ির সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সচিব তারিক-উল-ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেগম রোকেয়া এক সময় স্বপ্ন দেখেছিলেন, একটি নারীস্থান গড়ে তোলার। এককভাবে পুরোপুরি নারীদের নিয়ে চলা সম্ভব না হলেও বাংলাদেশ এক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, এদেশে এখন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, স্পিকার ও সংসদ উপনেতা নারী। শেখ হাসিনা বলেন, বেগম রোকেয়া বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই খুশি হতেন এটা দেখে যে, বাংলাদেশ তার স্বপ্ন পূরণে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মমতাজ বেগমের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৩ এপ্রিল, কুমিল্লায়। ১৯৬২ সালের হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিল আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের ১১ দফাসহ বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তিনি। মমতাজ বেগম ১৯৭২ সালের নারী পুনর্বাসন বোর্ডের সদস্য হিসেবে সারাদেশে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই নারী ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদেরও সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজ শিক্ষকতা করেছেন ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে। এর আগে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, নারী প্রগতি সংঘ, জাসদ, নৌ কমান্ডো ও নারী ফাউন্ডেশনের সম্মাননাও তিনি পেয়েছেন। অন্যদিকে, গোলাপ বানুর জন্ম ১৯৬৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকায়। তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও সমবায় সমিতির মাধ্যমে তিনি নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রখেন। কয়েকজন নারীকে সঙ্গে নিয়ে ১৯৯৬ সালে গোলাপ বানু বারিধারা মহিলা সমবায় সমিতি চালু করেন, যে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা এখন ৩৬ হাজার ৬৭৩ জন। সমবায়ের মাধ্যমে এ সমিতি গত ১৮ বছরে ১৪৪ কোটি টাকার পুঁজি গঠন করেছে। গোলাপ বানুর উদ্যোগে এ সমিতির সদস্যদের শিক্ষা দিতে বর্তমানে ছয়টি স্কুলও পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া অসহায় ও দুস্থ মহিলাদের ধাত্রী সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখছেন তিনি। মন্তব্য
Tuesday, December 9, 2014
বেগম রোকেয়া পদক পেলেন মমতাজ ও গোলাপ বানু:RTNN
ির সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সচিব তারিক-উল-ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেগম রোকেয়া এক সময় স্বপ্ন দেখেছিলেন, একটি নারীস্থান গড়ে তোলার। এককভাবে পুরোপুরি নারীদের নিয়ে চলা সম্ভব না হলেও বাংলাদেশ এক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, এদেশে এখন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, স্পিকার ও সংসদ উপনেতা নারী। শেখ হাসিনা বলেন, বেগম রোকেয়া বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই খুশি হতেন এটা দেখে যে, বাংলাদেশ তার স্বপ্ন পূরণে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মমতাজ বেগমের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৩ এপ্রিল, কুমিল্লায়। ১৯৬২ সালের হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিল আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের ১১ দফাসহ বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তিনি। মমতাজ বেগম ১৯৭২ সালের নারী পুনর্বাসন বোর্ডের সদস্য হিসেবে সারাদেশে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই নারী ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদেরও সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজ শিক্ষকতা করেছেন ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে। এর আগে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, নারী প্রগতি সংঘ, জাসদ, নৌ কমান্ডো ও নারী ফাউন্ডেশনের সম্মাননাও তিনি পেয়েছেন। অন্যদিকে, গোলাপ বানুর জন্ম ১৯৬৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকায়। তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও সমবায় সমিতির মাধ্যমে তিনি নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রখেন। কয়েকজন নারীকে সঙ্গে নিয়ে ১৯৯৬ সালে গোলাপ বানু বারিধারা মহিলা সমবায় সমিতি চালু করেন, যে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা এখন ৩৬ হাজার ৬৭৩ জন। সমবায়ের মাধ্যমে এ সমিতি গত ১৮ বছরে ১৪৪ কোটি টাকার পুঁজি গঠন করেছে। গোলাপ বানুর উদ্যোগে এ সমিতির সদস্যদের শিক্ষা দিতে বর্তমানে ছয়টি স্কুলও পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া অসহায় ও দুস্থ মহিলাদের ধাত্রী সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখছেন তিনি। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment