ারণ দেশের অর্থনীতির জন্য প্রশিক্ষিত জনশক্তি প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু কিছু নির্দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। তবে জনশক্তিকে দক্ষ না করতে পারলে অগ্রগতিটা তার জায়গায় স্থির থাকবে না। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতিহারে জানায়, ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা হবে। এছাড়া দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি জানায়, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরস এমিরেটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “শিক্ষা ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সরকারকে এ খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে। বাজেট বরাদ্দের সময় এ খাতে জাতীয় প্রবৃদ্ধির ৬ শতাংশ বরাদ্দ রাখা উচিত। এখন এ খাতে দুই শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমাদের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির জন্য শিক্ষা ও দক্ষ জনশক্তির কোনো বিকল্প নেই।” প্রফেসরস সিরাজুল ইসলাম বলেন, “দক্ষ জনশক্তি তৈরির ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল শিক্ষাকে বাড়ানোর বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর এটাকে শিক্ষার প্রাথমিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে, যাতে করে মেধাবীরা তাতে আকৃষ্ট হয়।” তিনি বলেন, “শিক্ষার গুণগত মান অবশ্যই বাড়াতে হবে।” দক্ষতা বাড়ানোর জন্য শিক্ষা পদ্ধতির মান বাড়ানোর গুরুত্ব উল্লেখ করে প্রফেরস সিরাজুল ইসলাম বলেন, “সরকারের উচিত শিক্ষকদের বেতন ও পদ-মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া।” শিক্ষা বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “দেশকে মধ্যম আয়ে নিয়ে যেতে ও দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।” তিনি বলেন, “দেশকে উন্নত কিংবা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধ্যাপক সিদ্দিকুর বলেন, “সময়ের আলোকে শিক্ষা কারিকুলাম ও পরীক্ষা পদ্ধতিকে সাজাতে হবে। শ্রেণীকক্ষে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।” পড়াশোনাকে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণীতে বাধ্যতামূলক করা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের আরো প্রশিক্ষিত করে তোলার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। অধ্যাপক সিদ্দিকুর বলেন, “শিক্ষকদের বেতনকে আরো বাড়াতে হবে যাতে করে মেধাবীরা এ পেশায় আকৃষ্ট হয়। ভালো শিক্ষক ব্যতীত ভালো জাতি গঠন সম্ভব নয়। শিক্ষাকে আরো আধুনিকায়ন করতে সব প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির সুবিধা বাড়াতে হবে।” দরিদ্র ছাত্রদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা এবং যেসব শিশুরা স্কুলে আসতে পারছে না তাদের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “মানবসম্পদের উন্নয়নের জন্য সরকার অভিজ্ঞ লোকদের সমন্বয়ে একটি সেল গঠন করতে পারে। তারা সরকারকে পরামর্শ দিতে কোনো ক্ষেত্রে মানব উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে।” তিনি ভাষা শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে বিদেশি চাকরির সুবিধা পেতে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্র্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক সচিব কাজি আকতার হোসেন বলেন, “দেশে দক্ষ জনশক্তি বাড়াতে সরকার শিক্ষার প্রসারে সরকারের বড় ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে।”-ইউএনবি। নতুন বার্তা/জিএস/জবা
Sunday, December 21, 2014
গুণগত শিক্ষা ছাড়া অর্থনীতি এগোবে না :Natun Barta
ঢাকা: ২০২১ সালের মধ্যে একটা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে অপ্রত্যাশিতভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটা ধাক্কার মুখোমুখি হতে হবে। আর এটা মোকাবেলায় গুণগত শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকারকে একটা নীতি নির্ধারণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দেশে টেকনিক্যাল শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া মানুষকে শিক্ষায় আলোকিত করার কাজ এগিয়ে নিতে বাধ্যতামূলক শিক্ষাকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। ক
ারণ দেশের অর্থনীতির জন্য প্রশিক্ষিত জনশক্তি প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু কিছু নির্দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। তবে জনশক্তিকে দক্ষ না করতে পারলে অগ্রগতিটা তার জায়গায় স্থির থাকবে না। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতিহারে জানায়, ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা হবে। এছাড়া দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি জানায়, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরস এমিরেটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “শিক্ষা ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সরকারকে এ খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে। বাজেট বরাদ্দের সময় এ খাতে জাতীয় প্রবৃদ্ধির ৬ শতাংশ বরাদ্দ রাখা উচিত। এখন এ খাতে দুই শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমাদের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির জন্য শিক্ষা ও দক্ষ জনশক্তির কোনো বিকল্প নেই।” প্রফেসরস সিরাজুল ইসলাম বলেন, “দক্ষ জনশক্তি তৈরির ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল শিক্ষাকে বাড়ানোর বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর এটাকে শিক্ষার প্রাথমিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে, যাতে করে মেধাবীরা তাতে আকৃষ্ট হয়।” তিনি বলেন, “শিক্ষার গুণগত মান অবশ্যই বাড়াতে হবে।” দক্ষতা বাড়ানোর জন্য শিক্ষা পদ্ধতির মান বাড়ানোর গুরুত্ব উল্লেখ করে প্রফেরস সিরাজুল ইসলাম বলেন, “সরকারের উচিত শিক্ষকদের বেতন ও পদ-মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া।” শিক্ষা বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “দেশকে মধ্যম আয়ে নিয়ে যেতে ও দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।” তিনি বলেন, “দেশকে উন্নত কিংবা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধ্যাপক সিদ্দিকুর বলেন, “সময়ের আলোকে শিক্ষা কারিকুলাম ও পরীক্ষা পদ্ধতিকে সাজাতে হবে। শ্রেণীকক্ষে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।” পড়াশোনাকে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণীতে বাধ্যতামূলক করা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের আরো প্রশিক্ষিত করে তোলার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। অধ্যাপক সিদ্দিকুর বলেন, “শিক্ষকদের বেতনকে আরো বাড়াতে হবে যাতে করে মেধাবীরা এ পেশায় আকৃষ্ট হয়। ভালো শিক্ষক ব্যতীত ভালো জাতি গঠন সম্ভব নয়। শিক্ষাকে আরো আধুনিকায়ন করতে সব প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির সুবিধা বাড়াতে হবে।” দরিদ্র ছাত্রদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা এবং যেসব শিশুরা স্কুলে আসতে পারছে না তাদের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “মানবসম্পদের উন্নয়নের জন্য সরকার অভিজ্ঞ লোকদের সমন্বয়ে একটি সেল গঠন করতে পারে। তারা সরকারকে পরামর্শ দিতে কোনো ক্ষেত্রে মানব উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে।” তিনি ভাষা শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে বিদেশি চাকরির সুবিধা পেতে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্র্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক সচিব কাজি আকতার হোসেন বলেন, “দেশে দক্ষ জনশক্তি বাড়াতে সরকার শিক্ষার প্রসারে সরকারের বড় ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে।”-ইউএনবি। নতুন বার্তা/জিএস/জবা
ারণ দেশের অর্থনীতির জন্য প্রশিক্ষিত জনশক্তি প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু কিছু নির্দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। তবে জনশক্তিকে দক্ষ না করতে পারলে অগ্রগতিটা তার জায়গায় স্থির থাকবে না। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতিহারে জানায়, ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা হবে। এছাড়া দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি জানায়, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরস এমিরেটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “শিক্ষা ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সরকারকে এ খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে। বাজেট বরাদ্দের সময় এ খাতে জাতীয় প্রবৃদ্ধির ৬ শতাংশ বরাদ্দ রাখা উচিত। এখন এ খাতে দুই শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমাদের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির জন্য শিক্ষা ও দক্ষ জনশক্তির কোনো বিকল্প নেই।” প্রফেসরস সিরাজুল ইসলাম বলেন, “দক্ষ জনশক্তি তৈরির ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল শিক্ষাকে বাড়ানোর বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর এটাকে শিক্ষার প্রাথমিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে, যাতে করে মেধাবীরা তাতে আকৃষ্ট হয়।” তিনি বলেন, “শিক্ষার গুণগত মান অবশ্যই বাড়াতে হবে।” দক্ষতা বাড়ানোর জন্য শিক্ষা পদ্ধতির মান বাড়ানোর গুরুত্ব উল্লেখ করে প্রফেরস সিরাজুল ইসলাম বলেন, “সরকারের উচিত শিক্ষকদের বেতন ও পদ-মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া।” শিক্ষা বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “দেশকে মধ্যম আয়ে নিয়ে যেতে ও দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।” তিনি বলেন, “দেশকে উন্নত কিংবা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধ্যাপক সিদ্দিকুর বলেন, “সময়ের আলোকে শিক্ষা কারিকুলাম ও পরীক্ষা পদ্ধতিকে সাজাতে হবে। শ্রেণীকক্ষে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।” পড়াশোনাকে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণীতে বাধ্যতামূলক করা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের আরো প্রশিক্ষিত করে তোলার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। অধ্যাপক সিদ্দিকুর বলেন, “শিক্ষকদের বেতনকে আরো বাড়াতে হবে যাতে করে মেধাবীরা এ পেশায় আকৃষ্ট হয়। ভালো শিক্ষক ব্যতীত ভালো জাতি গঠন সম্ভব নয়। শিক্ষাকে আরো আধুনিকায়ন করতে সব প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির সুবিধা বাড়াতে হবে।” দরিদ্র ছাত্রদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা এবং যেসব শিশুরা স্কুলে আসতে পারছে না তাদের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “মানবসম্পদের উন্নয়নের জন্য সরকার অভিজ্ঞ লোকদের সমন্বয়ে একটি সেল গঠন করতে পারে। তারা সরকারকে পরামর্শ দিতে কোনো ক্ষেত্রে মানব উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে।” তিনি ভাষা শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে বিদেশি চাকরির সুবিধা পেতে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্র্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক সচিব কাজি আকতার হোসেন বলেন, “দেশে দক্ষ জনশক্তি বাড়াতে সরকার শিক্ষার প্রসারে সরকারের বড় ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে।”-ইউএনবি। নতুন বার্তা/জিএস/জবা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment