Wednesday, December 17, 2014

‘কিস করায় কলেজ থেকে বহিষ্কার হয়েছিল তারেক’:RTNN

‘কিস করায় কলেজ থেকে বহিষ্কার হয়েছিল তারেক’ নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, ‘কলেজে এক মেয়েকে কিস তারেক রহমান বহিষ্কার হয়েছিল।’ তিনি বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সেভেন মার্চ ফাউন্ডেশন নামক সংগঠনের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এ সময় গাফফার চৌ
ধুরী তারেক রহমানকে ‘জীবন্ত উন্মাদ’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘দয়া করে কেউ তারেক রহমানের নাম মুখে আনবেন না। বিলেতে বসে একজন জীবন্ত উন্মাদ কি বলল তাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের কিছু যায়-আসে না। এ সব বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার মতো শিক্ষাগত যোগ্যতাও তার নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘তাদের আর হাওয়া ভবন নেই। বিদেশে থাকায় দীর্ঘদিন মা আর ছেলের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ নেই। এজন্য ছেলে তারেক উন্মাদ হয়ে গেছে।’ গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘তারেক রহমান বীরত্বের সঙ্গে দেশে চেহারা দেখাতে পারে না। জামায়াতের লোক নিয়ে তিনি লাখ পাউন্ড খরচ করে বিদেশে সভা করেন। আর পালিয়ে বেড়ান। তাকে চিৎকার করতে দিন। তার চিৎকারে বঙ্গবন্ধুর কিছু হবে না।’ তিনি বলেন, ‘একদিন জিয়াউর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখি তিনি তারেককে বেল্ট খুলে প্রহার করছেন। রক্তাক্ত তারেকের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়াও। শাহীন কলেজে এক মেয়েকে কিস করার কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।’ প্রবাসী এই কলামিস্ট বলেন, ‘৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিজস্ব চেহারায় ঐতিহাসিক স্থান দখল করে রেখেছে। ওই ভাষণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বাণী।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আফ্রিকার অনেক দেশে ইংরেজি অনুবাদ হয়, তারা তাদের দেশের স্লোগানে হিসেবে ব্যবহার বরে। তাই এই ভাষণ একটি মহাকাব্য।’ গাফফার চৌধুরী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছিলেন বলে একে খন্দকারের প্রকাশিত বইয়ে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুল। ১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি পাকিস্তানের গণপরিষদের সদস্য পদের শপথ নেওয়ার কারণে বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্তান বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণে তিনি একথা বলেননি। এমনকি ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যেখানে ‘পাকিস্তান’ শব্দটি ব্যবহারের দরকার ছিল সেখানে ‘পূর্ব পাকিস্তান’ অথবা ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি উচ্চারণ করেছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে এসব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তারা জামায়াতে ইসলামীর কেউ না। তারা আমাদেরই লোক, নাম বলতে চাই না, শত্রু বাড়াতে চাই না। তারা নানা সুবিধার পাওয়ার জন্য এসব কথা বলেন।’ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বামপন্থিদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘আগে শেখ মুজিবুর রহমানকে বামপন্থিরা বঙ্গবন্ধু বলে ডাকতো না। তাদের ভুল ভেঙেছে। মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া বামের নেতারা এখন বঙ্গবন্ধু শব্দটি ব্যবহার করেন।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোনায়েম সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. সারওয়ার। এছাড়া বক্তব্য রাখেন- অগ্রণী রিসার্চের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন আহমদ এবং সিনিয়র রিসার্চ অ্যাডভাইজর ড. কপিল আহমেদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে লন্ডন বিএনপি আয়োজিত আলোচনায় তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশের সবচেয়ে বড় রাজাকার উল্লেখ করে বক্তব্য দেন। মন্তব্য      


No comments:

Post a Comment