Tuesday, November 25, 2014

কারাফটকে লতিফ সিদ্দিকীর ঔদ্ধত্য:RTNN

কারাফটকে লতিফের ঔদ্ধত্যে নাকাল সংশ্লিষ্টরা নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: দলে এবং দলের বাইরে ঔদ্ধত্যের জন্যই সবার কাছে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী পরিচিত। তার ঔদ্ধত্য থেকে রক্ষা পাননি সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে দলের নেতাকর্মীরাও। আর নিউইয়র্কে ঔদ্ধত্যের সেই সীমা ছাড়ায় ইসলাম, হজ ও মহানবী (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার মাধ্যমে। সর্বশেষ কারাগারে ঢুকতে গিয়েও সেই ঔদ্ধত্যই প্রকাশ করলেন লতিফ সিদ্
দিকী। ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দেশে ফেরার এক দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেন টাঙ্গাইলের এই সংসদ সদস্য। এরপর তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক আতিকুর রহমান লতিফকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অবশ্য তিনি কোনো আইনজীবী নিয়োগ দেননি এবং জামিন আবেদনও করেননি। এরপর আইনজীবীদের জুতা হাতে মিছিলের মধ্যেই পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যান সাবেক এই প্রভাবশালী মন্ত্রীকে নিয়ে আদালতপাড়া থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। বেলা ৩টা ৪২ মিনিটে প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে কারাগারের মূল ফটকের সামনে এসে বেঁকে বসেন লতিফ। উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের সাফ জানিয়ে দেন, তাকে ভেতরে নিতে হলে কারাগারের মূল ফটক খুলতে হবে। লতিফ সিদ্দিকীর দম্ভ, ‘আমি এখনো এমপি। গত ৩০ বছর আমি পকেট গেইট দিয়ে ইন বা আউট হইনি।’ কারা কর্মকর্তারা জানান, ইস্পাতের তৈরি মূল ফটকের গায়ে লাগোয়া ছোট আকারের ‘পকেট ফটক’ দিয়েই তারা আসামি ও কয়েদিদের আনা নেয়া করেন। প্রিজন ভ্যান ও গাড়ি ঢোকানোর দরকার হলে অথবা বিশেষ প্রয়োজনে মূল ফটক খোলা হয়। পুলিশ সদস্য ও কারা কর্মকর্তারা বিষয়টি লতিফ সিদ্দিকীকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এদিকে, আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানের পিছু নিয়ে আসা সংবাদকর্মীরা এ সময় লতিফ সিদ্দিকীর নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। মরিয়া সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে লতিফকে দূরে রাখতে এ সময় তাকে ঘিরে চক্র তৈরি করেন উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা বোঝানোর চেষ্টা করেন, এতো সংবাদকর্মীর এই ভিড়ের সামনে মূল ফটক খুলতে গেলে সামলানো কঠিন হবে। বরং তিনি দয়া করে পকেট ফটক দিয়ে ভেতরে গেলে অনেক ঝামেলাই এড়ানো সম্ভব। কিন্তু লতিফ তার অবস্থানে অনড় থাকেন, কারা ফটকে উত্তেজনাও বাড়তে থাকে। উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা এ সময় লতিফকে বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যান। লতিফকেও তাদের সঙ্গে নিচু স্বরে কথা বলতে দেখা যায়। এরপর এক পর্যায়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার ফরমান আলী বাইরে আসেন এবং ৩টা ৪২ মিনিটে প্রধান ফটক খুলে দেয়া হয়। ফরমান আলীর সঙ্গেই ভেতরে প্রবেশ করেন লতিফ সিদ্দিকী। পরে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ফরমান আলী বলেন, কোন ফটক দিয়ে কে কারাগারে ঢুকতে বা বের হতে পারবে, সে বিষয়ে তারা সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করেন। কারাধ্যক্ষ বা জেলার চাইলে মূল ফটক খুলে ঢুকতে বা বের হতে পারেন। লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানোর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ঢুকেছি, উনি আমার সঙ্গেই ঢুকেছেন। নিয়মের কোনো ব্যত্যয় হয়নি।’ মন্তব্য pay per click নিজস্ব প্রতিবেদকআরটিএনএনঢাকা: আত্মসমর্পণের পর সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন নাকচ করে . . . বিস্তারিত নিজস্ব প্রতিবেদকআরটিএনএনঢাকা: সাবেক জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজে . . . বিস্তারিত    

No comments:

Post a Comment