদালতে কেবল সন্ত্রাসীদের বিচার করা হবে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই আদালত ব্যবহৃত হবে না। সূত্র: বিবিসি মন্তব্য
No comments:
Post a Comment