ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার এলাহাবাদ থেকে হলদিয়া পর্যন্ত ১৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ গঙ্গা-হুগলিতে ১০০ কিলোমিটার পর পর বাঁধ দেবে। শুধু তাই নয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে ঋণ সহায়তা চাওয়ার পর, পাটনায় প্রকল্প এলাকাও পরির্দশন করেছে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল। এতদূর এগিয়ে গেলেও ভাটির দেশ বাংলাদেশকে বিষয়টি জানানো হয়নি। এমনকি এ সর্ম্পকে কোনো তথ্যও দেয়া হয়নি যৌথ নদী কমিশনকে। ফারাক্কাসহ অন্যান্য বাধের ফলে বাংলাদেশ অভিন্ন নদীগুলো থেকে যে পরিমাণ পানি পাওয়ার কথা তার ১০ ভাগের এক ভাগ পায়। গঙ্গা নদীর ওপরে এখনই ৪০০’র বেশি ছোট-বড় বাঁধ রয়েছে। নতুন এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, কার্যত গঙ্গা দিয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত পানি আসবে কিনা তাই প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি আমলে এনে বাংলাদেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে গঙ্গা নদীতে এমন কোনো নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন না করতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে নোট-ভারবাল পাঠানো হয়েছে গত মাসে। ভারতের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, গঙ্গা ওয়াটার ওয়ে প্রজেক্টে’র আওতায় বাঁধগুলো হবে মূলত ব্যারাজভিত্তিক। এর মাধ্যমে ধরে রাখা পানি থেকে শুষ্ক মৌসুমে সেচ সুবিধা নেয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ তৈরি করা হবে। তাছাড়া অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের জন্য জলপথ তৈরি করা হবে। ভারতের এ মহাযজ্ঞ বাস্তব রূপ নিলে, বাংলাদেশ তো বটেই, চরমভাবে হুমকির মুখে পড়বে বিহার এবং উত্তর প্রদেশ অঙ্গরাজ্যও। তাই প্রকল্পটি বাতিলের দাবি উঠেছে সেখানেও। পরিবেশবিদরা বলছেন, এর ফলে শুধু গঙ্গাতীরে বসবাসকারী লাখো মানুষের জীবন এবং জীববৈচিত্র্যই নয়, বিপর্যস্ত হবে কৃষিকাজও। নতুন বার্তা/জবা
Wednesday, December 17, 2014
গঙ্গায় আরো ১৬ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা ভারতের :Natun Barta
ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার এলাহাবাদ থেকে হলদিয়া পর্যন্ত ১৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ গঙ্গা-হুগলিতে ১০০ কিলোমিটার পর পর বাঁধ দেবে। শুধু তাই নয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে ঋণ সহায়তা চাওয়ার পর, পাটনায় প্রকল্প এলাকাও পরির্দশন করেছে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল। এতদূর এগিয়ে গেলেও ভাটির দেশ বাংলাদেশকে বিষয়টি জানানো হয়নি। এমনকি এ সর্ম্পকে কোনো তথ্যও দেয়া হয়নি যৌথ নদী কমিশনকে। ফারাক্কাসহ অন্যান্য বাধের ফলে বাংলাদেশ অভিন্ন নদীগুলো থেকে যে পরিমাণ পানি পাওয়ার কথা তার ১০ ভাগের এক ভাগ পায়। গঙ্গা নদীর ওপরে এখনই ৪০০’র বেশি ছোট-বড় বাঁধ রয়েছে। নতুন এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, কার্যত গঙ্গা দিয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত পানি আসবে কিনা তাই প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি আমলে এনে বাংলাদেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে গঙ্গা নদীতে এমন কোনো নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন না করতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে নোট-ভারবাল পাঠানো হয়েছে গত মাসে। ভারতের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, গঙ্গা ওয়াটার ওয়ে প্রজেক্টে’র আওতায় বাঁধগুলো হবে মূলত ব্যারাজভিত্তিক। এর মাধ্যমে ধরে রাখা পানি থেকে শুষ্ক মৌসুমে সেচ সুবিধা নেয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ তৈরি করা হবে। তাছাড়া অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের জন্য জলপথ তৈরি করা হবে। ভারতের এ মহাযজ্ঞ বাস্তব রূপ নিলে, বাংলাদেশ তো বটেই, চরমভাবে হুমকির মুখে পড়বে বিহার এবং উত্তর প্রদেশ অঙ্গরাজ্যও। তাই প্রকল্পটি বাতিলের দাবি উঠেছে সেখানেও। পরিবেশবিদরা বলছেন, এর ফলে শুধু গঙ্গাতীরে বসবাসকারী লাখো মানুষের জীবন এবং জীববৈচিত্র্যই নয়, বিপর্যস্ত হবে কৃষিকাজও। নতুন বার্তা/জবা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment