সীমান্ত বিল দ্রুত পাসের সিদ্ধান্ত বিজেপির আন্তর্জাতিক ডেস্ক আরটিএনএন ঢাকা: বহুল আলোচিত সীমান্ত বিল কংগ্রেসের চাপে অপরিবর্তিতভাবেই পাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি। সেমবার রাতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর বাসভবনে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে আসাম বিজেপির সভাপতি সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যসহ দলের সব সংসদ সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। সিদ্ধান্ত অনুযা
য়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে কাল বুধবার সীমান্ত বিলটি অপরিবর্তিতভাবেই রাজ্যসভায় পাস করিয়ে বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাস করানোর চেষ্টা হবে। জানা গেছে, এই তাড়াহুড়োর কারণ হচ্ছে—লোকসভার অধিবেশন ৮ মে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এই ১১৯তম সংবিধান সংশোধন বিলটি পাস না হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে যাবে। মোদি জুন মাসে ঢাকা আসতে আগ্রহী। দিল্লিতে অমিত শাহর অশোক রোডের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। আসাম বিজেপির সভাপতি সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যকেও জরুরি তলব করা হয় এ বৈঠকে। আসাম থেকে নির্বাচিত দলের সব সাংসদের সামনে সীমান্ত বিলের যাবতীয় খুঁটিনাটি, কংগ্রেসের আপত্তি, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের চিঠি এবং কংগ্রেসের অনমনীয় ভূমিকার কথাও ব্যাখ্যা করা হয়। বলা হয়, এই আন্তর্জাতিক চুক্তি ৪২ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। আর বিলম্ব সম্ভব নয়। এর সঙ্গে দেশের মর্যাদা জড়িত। ওই বৈঠকেই ঠিক হয়, বিলটি ঠিক যেভাবে রাজ্যসভায় রয়েছে, সেভাবেই পাস করানো হবে। আসামের ওপর এর যে প্রভাব পড়বে, তা বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। বৈঠকের পর বিজেপির লোকসভা সদস্য রমেন ডেকা বলেন, ‘দেশের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত। আমরা রাজ্যের মানুষদের বলব, কংগ্রেসের কারণেই এই বিল আমরা যেভাবে আনতে চেয়েছিলাম তা পারলাম না। কংগ্রেসের মোকাবিলা আমরা রাজনৈতিকভাবেই করব।’ বিজেপির আসাম রাজ্য সভাপতি সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য বলেন, ‘দেশের জন্য কী প্রয়োজন, তা আমাদের অনুধাবন করতে হবে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম আসামকে আপাতত বাইরে রেখে বিল পাস করাতে, কিন্তু কখনো চাইনি বিলটি রাজ্যসভায় ব্যর্থ হোক। তাই অখণ্ড বিলই আনার সিদ্ধান্ত। বিজেপি যে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়, এই সিদ্ধান্ত তারই প্রমাণ।’ মন্তব্য
No comments:
Post a Comment