থা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, “ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন’২০১৩ এর চূড়ান্ত আইনের খসড়াটি গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।” ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আ্ইনের একটি খসড়া তৈরি করে তা যাচাই বাছাইয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আইন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনায় বলা হয়, “ধূমপানের বিষয়ে আইন চূড়ান্ত করার পূর্বে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া হয়েছে। তামাক ব্যবহারের অপকারিতা নিয়ে প্রচার চালাতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে সময়সীমা বেধে দিতেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবগত করা হয়েছে।” খসড়া আইনে বলা হয়েছিল, নতুন গেজেট প্রকাশৈর নয় মাসের মধ্যে তামাক কোম্পানিগুলোকে তাদের সরবারহকৃত অর্ধেক এলাকার ভেতরে ধূমপানের ক্ষতির প্রচারণা চালাতে হবে। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় এ ক্ষেত্রে সময়সীমা ১৮ মাস করার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে। এম আমিনুল ইসলাম জানান, আগামী ২০-২৫ দিনে ভিতর সংশোধিত তামাক আইন চূড়ান্ত করা হবে। তামাক পণ্যের ক্ষতি নিয়ে প্রচারণা চালাতে কোম্পানিগুলোকে ১২ সময় দেয়া হবে। তিনি বলেন, “আগামী এক মাসের ভেতর নতুন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর হবে বলে আমরা আশাবাদী।” বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে ১২০ লাখ লোক আট ধরনের তামাকজনিত রোগে ভুগছে। তামাকজাত রোগে প্রতি বছর এ দেশে ৫৭ হাজার লোক মারা যায়। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাককো সার্ভে ২০০৯ এর জরিপ মতে, গৃহে উৎপাদিত পণ্যের এক শতাংশ ব্যয় হচ্ছে সিগারেট কেনার ক্ষেত্রে। বাংলাদেশে ধূমপানজনিত ব্যয়ের পরিমাণ ৫০.৯ বিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে ৫.৮ বিলিয়ন টাকা গচ্ছা যাচ্ছে তামাকজনিত অসুস্থতায়। জরিপে দেখা যায়, একজন তামাক ব্যবহারকারী তার মাসিক ব্যয়ের ৪.৫ শতাংশ খরচ করেন তামাকের পেছনে। তামাক নিয়ন্ত্রণে ও এর ভয়াবহ ক্ষতি থেকে মানুষদের নিরাপদ রাখতে ২০০৩ সালে এফিসিটিসি’তে চুক্তি সাক্ষর করে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্যের ক্ষতি কমাতে ও তামাক পণ্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সরকার ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ সংশোধন করেছে। খুব শিগগিরই তা প্রয়োগ হতে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা ড. সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন, “আইনটি প্রয়োগ করার পর, যাতে পাবলিক এলাকায় ধূমপানের ক্ষতির বিষয়ে প্রচারণার বিষয়টি থাকবে, সবাই সে আইন মানতে বাধ্য থাকবে।”-ইউএনবি। নতুন বার্তা/জিএস/জবা
Monday, December 22, 2014
শিগগির কার্যকর হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন :Natun Barta
ঢাকা: এক বছর আগে হাতে পাওয়া ধূমপান ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবহারসংক্রান্ত আইনের খসড়াটি খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। পর্যালোচনা শেষে আইনটি চূড়ান্ত করার জন্য তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়ক এম আমিনুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি কিছু প্রস্তাবনা দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। তা চূড়ান্ত করার ক
থা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, “ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন’২০১৩ এর চূড়ান্ত আইনের খসড়াটি গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।” ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আ্ইনের একটি খসড়া তৈরি করে তা যাচাই বাছাইয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আইন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনায় বলা হয়, “ধূমপানের বিষয়ে আইন চূড়ান্ত করার পূর্বে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া হয়েছে। তামাক ব্যবহারের অপকারিতা নিয়ে প্রচার চালাতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে সময়সীমা বেধে দিতেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবগত করা হয়েছে।” খসড়া আইনে বলা হয়েছিল, নতুন গেজেট প্রকাশৈর নয় মাসের মধ্যে তামাক কোম্পানিগুলোকে তাদের সরবারহকৃত অর্ধেক এলাকার ভেতরে ধূমপানের ক্ষতির প্রচারণা চালাতে হবে। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় এ ক্ষেত্রে সময়সীমা ১৮ মাস করার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে। এম আমিনুল ইসলাম জানান, আগামী ২০-২৫ দিনে ভিতর সংশোধিত তামাক আইন চূড়ান্ত করা হবে। তামাক পণ্যের ক্ষতি নিয়ে প্রচারণা চালাতে কোম্পানিগুলোকে ১২ সময় দেয়া হবে। তিনি বলেন, “আগামী এক মাসের ভেতর নতুন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর হবে বলে আমরা আশাবাদী।” বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে ১২০ লাখ লোক আট ধরনের তামাকজনিত রোগে ভুগছে। তামাকজাত রোগে প্রতি বছর এ দেশে ৫৭ হাজার লোক মারা যায়। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাককো সার্ভে ২০০৯ এর জরিপ মতে, গৃহে উৎপাদিত পণ্যের এক শতাংশ ব্যয় হচ্ছে সিগারেট কেনার ক্ষেত্রে। বাংলাদেশে ধূমপানজনিত ব্যয়ের পরিমাণ ৫০.৯ বিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে ৫.৮ বিলিয়ন টাকা গচ্ছা যাচ্ছে তামাকজনিত অসুস্থতায়। জরিপে দেখা যায়, একজন তামাক ব্যবহারকারী তার মাসিক ব্যয়ের ৪.৫ শতাংশ খরচ করেন তামাকের পেছনে। তামাক নিয়ন্ত্রণে ও এর ভয়াবহ ক্ষতি থেকে মানুষদের নিরাপদ রাখতে ২০০৩ সালে এফিসিটিসি’তে চুক্তি সাক্ষর করে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্যের ক্ষতি কমাতে ও তামাক পণ্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সরকার ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ সংশোধন করেছে। খুব শিগগিরই তা প্রয়োগ হতে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা ড. সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন, “আইনটি প্রয়োগ করার পর, যাতে পাবলিক এলাকায় ধূমপানের ক্ষতির বিষয়ে প্রচারণার বিষয়টি থাকবে, সবাই সে আইন মানতে বাধ্য থাকবে।”-ইউএনবি। নতুন বার্তা/জিএস/জবা
থা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, “ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন’২০১৩ এর চূড়ান্ত আইনের খসড়াটি গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।” ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আ্ইনের একটি খসড়া তৈরি করে তা যাচাই বাছাইয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আইন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনায় বলা হয়, “ধূমপানের বিষয়ে আইন চূড়ান্ত করার পূর্বে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া হয়েছে। তামাক ব্যবহারের অপকারিতা নিয়ে প্রচার চালাতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে সময়সীমা বেধে দিতেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবগত করা হয়েছে।” খসড়া আইনে বলা হয়েছিল, নতুন গেজেট প্রকাশৈর নয় মাসের মধ্যে তামাক কোম্পানিগুলোকে তাদের সরবারহকৃত অর্ধেক এলাকার ভেতরে ধূমপানের ক্ষতির প্রচারণা চালাতে হবে। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় এ ক্ষেত্রে সময়সীমা ১৮ মাস করার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে। এম আমিনুল ইসলাম জানান, আগামী ২০-২৫ দিনে ভিতর সংশোধিত তামাক আইন চূড়ান্ত করা হবে। তামাক পণ্যের ক্ষতি নিয়ে প্রচারণা চালাতে কোম্পানিগুলোকে ১২ সময় দেয়া হবে। তিনি বলেন, “আগামী এক মাসের ভেতর নতুন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর হবে বলে আমরা আশাবাদী।” বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে ১২০ লাখ লোক আট ধরনের তামাকজনিত রোগে ভুগছে। তামাকজাত রোগে প্রতি বছর এ দেশে ৫৭ হাজার লোক মারা যায়। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাককো সার্ভে ২০০৯ এর জরিপ মতে, গৃহে উৎপাদিত পণ্যের এক শতাংশ ব্যয় হচ্ছে সিগারেট কেনার ক্ষেত্রে। বাংলাদেশে ধূমপানজনিত ব্যয়ের পরিমাণ ৫০.৯ বিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে ৫.৮ বিলিয়ন টাকা গচ্ছা যাচ্ছে তামাকজনিত অসুস্থতায়। জরিপে দেখা যায়, একজন তামাক ব্যবহারকারী তার মাসিক ব্যয়ের ৪.৫ শতাংশ খরচ করেন তামাকের পেছনে। তামাক নিয়ন্ত্রণে ও এর ভয়াবহ ক্ষতি থেকে মানুষদের নিরাপদ রাখতে ২০০৩ সালে এফিসিটিসি’তে চুক্তি সাক্ষর করে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্যের ক্ষতি কমাতে ও তামাক পণ্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সরকার ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ সংশোধন করেছে। খুব শিগগিরই তা প্রয়োগ হতে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা ড. সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন, “আইনটি প্রয়োগ করার পর, যাতে পাবলিক এলাকায় ধূমপানের ক্ষতির বিষয়ে প্রচারণার বিষয়টি থাকবে, সবাই সে আইন মানতে বাধ্য থাকবে।”-ইউএনবি। নতুন বার্তা/জিএস/জবা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment