
রতিবেদনে । বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের ওপর প্রকাশিত মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই বার্ষিক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাপী ১৩ হাজার ৫শ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। অথচ আগের বছর ২০১৩ সালে এ ধরণের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে ১০ হাজার এবং এতে নিহত হন ১৮ হাজার মানুষ। অর্থাৎ বিগত এক বছরে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে সাড়ে ৩ হাজার এবং হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে ১৫ হাজার। অপরদিকে, ২০১৩ সালের তূলনায় ২০১৪ সালে সন্ত্রাসীদের হাতে অপহরণের ঘটনাও বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৩ সালে অপহৃত হন ৩হাজার ১৩৭জন এবং ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯হাজার ৪২৮জনে। অর্থাৎ এক বছরে সন্ত্রাসীদের হাতে বিশ্বব্যাপী অপহরণের ঘটনা বেড়েছে ৬হাজার ২৯১টি। স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক বছরের মধ্যে বেড়ে যাওয়া এই সন্ত্রাসী হামলার এক তৃতীয়াংশই ঘটেছে আইএসআইএল (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড দ্য লেভান্ট) ও বোকো হারামের হাতে। অপরদিকে, হতাহতের প্রায় অর্ধেক এবং অপহরণের দুই-তৃতীয়াংশ ঘটনাই এই দুই গ্রুপের হাতে ঘটেছে বলেও দাবি করা হয় স্টেট ডিপার্টমেন্টের সবশেষ প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে। তবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই প্রতিবেদনে রহস্যজনকভাবে ২০১৪ সালে গাজায় নারকীয় ইসরাইলি সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৮ জুলাই ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অবরুদ্ধ গাজার ওপর বর্বর আগ্রাসন শুরু করেন। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বিশ্বের শত অনুরোধেও কান দেয়নি যায়নবাদি ইসরাইলিরা। প্রায় দুই মাস ধরে চালানো ও বর্বরোচিত বিমান হামলায় ইসরাইলি সেনাদের হাতে নিহত হন অন্তত ২ হাজার ১৩৭ জন ফিলিস্তিনি। এছাড়া, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১১ হাজার মানুষ। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশুসহ বেসামরিক লোকজন। কিন্তু কেন এতবড় সন্ত্রাসবাদী হামলার বিষয়টি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদনে চেপে যাওয়া হলো তা নিয়ে কোন ব্যাখ্যাও দেয়া হয়নি। কেবি
No comments:
Post a Comment