ায়নি। বইটি প্রকাশের পর এবারই তিনি প্রথম মুখ খুললেন। দাবি করলেন, বইটিতে লেখা তার সব তথ্য সঠিক ও নির্ভুল। নিজ অবস্থানে এখনো অনড় বলে দৃঢ়তার সঙ্গে জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা। সোমবার বেসরকারি টেলিভিশন যমুনার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ কে খন্দকার তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘‘বইটিতে ভালো লেখা হয়েছে নাকি খারাপ হয়েছে, তার বিচার করবে পাঠক। আমি আমার অবস্থান থেকে সরে আসবো না।’’ সরকার ইচ্ছে করলে বইটি বাজেয়াপ্ত করতে পারে বলেও জানান তিনি। এ কে খন্দকার জানান, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ঘোষণা মেজর জিয়ার কণ্ঠে আসেনি, প্রথমে বেতারের এক কর্মকর্তা এই ঘোষণা দেন। সম্প্রতি প্রকাশিত মহাজোট সরকারের সদ্যসাবেক মন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধের উপঅধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বীর উত্তমের লেখা ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বইটিতে মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা ও অনালোচিত বিষয় ওঠে আসে। এতে তিনি দাবি করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের শেষ শব্দগুলো ছিল ‘জয় পাকিস্তান।’ এছাড়া স্বাধীনতার ঘোষণায় বঙ্গবন্ধুসহ রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতার দিকেও ইঙ্গিত করেন সাবেক এই মন্ত্রী। বইটি নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে রাজনীতির টেবিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ প্রায় সবখানেই ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনায় মুখরিত হয় এ বইটি ঘিরে। আওয়ামী লীগ নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ বইটি অবিলম্বে নিষিদ্ধের দাবি তুললেও কোনো কোনো নীতিনির্ধারক তার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। ইতিহাস বিকৃতি এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান এ কে খন্দকারকে গ্রেফতারেরও দাবি জানান। নতুন বার্তা/এমবি
Monday, December 15, 2014
অনড় এ কে খন্দকার :Natun Barta
ঢাকা: ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বই লিখে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেন মুক্তিযুদ্ধের উপঅধিনায়ক ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার। এই বই লেখার ‘অপরাধে’ তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ আনেন নিজ দলের নেতারা। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারাও বইটি বাজেয়াপ্তের দাবি জানান। শেষ পর্যন্ত সরকার বইটি বাজেয়াপ্ত করেনি। তবে বইটি যখন ঝড় তুলে তখন একদমই নীরব ছিলেন সাবেক এই মন্ত্রী। অনেক চেষ্টা করেও গণমাধ্যম তার কোনো বক্তব্য প
ায়নি। বইটি প্রকাশের পর এবারই তিনি প্রথম মুখ খুললেন। দাবি করলেন, বইটিতে লেখা তার সব তথ্য সঠিক ও নির্ভুল। নিজ অবস্থানে এখনো অনড় বলে দৃঢ়তার সঙ্গে জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা। সোমবার বেসরকারি টেলিভিশন যমুনার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ কে খন্দকার তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘‘বইটিতে ভালো লেখা হয়েছে নাকি খারাপ হয়েছে, তার বিচার করবে পাঠক। আমি আমার অবস্থান থেকে সরে আসবো না।’’ সরকার ইচ্ছে করলে বইটি বাজেয়াপ্ত করতে পারে বলেও জানান তিনি। এ কে খন্দকার জানান, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ঘোষণা মেজর জিয়ার কণ্ঠে আসেনি, প্রথমে বেতারের এক কর্মকর্তা এই ঘোষণা দেন। সম্প্রতি প্রকাশিত মহাজোট সরকারের সদ্যসাবেক মন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধের উপঅধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বীর উত্তমের লেখা ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বইটিতে মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা ও অনালোচিত বিষয় ওঠে আসে। এতে তিনি দাবি করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের শেষ শব্দগুলো ছিল ‘জয় পাকিস্তান।’ এছাড়া স্বাধীনতার ঘোষণায় বঙ্গবন্ধুসহ রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতার দিকেও ইঙ্গিত করেন সাবেক এই মন্ত্রী। বইটি নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে রাজনীতির টেবিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ প্রায় সবখানেই ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনায় মুখরিত হয় এ বইটি ঘিরে। আওয়ামী লীগ নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ বইটি অবিলম্বে নিষিদ্ধের দাবি তুললেও কোনো কোনো নীতিনির্ধারক তার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। ইতিহাস বিকৃতি এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান এ কে খন্দকারকে গ্রেফতারেরও দাবি জানান। নতুন বার্তা/এমবি
ায়নি। বইটি প্রকাশের পর এবারই তিনি প্রথম মুখ খুললেন। দাবি করলেন, বইটিতে লেখা তার সব তথ্য সঠিক ও নির্ভুল। নিজ অবস্থানে এখনো অনড় বলে দৃঢ়তার সঙ্গে জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা। সোমবার বেসরকারি টেলিভিশন যমুনার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ কে খন্দকার তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘‘বইটিতে ভালো লেখা হয়েছে নাকি খারাপ হয়েছে, তার বিচার করবে পাঠক। আমি আমার অবস্থান থেকে সরে আসবো না।’’ সরকার ইচ্ছে করলে বইটি বাজেয়াপ্ত করতে পারে বলেও জানান তিনি। এ কে খন্দকার জানান, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ঘোষণা মেজর জিয়ার কণ্ঠে আসেনি, প্রথমে বেতারের এক কর্মকর্তা এই ঘোষণা দেন। সম্প্রতি প্রকাশিত মহাজোট সরকারের সদ্যসাবেক মন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধের উপঅধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বীর উত্তমের লেখা ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বইটিতে মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা ও অনালোচিত বিষয় ওঠে আসে। এতে তিনি দাবি করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের শেষ শব্দগুলো ছিল ‘জয় পাকিস্তান।’ এছাড়া স্বাধীনতার ঘোষণায় বঙ্গবন্ধুসহ রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতার দিকেও ইঙ্গিত করেন সাবেক এই মন্ত্রী। বইটি নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে রাজনীতির টেবিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ প্রায় সবখানেই ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনায় মুখরিত হয় এ বইটি ঘিরে। আওয়ামী লীগ নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ বইটি অবিলম্বে নিষিদ্ধের দাবি তুললেও কোনো কোনো নীতিনির্ধারক তার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। ইতিহাস বিকৃতি এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান এ কে খন্দকারকে গ্রেফতারেরও দাবি জানান। নতুন বার্তা/এমবি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment