আগামী অর্থবছরে বেতনভাতাদি খাতেই সরকারকে খরচ করতে হবে ৬৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এটা চলতি অর্থবছরের মোট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রায় ৯০ শতাংশ। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এডিপি খাতে মোট ব্যয় বরাদ্দ ধরা রয়েছে ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। গত রবিবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতাসংক্রান্ত চাকরি কমিশনের রিপোর্ট অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ১৬ ধাপে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম ধাপ এক-এ বেতনের প্রস্তাব করা হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। আর শেষ ধাপ ১৬-তে বেতন থাকবে আট হাজার ২০০ টাকা। তবে সিনিয়র সচিবদের জন্য ৮৮ হাজার এবং মন্ত্রিপরিষদ ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের বেতনের প্রস্তাব করা হয়েছে এক লাখ টাকা। পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন শেষে আগামী অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই থেকে নতুন বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেতন-ভাতা-পেনশন খাতে মোট বরাদ্দ রয়েছে ৩৮ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে অফিসার ও প্রতিষ্ঠান কর্মচারীদের বেতন খাতে রয়েছে তিন হাজার ১৭ কোটি ও ১০ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। অন্য দিকে ভাতাদি খাতে রয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের বাজেটে অবসর ভাতা ও আনুতোষিক খাতেও বরাদ্দ রাখা হয়েছে আট হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত অষ্টম বেতন কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের জন্য এর সাথে অতিরিক্ত আরো ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো লাগবে বলে অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রাক্কলিত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থবিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিক তথ্য প্রাপ্তির ওপর ভিত্তি করে এই হিসাবটি করা হয়েছে। শিক্ষকদের এমপিওর বিষয়টি এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, পে-কমিশন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে বাজেটে ব্যয় ২২ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। কিন্তু আমরা প্রাথমিক হিসাব করে দেখেছি অন্যান্য ব্যয় ধরে এর পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো হবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, কোনো পে-কমিশনের প্রস্তাবই পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয় না। এ ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম হবে না। অতীত অভিজ্ঞতা বলে প্রস্তাবের বড় জোর ৭০ ভাগ বাস্তবিক অর্থে বাস্তবায়ন করা হয়। মন্তব্য
Tuesday, December 23, 2014
বছরে খরচ বাড়বে ৩০ হাজার কোটি টাকা:RTNN
নতুন বেতন কাঠামো বছরে খরচ বাড়বে ৩০ হাজার কোটি টাকা নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: অষ্টম পে-কমিশনের প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারকে অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা-পেনশন খাতে ব্যয় করা হচ্ছে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা হলে এর সাথে যোগ করতে হবে আরো ৩০ হাজার কোটি টাকা। ফলে
আগামী অর্থবছরে বেতনভাতাদি খাতেই সরকারকে খরচ করতে হবে ৬৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এটা চলতি অর্থবছরের মোট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রায় ৯০ শতাংশ। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এডিপি খাতে মোট ব্যয় বরাদ্দ ধরা রয়েছে ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। গত রবিবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতাসংক্রান্ত চাকরি কমিশনের রিপোর্ট অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ১৬ ধাপে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম ধাপ এক-এ বেতনের প্রস্তাব করা হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। আর শেষ ধাপ ১৬-তে বেতন থাকবে আট হাজার ২০০ টাকা। তবে সিনিয়র সচিবদের জন্য ৮৮ হাজার এবং মন্ত্রিপরিষদ ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের বেতনের প্রস্তাব করা হয়েছে এক লাখ টাকা। পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন শেষে আগামী অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই থেকে নতুন বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেতন-ভাতা-পেনশন খাতে মোট বরাদ্দ রয়েছে ৩৮ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে অফিসার ও প্রতিষ্ঠান কর্মচারীদের বেতন খাতে রয়েছে তিন হাজার ১৭ কোটি ও ১০ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। অন্য দিকে ভাতাদি খাতে রয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের বাজেটে অবসর ভাতা ও আনুতোষিক খাতেও বরাদ্দ রাখা হয়েছে আট হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত অষ্টম বেতন কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের জন্য এর সাথে অতিরিক্ত আরো ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো লাগবে বলে অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রাক্কলিত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থবিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিক তথ্য প্রাপ্তির ওপর ভিত্তি করে এই হিসাবটি করা হয়েছে। শিক্ষকদের এমপিওর বিষয়টি এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, পে-কমিশন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে বাজেটে ব্যয় ২২ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। কিন্তু আমরা প্রাথমিক হিসাব করে দেখেছি অন্যান্য ব্যয় ধরে এর পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো হবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, কোনো পে-কমিশনের প্রস্তাবই পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয় না। এ ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম হবে না। অতীত অভিজ্ঞতা বলে প্রস্তাবের বড় জোর ৭০ ভাগ বাস্তবিক অর্থে বাস্তবায়ন করা হয়। মন্তব্য
আগামী অর্থবছরে বেতনভাতাদি খাতেই সরকারকে খরচ করতে হবে ৬৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এটা চলতি অর্থবছরের মোট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রায় ৯০ শতাংশ। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এডিপি খাতে মোট ব্যয় বরাদ্দ ধরা রয়েছে ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। গত রবিবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতাসংক্রান্ত চাকরি কমিশনের রিপোর্ট অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ১৬ ধাপে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম ধাপ এক-এ বেতনের প্রস্তাব করা হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। আর শেষ ধাপ ১৬-তে বেতন থাকবে আট হাজার ২০০ টাকা। তবে সিনিয়র সচিবদের জন্য ৮৮ হাজার এবং মন্ত্রিপরিষদ ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের বেতনের প্রস্তাব করা হয়েছে এক লাখ টাকা। পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন শেষে আগামী অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই থেকে নতুন বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেতন-ভাতা-পেনশন খাতে মোট বরাদ্দ রয়েছে ৩৮ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে অফিসার ও প্রতিষ্ঠান কর্মচারীদের বেতন খাতে রয়েছে তিন হাজার ১৭ কোটি ও ১০ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। অন্য দিকে ভাতাদি খাতে রয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের বাজেটে অবসর ভাতা ও আনুতোষিক খাতেও বরাদ্দ রাখা হয়েছে আট হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত অষ্টম বেতন কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের জন্য এর সাথে অতিরিক্ত আরো ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো লাগবে বলে অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রাক্কলিত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থবিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিক তথ্য প্রাপ্তির ওপর ভিত্তি করে এই হিসাবটি করা হয়েছে। শিক্ষকদের এমপিওর বিষয়টি এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, পে-কমিশন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে বাজেটে ব্যয় ২২ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। কিন্তু আমরা প্রাথমিক হিসাব করে দেখেছি অন্যান্য ব্যয় ধরে এর পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো হবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, কোনো পে-কমিশনের প্রস্তাবই পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয় না। এ ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম হবে না। অতীত অভিজ্ঞতা বলে প্রস্তাবের বড় জোর ৭০ ভাগ বাস্তবিক অর্থে বাস্তবায়ন করা হয়। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment