াবে ৬ শতাংশের বেশি বাড়িয়েও রুবলের পতন ঠেকানো যায়নি। বরং পতন আরো তীব্রতর হয়েছে। এ অবস্থায় প্রশ উঠছে, রুবলের মতই রাশিয়া কী আবারও পতনের দ্বারপ্রান্তে? যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ন্যাটো মিত্ররা কোনোভাবেই চাচ্ছে না যে রাশিয়া তাদের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করার মত অবস্থায় থাকুক। কিন্তু পুতিন গত কয়েক বছর ধরেই সেই কাজটিই করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ ইউক্রেন নিয়ে কার্যত মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে রাশিয়া ও তার স্নায়ুযুদ্ধের প্রতিপক্ষ। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ আনুষ্ঠানিকভাবেই বলেছেন যে পশ্চিমারা চাচ্ছে রাশিয়ায় সরকার পতন। রাশিয়ায় সম্প্রতি একটি কৌতুক বেশ চলছে। এটা হচ্ছে আগামী বছরই ৬৩-তে পা দেবে তেল, রুবল ও পুতিন। এই কৌতুককে সত্যে পরিণত করে সোমবার প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুবলের দাম কমে ৬০ এর নীচে নেমে যায়। চলতি বছর রুবলের দাম ৪৫% কমে গেছে। শুধু গত তিন সপ্তাহেই কমেছে ২৫%। ১৯৯৮ সালের পর রুবলের দাম এতো কম ছিল না কখনোই। সে সময় ঋণখেলাপিতে পরিণত হয়েছিল রাশিয়া। আশঙ্কা করা হচ্ছে রাশিয়ার জন্য আবার সেই দিন ফিরে আসছে। ব্যাংক অব ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টের তথ্যে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাশিয়ার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৫২.৫ বিলিয়ন ডলার। এর একটা বড় অংশই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। তবে দা ইকোনমিস্টের হিসেবে রাশিয়ার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এর প্রায় দ্বিগুণ বা ৫০০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে আগামী বছরই ১০০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অর্থনৈতিক এই দুরাবস্থায় রাশিয়া থেকে অর্থ পাঠানোর কঠিন বা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। এতে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে বিদেশি কোম্পানিগুলো। অথচ ২০০৬ সালে রাশিয়া তার অর্থনীতি উন্মুক্ত করেছিল। জ্বালানি রপ্তানি নির্ভর রাশিয়ার জন্য দরকার প্রতি ব্যারেল তেলের দাম অন্তত ১০০ ডলার। অথচ মঙ্গলবার প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৬০ ডলারে। রাশিয়ার সমানে বিপদ আশঙ্কা করে দেশটির বড় বড় বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যেই ১০০ বিলিয়ন ডলার বাজার থেকে তুলে নিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে গেছেস। রুবলের দরপতনসহ অর্থনীতির ধস ঠেকাতে হলে পুতিনকে পশ্চিমা শক্তির কাছে নতিস্বীকার করতে হবে। কিন্তু সহসাই তেমনটি ঘটছে না। কারণ অর্থনৈতিকভাবে বিপন্ন হলেও সমর শক্তিতে রাশিয়া এখন বড় শক্তি। এ কারণে পুতিনকে বলা হয় ‘এক আহত ভল্লুক’। পুতিনের যেসব কট্টরপন্থী পরামর্শক আছেন তারা হয়তো অর্থনীতির ওপর আরো নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং ইউক্রেনের ওপর সামরিক চাপ বৃদ্ধি করতে পরামর্শ দিবেন। তবে এটা করে রাশিয়া শুধু ‘ফাঁকা বিজয়’ দাবি করতে পারবে। সূত্র: গার্ডিয়ান ও দা টেলিগ্রাফ মন্তব্য
Wednesday, December 17, 2014
রাশিয়া কী পতনের দ্বারপ্রান্তে?:RTNN
বিশ্লেষণ রাশিয়া কী পতনের দ্বারপ্রান্তে? ফাতিমা ফেরদৌসী আশা আরটিএনএন ঢাকা: প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অধীনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের অব্যাহত দরপতনের ফলে একথা স্বীকার করতেই হবে যে অর্থনৈতিক যুদ্ধে পশ্চিমাদের কাছে রাশিয়া পরাস্ত হয়েছে। অবস্থা এতোটাই শোচনীয় হয়েছে যে নীতি সুদের হার আকস্মিকভ
াবে ৬ শতাংশের বেশি বাড়িয়েও রুবলের পতন ঠেকানো যায়নি। বরং পতন আরো তীব্রতর হয়েছে। এ অবস্থায় প্রশ উঠছে, রুবলের মতই রাশিয়া কী আবারও পতনের দ্বারপ্রান্তে? যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ন্যাটো মিত্ররা কোনোভাবেই চাচ্ছে না যে রাশিয়া তাদের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করার মত অবস্থায় থাকুক। কিন্তু পুতিন গত কয়েক বছর ধরেই সেই কাজটিই করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ ইউক্রেন নিয়ে কার্যত মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে রাশিয়া ও তার স্নায়ুযুদ্ধের প্রতিপক্ষ। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ আনুষ্ঠানিকভাবেই বলেছেন যে পশ্চিমারা চাচ্ছে রাশিয়ায় সরকার পতন। রাশিয়ায় সম্প্রতি একটি কৌতুক বেশ চলছে। এটা হচ্ছে আগামী বছরই ৬৩-তে পা দেবে তেল, রুবল ও পুতিন। এই কৌতুককে সত্যে পরিণত করে সোমবার প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুবলের দাম কমে ৬০ এর নীচে নেমে যায়। চলতি বছর রুবলের দাম ৪৫% কমে গেছে। শুধু গত তিন সপ্তাহেই কমেছে ২৫%। ১৯৯৮ সালের পর রুবলের দাম এতো কম ছিল না কখনোই। সে সময় ঋণখেলাপিতে পরিণত হয়েছিল রাশিয়া। আশঙ্কা করা হচ্ছে রাশিয়ার জন্য আবার সেই দিন ফিরে আসছে। ব্যাংক অব ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টের তথ্যে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাশিয়ার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৫২.৫ বিলিয়ন ডলার। এর একটা বড় অংশই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। তবে দা ইকোনমিস্টের হিসেবে রাশিয়ার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এর প্রায় দ্বিগুণ বা ৫০০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে আগামী বছরই ১০০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অর্থনৈতিক এই দুরাবস্থায় রাশিয়া থেকে অর্থ পাঠানোর কঠিন বা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। এতে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে বিদেশি কোম্পানিগুলো। অথচ ২০০৬ সালে রাশিয়া তার অর্থনীতি উন্মুক্ত করেছিল। জ্বালানি রপ্তানি নির্ভর রাশিয়ার জন্য দরকার প্রতি ব্যারেল তেলের দাম অন্তত ১০০ ডলার। অথচ মঙ্গলবার প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৬০ ডলারে। রাশিয়ার সমানে বিপদ আশঙ্কা করে দেশটির বড় বড় বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যেই ১০০ বিলিয়ন ডলার বাজার থেকে তুলে নিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে গেছেস। রুবলের দরপতনসহ অর্থনীতির ধস ঠেকাতে হলে পুতিনকে পশ্চিমা শক্তির কাছে নতিস্বীকার করতে হবে। কিন্তু সহসাই তেমনটি ঘটছে না। কারণ অর্থনৈতিকভাবে বিপন্ন হলেও সমর শক্তিতে রাশিয়া এখন বড় শক্তি। এ কারণে পুতিনকে বলা হয় ‘এক আহত ভল্লুক’। পুতিনের যেসব কট্টরপন্থী পরামর্শক আছেন তারা হয়তো অর্থনীতির ওপর আরো নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং ইউক্রেনের ওপর সামরিক চাপ বৃদ্ধি করতে পরামর্শ দিবেন। তবে এটা করে রাশিয়া শুধু ‘ফাঁকা বিজয়’ দাবি করতে পারবে। সূত্র: গার্ডিয়ান ও দা টেলিগ্রাফ মন্তব্য
াবে ৬ শতাংশের বেশি বাড়িয়েও রুবলের পতন ঠেকানো যায়নি। বরং পতন আরো তীব্রতর হয়েছে। এ অবস্থায় প্রশ উঠছে, রুবলের মতই রাশিয়া কী আবারও পতনের দ্বারপ্রান্তে? যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ন্যাটো মিত্ররা কোনোভাবেই চাচ্ছে না যে রাশিয়া তাদের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করার মত অবস্থায় থাকুক। কিন্তু পুতিন গত কয়েক বছর ধরেই সেই কাজটিই করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ ইউক্রেন নিয়ে কার্যত মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে রাশিয়া ও তার স্নায়ুযুদ্ধের প্রতিপক্ষ। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ আনুষ্ঠানিকভাবেই বলেছেন যে পশ্চিমারা চাচ্ছে রাশিয়ায় সরকার পতন। রাশিয়ায় সম্প্রতি একটি কৌতুক বেশ চলছে। এটা হচ্ছে আগামী বছরই ৬৩-তে পা দেবে তেল, রুবল ও পুতিন। এই কৌতুককে সত্যে পরিণত করে সোমবার প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুবলের দাম কমে ৬০ এর নীচে নেমে যায়। চলতি বছর রুবলের দাম ৪৫% কমে গেছে। শুধু গত তিন সপ্তাহেই কমেছে ২৫%। ১৯৯৮ সালের পর রুবলের দাম এতো কম ছিল না কখনোই। সে সময় ঋণখেলাপিতে পরিণত হয়েছিল রাশিয়া। আশঙ্কা করা হচ্ছে রাশিয়ার জন্য আবার সেই দিন ফিরে আসছে। ব্যাংক অব ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টের তথ্যে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাশিয়ার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২৫২.৫ বিলিয়ন ডলার। এর একটা বড় অংশই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। তবে দা ইকোনমিস্টের হিসেবে রাশিয়ার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এর প্রায় দ্বিগুণ বা ৫০০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে আগামী বছরই ১০০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অর্থনৈতিক এই দুরাবস্থায় রাশিয়া থেকে অর্থ পাঠানোর কঠিন বা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। এতে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে বিদেশি কোম্পানিগুলো। অথচ ২০০৬ সালে রাশিয়া তার অর্থনীতি উন্মুক্ত করেছিল। জ্বালানি রপ্তানি নির্ভর রাশিয়ার জন্য দরকার প্রতি ব্যারেল তেলের দাম অন্তত ১০০ ডলার। অথচ মঙ্গলবার প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৬০ ডলারে। রাশিয়ার সমানে বিপদ আশঙ্কা করে দেশটির বড় বড় বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যেই ১০০ বিলিয়ন ডলার বাজার থেকে তুলে নিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে গেছেস। রুবলের দরপতনসহ অর্থনীতির ধস ঠেকাতে হলে পুতিনকে পশ্চিমা শক্তির কাছে নতিস্বীকার করতে হবে। কিন্তু সহসাই তেমনটি ঘটছে না। কারণ অর্থনৈতিকভাবে বিপন্ন হলেও সমর শক্তিতে রাশিয়া এখন বড় শক্তি। এ কারণে পুতিনকে বলা হয় ‘এক আহত ভল্লুক’। পুতিনের যেসব কট্টরপন্থী পরামর্শক আছেন তারা হয়তো অর্থনীতির ওপর আরো নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং ইউক্রেনের ওপর সামরিক চাপ বৃদ্ধি করতে পরামর্শ দিবেন। তবে এটা করে রাশিয়া শুধু ‘ফাঁকা বিজয়’ দাবি করতে পারবে। সূত্র: গার্ডিয়ান ও দা টেলিগ্রাফ মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment