Saturday, December 27, 2014

আগেভাগেই তেঁতে উঠেছে রাজনীতি:RTNN

আগেভাগেই তেঁতে উঠেছে রাজনীতি আবদুল আলীম আরটিএনএন ঢাকা: ক্রমেই রাজনীতির আকাশে কালো মেঘ জমতে শুরু করেছে। আশঙ্কা, সেই সংঘাতময় রাজনীতির পুরনো চেহারা। দীর্ঘদিন এই সংকট জিইয়ে থাকলেও উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো সংলাপ হয়নি। লক্ষণও তেমন নেই। উল্টো আগামী ৫ জানুয়ারি ঘিরে বিরোধী জোট কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বিপরীতে তা প্রতিহতে মারমুখি অবস্থান নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। অনেকটাই মুখোমুখি অবস্থা
নে দুই জোট। এতে চলমান সংকট আরো ঘণীভূত হয়ে সংঘাতের আশঙ্কা ব্যক্ত করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের প্রথমবার্ষিকীকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ওইদিন তারা রাজধানীতে সমাবেশ করবে। বিপরীতে বিএনপি জোট দিনটি ‘গণতন্ত্রের কালো দিবস’ পালনের ঘোষণা দিয়ে তারাও ওইদিন রাজধানীতে সমাবেশ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছিল, ৫ জানুয়ারি থেকেই রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। তবে বকশিবাজারের সংঘর্ষ বেশ আগেভাগেই রাজনীতিকে উত্তপ্ত করে তুলেছে। এতে তাপ দিয়ে আরো গরম করে তুলেছে দুই জোটের শীর্ষনেতাদের লাগামহীন বক্তব্য। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর গত বুধবার বকশিবাজারে হামলা করেছে ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগ। তারা শনিবার গাজীপুরে খালেদা জিয়ার সমাবেশ ঠেকাতে সেখানে কর্মসূচি দিয়েছে। শুক্রবার জেলা প্রশাসন এ ঘটনায় গাজীপুরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এতে হঠাৎ করেই রাজনীতির উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কারণ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের সিনিয়র নেতাদের গুলশান কার্যালয়ে জরুরি তলব করেছেন। সেখানে বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে কথা আগেই গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের শুরুতে হরতাল এবং বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি আসতে পারে ২০-দলীয় জোটের পক্ষ থেকে। এদিকে, বুধবার বকশিবাজারের হামলার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বেশ ফুরফুরে ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের বাহবায় ছাত্রলীগে নতুন গতি পেয়েছে। বিএনপি নেতাদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পরদিন বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি এ সময় বিএনিপর বড় নেতাদের গাড়িতেও হামলা হতে পারে বলে হুমকি দেন। এরপর দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামও বিএনপিকে পেটানোয় ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। আর স্বরাষ্ট্র পতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কোথায় ছাত্রলীগ হামলা করছে, তা খুঁজে বের করতে সাংবাদিকদের ছবক দিয়েছেন। সরকারের এসব নেতাদের বক্তব্যে এটাই স্পষ্ট- হাই-কমান্ডের নির্দেশেই ছাত্রলীগ বকশিবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়েছে। এদিকে, বিএনপি যেন কোনোভাবেই মাঠে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য সরকার আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে। বিএনিপর নেতাকর্মীদের ধড়পাকড় শুরু করেছে। শুক্রবার ভোরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তারের পর তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি। এছাড়া ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলের বাসায় তল্লাশি হয়েছে। পুরাতন ঢাকার কয়েকটি এলাকায় ছাত্রদল ও যুবদল কর্মীদেরও গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে। শুধু গাজীপুরের সমাবেশই নয় ২ ও ৫ জানুয়ারিতেও ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ করার কথা রয়েছে। সেখানেও ছাত্রলীগের পাল্টা সমাবেশ করার হুমকি বলবৎ রয়েছে। এসবে রাজনীতির মাঠ আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, জনমনে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। মন্তব্য      


No comments:

Post a Comment