্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। অ্যাকশন এইড এবং কাপেং ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজক। পার্বত্য এলাকায় সেনা বাহিনীর অবস্থানের সমালোচনা করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণই আপনার শক্তি। তারাই আপনাকে নিরাপত্তা দিবে। কোনো বাহিনী আপনার নিরাপত্তা দিতে পারবে না। তাই জনগণকে আপনি দূরে সরিয়ে দিবেন না।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের প্রতি সরকার বর্বর ইসরাইলের মত আচরণ করছে। তারা যে প্রক্রিয়ায় গাজাকে নিয়ন্ত্রণ করে, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের নিয়ন্ত্রণে সরকার একই প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে।’ অধ্যাপক মিজান বলেন, ‘বাংলাদেশের মত একটি রাষ্ট্রের আচরণ কখনো তার আদিবাসীদের প্রতি এমন হতে পারে না। এখন সময় এসেছে জাতীয় সংসদে আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা। আদিবাসীদের ভোটেই তারা নির্বাচিত হবেন।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র ভুল পথে চলতে পারে। তবে আমাদের কাজ হবে সঠিক পথে ফেরাতে চিৎকার করা। রাষ্ট্র আমাদের চিৎকার না শুনলে আরো জোরে চিৎকার করতে হবে। তাহলেই সরকার আমাদের চিৎকার শুনতে পারবে।’ অধ্যাপক মিজান বলেন, ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন চাই। অন্য কোনো কিছুই দরকার নেই, ভূমি অধিকার বাস্তবায়ন চাই। তাইলেই পরিস্থিতির আমূল ও মৌলিক পরিবর্তন আসবে। এই শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না করলে এক সময় এদেশ থেকে পাহাড়িরা বিলুপ্তি হয়ে যাবে।’ নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির বলেন, সরকার ভোটের আগে পাহাড়িদের আদিবাসীর স্বীকৃতি দিবে বলে অঙ্গীকার করেছিল। নির্বাচনে জিতে তা ভুলে গেছে। তিনি অভিযোগ করেন, ‘একাত্তরে যেভাবে বাঙালি নারীদের পাকিস্তানি ও তাদের এদেশীয় দোসররা ধর্ষণ-নির্যাতন করেছিল, ঠিক একইভাবে আদিবাসী নারীদের এখন ধর্ষণ করা হচ্ছে।’ সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাপেং ফাউন্ডেশনের বিনোতা ময় ধামাই। সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, কাপেং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের পরিচালক আসগর আলী সাবরী প্রমুখ। মন্তব্য
Thursday, December 18, 2014
‘কোনো বাহিনী প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা দিতে পারবে না’:RTNN
‘কোনো বাহিনী প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা দিতে পারবে না’ নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, ভুল পথে পরিচালিত রাষ্ট্রকে সঠিক পথে আনতে আমাদের আরো জোরে চিৎকার করতে হবে। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘জাতিসংঘ ইউনিভার্সাল পিরিউডিক রিভিউর (ইউপিআর) সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নে অগ্রগতির বর্তমান অবস্থা: আদিবাসী প্রেক্ষিত’ শীর
্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। অ্যাকশন এইড এবং কাপেং ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজক। পার্বত্য এলাকায় সেনা বাহিনীর অবস্থানের সমালোচনা করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণই আপনার শক্তি। তারাই আপনাকে নিরাপত্তা দিবে। কোনো বাহিনী আপনার নিরাপত্তা দিতে পারবে না। তাই জনগণকে আপনি দূরে সরিয়ে দিবেন না।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের প্রতি সরকার বর্বর ইসরাইলের মত আচরণ করছে। তারা যে প্রক্রিয়ায় গাজাকে নিয়ন্ত্রণ করে, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের নিয়ন্ত্রণে সরকার একই প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে।’ অধ্যাপক মিজান বলেন, ‘বাংলাদেশের মত একটি রাষ্ট্রের আচরণ কখনো তার আদিবাসীদের প্রতি এমন হতে পারে না। এখন সময় এসেছে জাতীয় সংসদে আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা। আদিবাসীদের ভোটেই তারা নির্বাচিত হবেন।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র ভুল পথে চলতে পারে। তবে আমাদের কাজ হবে সঠিক পথে ফেরাতে চিৎকার করা। রাষ্ট্র আমাদের চিৎকার না শুনলে আরো জোরে চিৎকার করতে হবে। তাহলেই সরকার আমাদের চিৎকার শুনতে পারবে।’ অধ্যাপক মিজান বলেন, ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন চাই। অন্য কোনো কিছুই দরকার নেই, ভূমি অধিকার বাস্তবায়ন চাই। তাইলেই পরিস্থিতির আমূল ও মৌলিক পরিবর্তন আসবে। এই শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না করলে এক সময় এদেশ থেকে পাহাড়িরা বিলুপ্তি হয়ে যাবে।’ নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির বলেন, সরকার ভোটের আগে পাহাড়িদের আদিবাসীর স্বীকৃতি দিবে বলে অঙ্গীকার করেছিল। নির্বাচনে জিতে তা ভুলে গেছে। তিনি অভিযোগ করেন, ‘একাত্তরে যেভাবে বাঙালি নারীদের পাকিস্তানি ও তাদের এদেশীয় দোসররা ধর্ষণ-নির্যাতন করেছিল, ঠিক একইভাবে আদিবাসী নারীদের এখন ধর্ষণ করা হচ্ছে।’ সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাপেং ফাউন্ডেশনের বিনোতা ময় ধামাই। সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, কাপেং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের পরিচালক আসগর আলী সাবরী প্রমুখ। মন্তব্য
্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। অ্যাকশন এইড এবং কাপেং ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজক। পার্বত্য এলাকায় সেনা বাহিনীর অবস্থানের সমালোচনা করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণই আপনার শক্তি। তারাই আপনাকে নিরাপত্তা দিবে। কোনো বাহিনী আপনার নিরাপত্তা দিতে পারবে না। তাই জনগণকে আপনি দূরে সরিয়ে দিবেন না।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের প্রতি সরকার বর্বর ইসরাইলের মত আচরণ করছে। তারা যে প্রক্রিয়ায় গাজাকে নিয়ন্ত্রণ করে, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের নিয়ন্ত্রণে সরকার একই প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে।’ অধ্যাপক মিজান বলেন, ‘বাংলাদেশের মত একটি রাষ্ট্রের আচরণ কখনো তার আদিবাসীদের প্রতি এমন হতে পারে না। এখন সময় এসেছে জাতীয় সংসদে আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা। আদিবাসীদের ভোটেই তারা নির্বাচিত হবেন।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র ভুল পথে চলতে পারে। তবে আমাদের কাজ হবে সঠিক পথে ফেরাতে চিৎকার করা। রাষ্ট্র আমাদের চিৎকার না শুনলে আরো জোরে চিৎকার করতে হবে। তাহলেই সরকার আমাদের চিৎকার শুনতে পারবে।’ অধ্যাপক মিজান বলেন, ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন চাই। অন্য কোনো কিছুই দরকার নেই, ভূমি অধিকার বাস্তবায়ন চাই। তাইলেই পরিস্থিতির আমূল ও মৌলিক পরিবর্তন আসবে। এই শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না করলে এক সময় এদেশ থেকে পাহাড়িরা বিলুপ্তি হয়ে যাবে।’ নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির বলেন, সরকার ভোটের আগে পাহাড়িদের আদিবাসীর স্বীকৃতি দিবে বলে অঙ্গীকার করেছিল। নির্বাচনে জিতে তা ভুলে গেছে। তিনি অভিযোগ করেন, ‘একাত্তরে যেভাবে বাঙালি নারীদের পাকিস্তানি ও তাদের এদেশীয় দোসররা ধর্ষণ-নির্যাতন করেছিল, ঠিক একইভাবে আদিবাসী নারীদের এখন ধর্ষণ করা হচ্ছে।’ সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাপেং ফাউন্ডেশনের বিনোতা ময় ধামাই। সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, কাপেং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের পরিচালক আসগর আলী সাবরী প্রমুখ। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment