বিএনপি খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাবে:কামরুল স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ১১ জুন, ২০১৫ ১৫:৪৪:৩৫ আগামী নির্বাচনের আগেই বিএনপি খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে মুসলিম লীগের মতো হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জামায়াত-বিএনপির ষড়যন্ত্র ও জঙ্গিবাদের রাজনীতি প্রতিরোধে দেশবাসীর করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বঙ্গমাতা পরিষদ আয়োজিত সভায়
সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম আনিছুর রহমান। কামরুল বলেন, যে বিএনপির জন্ম ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে, সে দলের অস্তিত্ব বেশিদিন থাকবে না, থাকার কথাও নয়। তিনি বলেন, বিএনপি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত। তারা ক্রমান্বয়ে বিলীন হয়ে যাবে। তাদের অবস্থা মুসলিম লীগের মতো হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কামরুল বলেন, ভুল, ষড়যন্ত্র, ধ্বংস, হুমকি, অহমিকার রাজনীতি বিএনপিকে ক্রমান্বয়ে বিলীন হওয়ার পথে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্য থেকেই এসব কথা বের হয়ে আসছে। খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে কামরুল বলেন, মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে খালেদা জিয়া মওদুদ সাহেবদের মতো সিনিয়র নেতাদের রাখেননি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া মোদির সঙ্গে দেখা করে ‘দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর’ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার সে চেষ্টা সফল হয়নি। দেশ নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র সম্পর্কে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখের বেটি আছেন বলেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে পারছেন। পদ্মাসেতুতে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ, বিশ্বব্যাংকের টাকা ফিরিয়ে নেওয়াসহ নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। তা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ দিয়ে সেই সেতুর কাজ শুরু করেছেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বিশ্ব মোড়লরা যে অবস্থান নিয়েছিল, বঙ্গবন্ধু সেই মোড়লদের আবদার রাখলে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন হতো না। আজকেও বঙ্গবন্ধু কন্যা বিশ্ব মোড়লদের কোনো কথাই না শুনে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিও দ্বিধাবিভক্ত স্বীকার করে কামরুল বলেন, তবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ। তাদের দোসরদের সঙ্গে আঁতাত ও তাদের সমর্থন দেওয়ার কোনো রকম চেষ্টা করি না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির মাঝ পথ দিয়ে হাঁটার কোনো সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান কামরুল। জাতীয় প্রেসক্লাব সম্পর্কে কামরুল বলেন, প্রেসক্লাব দীর্ঘদিন স্বাধীনতাবিরোধীদের দখলে ছিল। তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাংবাদিকদের ভোটার তালিকায় নাম যাতে না আসে সেজন্য কূটকৌশল করেছেন। শুধু প্রেসক্লাব নয়, বার কাউন্সিলসহ আরও অনেক সংগঠনে এমন পরিস্থিতি করা হয়েছিল। প্রেসক্লাবসহ এসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন পর হলেও সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। যেসব প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি কূটকৌশল করে দখল করে আছে, সেসব মুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সরকারি ও বিরোধী দল সবাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হবে। এটা যতোক্ষণ করতে না পারা যাবে ততোক্ষণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসবে না। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের যুগ্ম সম্পাদক সফিকুল বাহার মজুমদার প্রমুখ এমএইচ
No comments:
Post a Comment