Tuesday, November 25, 2014

ব্রহ্মপুত্র নদে চীনের বাঁধ, ক্ষতির আশঙ্কা তিন দেশে:RTNN

ব্রহ্মপুত্র নদে চীনের বাঁধ, ক্ষতির আশঙ্কা তিন দেশে নিউজ ডেস্ক আরটিএনএন ঢাকা: ব্রহ্মপুত্র নদে নিজেদের অংশে পাঁচটি বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা করেছে চীন। এ উদ্দেশ্যে চীন এ নদের উপর যে বাঁধ নির্মাণ করেছে তাতে বাংলাদেশ-ভারতসহ তিনটি দেশের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। রবিবার তিব্বত অঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র নদে দেশটির এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করেছে চীন। জাংমু নামে এ প্রকল্পটি
পরিকল্পিত পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে একটি। এই কেন্দ্র তৈরি করতে ইয়ারলুং সাংপো (ব্রহ্মপুত্রের চীনা নাম) নদে একটি বাঁধ তৈরি করেছে চীন। বাঁধটি নির্মাণের ফলে ভাটির দেশ ভারত ও বাংলাদেশে হঠাৎ বন্যা ও নদীভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যাপক হারে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হিমালয় থেকে উৎপন্ন হওয়া নদ-নদীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খরস্রোতা এই ব্রহ্মপুত্রের উজানে বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে ভারত বেশ আগে থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিল। উজানে এই বাঁধ তৈরির ফলে ভাটি অঞ্চলে কোনো ক্ষতি হবে না— গত বছর চীনের কাছ থেকে এমন নিশ্চয়তা দাবি করেছিল ভারত। ব্রহ্মপুত্রকে দুর্গম উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রাণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বাংলাদেশেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। শুরু থেকে পরিবেশবাদীরাও চীনা এ প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছিলেন। তাদের আশঙ্কা, এর ফলে শুধু ভাটি অঞ্চলের দেশগুলোর ওপর নয়; পাশাপাশি তিব্বতের পরিবেশের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়বে। শিল্পে অনুন্নত ও কম বিদ্যুৎ-চাহিদার তিব্বতে এই প্রকল্প নির্মাণ অর্থহীন বলেও মত প্রকাশ করেন তারা। তবে চীন বরাবরই বলে আসছে, ছোট একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প করতে পানি আটকে রাখার কোনো দরকার পড়বে না। ফলে এতে পানিপ্রবাহ তেমন বাধাগ্রস্ত হবে না। রবিবার চীন সরকার জাংমু জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালুর ঘোষণা দেয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা তিন হাজার ৩০০ মিটার। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, এটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ১৬০ কোটি মার্কিন ডলার। বাঁধটি পুরোপুরি নির্মিত হলে এর আয়তন হবে ৩৮১ ফুট। চীন বলেছে, ব্রহ্মপুত্রের বিপুল পানিসম্পদ ব্যবহার করে তিব্বতের তীব্র বিদ্যুৎ-ঘাটতি কমাতে চায় তারা। এর ফলে বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে তিব্বতের তীব্র বিদ্যুৎ-ঘাটতি লাঘব হবে। চীনের সরকারি সূত্র দাবি করেছে, আগামী চার বছরে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তখন প্রকল্প থেকে মোট ৫১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। চীনের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, তিব্বতে ২০১৩ সালে মাথাপিছু বিদ্যুৎ-চাহিদা ছিল এক হাজার কিলোওয়াট ঘণ্টা। চীনের মাথাপিছু গড় চাহিদার এটি এক-তৃতীয়াংশের কম। ব্রহ্মপুত্রে চীন পাঁচটি বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা করেছে। রবিবার চালু হওয়া জাংমু প্রকল্পটি এর একটি। পাঁচটি প্রকল্প থেকে মোট দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন বলেছেন, ‘চীনের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি চালুর বিষয়ে ভারত অবগত আছে। চীনের পক্ষ থেকে আমাদের বলা হয়েছে যে এর ফলে ভারতের কোনো ক্ষতি হবে না।’ এই প্রকল্প চালুর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মেকং নদীতে হঠাৎ বন্যার প্রবণতা বাড়তে পারে বলে মনে করা হয়। তবে চীন বলছে, তেমনটি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালুর ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বলেছেন, এর ফলে ভাটি অঞ্চলের বন্যা প্রতিরোধে এবং পরিবেশে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে না। সম্প্রতি ভারত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ নির্মাণের প্রভাব নিয়ে বড় আকারের গবেষণার ঘোষণা দেয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রহ্মপুত্রের চীন অংশে আরও চারটি বাঁধ তৈরি হয়ে গেলে সেই গবেষণা আদৌ কোনো কাজে আসবে না। সূত্র: এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া মন্তব্য pay per click আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনইসলামাবাদ: পাকিস্তান তার বিমান বহরে বেশ কিছু গোপন গোয়েন্দা জঙ্গীবিমান (স্টেলথ ফাইটার) এবং সদ্য . . . বিস্তারিত মাইকেল পিলসবারিগত ১২ নভেম্বর বেইজিংয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শি জিনপিং এবং মার্কিন প . . . বিস্তারিত    

No comments:

Post a Comment