Tuesday, December 23, 2014

কায়সার ট্রাইব্যুনালে, রায়ের অপেক্ষা :Natun Barta

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মামলার রায় মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় আনা হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা শুরু হতে পারে। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে রায়ের জন্য আজকের তারিখ ধার্য করা হয়। সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মামলার কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণা করে গত ২০ আগস্ট রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল।   এর আগে কায়সারের বিরুদ্ধে আনীত ১৬টি অভিযোগ বিষয়ে যুক্তিতর্ক পেশ করে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ। কায়সারের বিরুদ্ধে মামলায় প্রসিকিউশন গত ৭ আগস্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে। পরে প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে জানানো হয় এ মামলায় সৈয়দ কায়সারের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডসহ একাত্তরে জন্ম নেয়া যুদ্ধ শিশুর ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ট্রাইব্যুনালের কাছে। ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন এটাই প্রথম কোনো মামলা যে মামলায় আসামির বিরুদ্ধে শাস্তিসহ ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে ১৪তম রায় ঘোষণা করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা ও ধর্ষণের দায়ে কায়সারের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে প্রসিকিউশন। এ মামলার ৩২তম ও শেষ সাক্ষী তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মনোয়ারা বেগমকে আসামিপক্ষের জেরা শেষে গত ২৩ জুলাই প্রসিকিউশন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করে ৭ আগস্ট শেষ করে। এরপর থেকে আসামি পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ শুরু হয়। প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত বলেন, অভিযুক্ত কায়সারের বিরুদ্ধে মোট ১৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিপক্ষ তার কোনটি অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, শৈশব এবং কৈশোরে সৈয়দ কায়সার তার বাবা সৈয়দ আলী এবং মামা মনজুর আলীর কাছ থেকে যে শিক্ষা পেয়েছেন তার ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের নির্বাচনে মুসলীম লীগ থেকে মনোনয়ন না পেলেও ছয় দফা আন্দোলনের বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি অপরাধ সংঘটিত করেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় কায়সারের বয়স ছিল ৩০ থেকে ৩৫ বছর। কায়সারের বাবা ও মামা ১৯৬৫ সালে প্রাদেশিক সরকারের সদস্য ছিলেন এবং তার বাবা এবং মামার প্রভাবে এলাকার সবাই তাদের পরিবার ও কায়সারের ভয়ে তটস্থ ছিল। সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন করা হয়। কায়সারের বিরুদ্ধে গণহত্যার একটি, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি এবং ধর্ষণের দু’টিসহ মোট ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। নতুন বার্তা/এজেখান/এসএফ


No comments:

Post a Comment